• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

রোজা রাখার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানেন কি?

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল ২০২০  

রমজান সংযমের মাস। বছরে এই একটা মাস আমরা রোজা পালন করি। অনেকের হঠাৎ করে না খেয়ে থেকে শরীরে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন - অম্বল, ডিহাইড্রেশন এবং শারীরিক অস্বস্তি, ইত্যাদি। 

তবে জানেন কি? রোজার রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। রোজা রাখলে ওজন হ্রাস, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, পেশীর শক্তি ও মানসিক প্রশান্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও রয়েছে নানা উপকারিতা। জেনে নিন সেগুলো-

ওজন কমানোর জন্য দুর্দান্ত সময়
যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তায় আছেন। তাদের ওজন কমানোর জন্য এটি উপযুক্ত সময়। যেহেতু এই সময় আপনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলে, সকাল এবং সন্ধ্যায় স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ করেন। এছাড়াও এই সময় চিনি এবং চর্বিযুক্ত খাবারের বদলে স্যুপ, রুটি, খেজুর এবং অন্যান্য ফল বেশি খাওয়া হয়। ফলে  দ্রুত ওজন হ্রাস করতে সহায়তা করে।  

ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে 
রোজা রাখার অন্যতম সুবিধা হল এটি রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। রোজা শরীরেরর গ্লুকোজকে ভেঙে দেয় যাতে শরীর শক্তি পেতে পারে। এটি শরীরে ইনসুলিনের উৎপাদন কমায়। 

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে 
রোজা এথেরোস্ক্লেরোসিসের ঝুঁকি হ্রাস করতে সাহায্য করতে পারে। শরীর দীর্ঘ সময় খাদ্য এবং পানি থেকে বিরত থাকে। তবে এই সময় শরীরে সঞ্চিত ফ্যাট শক্তি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই সময় বিপাকের হারও হ্রাস পায়। অ্যাড্রিনালিন এবং ননঅ্যাড্রিনালিন হরমোনগুলোর ক্ষরণও কমে। যা বিপাকের হারকে স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করে। ফলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। 

পেশীর শক্তি বৃদ্ধি করে
প্রতিদিন দুইবেলা কার্বোহাইড্রেট গ্রহণের ফলে শরীরে গ্লাইকোজেন (ফ্যাট সেল) বেড়ে যায়। ফলে ওজন বাড়িয়ে তোলে। তবে রোজার সময় ফ্যাট কোষগুলো শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় 
রোজার সময় সবাই দীর্ঘক্ষণ উপবাস থাকে। তবে এরপর সাধারণত স্বাস্থ্যকর খাবার খায়। এটি  অনাক্রম্যতা বাড়াতে, টক্সিন নির্মূল করতে এবং চর্বি হ্রাস করতে সহায়তা করে। রোজা ভাঙার জন্য খেজুর এবং ফল খাওয়া হয়। যা শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজগুলোর সঞ্চয় বাড়ায়। ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই সমৃদ্ধ এসব ফল আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।

প্রদাহজনক সমস্যা সমাধান করে 
রোজা রাখার আরেকটি শারীরিক সুবিধা হল এটি প্রদাহজনিত রোগ এবং অ্যালার্জির সারাতে সহায়তা করে। আর্থ্রাইটিস এবং ত্বকের রোগ যেমন সোরিয়াসিস সারাতে রোজা রাখার বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, উপবাসের ফলে আলসারেটিভ কোলাইটিসের মতো প্রদাহজনক পেটের রোগ নিরাময় হতে পারে।

মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে
অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে, রোজা কিছু নির্দিষ্ট প্রোটিনের উৎপাদন বাড়িয়ে তুলতে পারে। যা মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপের জন্য উপকারী। এই প্রোটিনগুলো মস্তিষ্কের স্টেম সেলগুলো সক্রিয় করতে সহায়তা করবে যাতে তারা ভালোভাবে কাজ করতে পারে। এ কারণেই আপনি যখন উপবাস করেন তখন আপনার মস্তিষ্ক সজাগ হয়ে যায়। 

মানসিক প্রশান্তি বাড়ায় 
রোজার আরেকটি মানসিক সুবিধা হল এটি শরীরকে খাদ্য এবং পানীয়ের প্রতি আপনার আকাঙ্ক্ষা নিয়ন্ত্রণ করে। এই প্রক্রিয়াতে, মস্তিষ্ক সেই অবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নেয় এবং কীভাবে আরও ধৈর্যশীল হতে হয় তা শেখায়। 
সূত্র:বোল্ডস্কাই

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা