সদকাতুল ফিতর কখন কার ওপর ওয়াজিব
আজকের সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ৮ এপ্রিল ২০২৪
পবিত্র রমজানের ইবাদতের মধ্যে সদকাতুল ফিতর আদায় করা অন্যতম একটি ইবাদত। রমজানের সিয়াম সাধনা শেষে আসে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের আনন্দ ধনী-গরিব সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এবং এ আনন্দে যেন মুসলিম জাতির প্রতিটি সদস্য শরিক হতে পারে এ জন্য ওয়াজিব করা হয়েছে সদকাতুল ফিতর। রমজানের রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিপূর্ণতার জন্যই আবশ্যক করা হয়েছে এটি। ইমাম ওয়াকি ইবনুল জাররাহ বলেন, রমজান মাসের জাকাতুল ফিতর নামাজের সিজদায়ে সাহুর সমতুল্য। অর্থাৎ নামাজে ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে যেমন সিজদায়ে সাহু দিলে এটা পূর্ণ হয়ে যায় তেমনি রোজার মধ্যে ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে সাদকাতুল ফিতর দিয়ে এর প্রতিকার হয়। তাছাড়া ধনী-গরিব উভয়ে যেন অন্তত ঈদের দিন উত্তম পোশাক ও উন্নতমানের খাবার খেতে পারে এ জন্যই ফিতরার ব্যবস্থা।
ফিতরার নিসাব
যার মালিকানায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও ঋণ ছাড়া সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপা কিংবা এর সমমূল্য কোন সম্পদ বা টাকা থাকে, তাহলে তার ওপর সদাকাতুল ফিতর ওয়াজিব।
সদকাতুল ফিতর উত্তম হলো ঈদের নামাজের আগে আদায় করে দেয়া। কেননা রাসুল (সা.) ঈদগাহে যাওয়ার আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন।
জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত এমন অভাবী লোকদের সদকাতুল ফিতর দিতে হবে। একজন দরিদ্র মানুষকে একাধিক ফিতর দেওয়া যেমন জায়েজ, তেমনি একটি ফিতরা বণ্টন করে একাধিক মানুষকে দেয়াও জায়েজ।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন-রাসুলুল্লাহ (সা.) সদকাতুল ফিতর আদায় করাকে আবশ্যক করেছেন। এর পরিমাণ হলো, এক সা যব বা এক সা খেজুর। ছোট-বড়, স্বাধীন-পরাধীন সবার ওপরই এটা আবশ্যক। (বোখারি : ১৫১২)।
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) রোজা পালনকারীর জন্য সদকাতুল ফিতর আদায় অপরিহার্য করে দিয়েছেন, যা রোজা পালনকারীর অনর্থক, অশ্লীল কথা ও কাজ পরিশুদ্ধকারী এবং অভাবী মানুষের জন্য আহারের ব্যবস্থা। যে ব্যক্তি ঈদের সালাতের আগে এটা আদায় করবে, তা সদকাতুল ফিতর হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে। আর যে ঈদের সালাতের পর আদায় করবে তা অপরাপর (নফল) সদকা হিসেবে গৃহীত হবে। (আবু দাউদ : ১৬০৯)।
হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন আমরা এক সা’ পরিমাণ খাদ্য, যব, বা খেজুর অথবা এক সা পরিমাণ পনির বা কিশমিশ দিয়ে সদকায়ে ফিতর আদায় করতাম ৷ (বোখারি : ১৫০৬)।
হাদিস শরিফে এ পাঁচটি দ্রব্যের যে কোনো একটি দ্বারা সদকায়ে ফিতর আদায়ের সুযোগ দেয়া হয়েছে ৷ যেন প্রত্যেকে নিজ নিজ সামর্থ্যানুযায়ী আদায় করতে পারে তবে সবার জন্য সবচেয়ে কম দামের দ্রব্য দিয়ে সদকায়ে ফিতর আদায় করা অনুচিত; বরং যে ব্যক্তি খেজুর, কিশমিশ দিয়ে সদকায়ে ফিতর আদায় করার সামর্থ রাখে, সে তা দিয়েই আদায় করবে ৷
সদকায়ে ফিতর যাদের উপর ওয়াজিব
ঈদের দিন সুবহে সাদেকের সময় যার কাছে যাকাত ওয়াজিব হওয়া পরিমাণ অর্থাৎ অত্যাবশ্যকীয় আসবাব সামগ্রী ব্যবহার্য দ্রব্যাদি, বাসগৃহ ইত্যাদি বাদ দিয়ে সাড়ে ৫২ তোলা রূপা বা সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ অথবা সমমূল্য পরিমান সম্পদ থাকে, তাহলে তার উপর সদকায়ে ফিতর আদায় করা ওয়াজিব।
ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদিকের সময় এ পরিমাণ মালের মালিক থাকলে, তার উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হবে। যে শিশু-সন্তানটি ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদিকের পূর্বে ভূমিষ্ট হবে, তার ফিতরাও আদায় করতে হবে।
অর্থাৎ পরিবারের যতজন সদস্য ততটি ফিতরা হিসেবে) সকলের ফিতরা আদায় করতে হবে।
প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী তার নিজের পক্ষ থেকে এবং নাবালেগ সন্তানের পক্ষ থেকে সদাকাতুল ফিতর আদায় করবেন।
সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ
ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) সদকাতুল ফিতর আবশ্যক করেছেন। এর পরিমাণ হলো, এক সা যব বা এক সা খেজুর। ছোট-বড়, স্বাধীন-পরাধীন সবার ওপরই এটা আবশ্যক। (বোখারি : ১৫১২)।
ইবনে আব্বাস (রা.) একবার রমজানের শেষ দিকে বসরায় খুতবা প্রদান করেন। সেখানে তিনি বলেন, তোমাদের রোজার সদকা আদায় করো। লোকেরা যেন ব্যাপারটা বুঝতে পারে নি।
তখন ইবনে আব্বাস (রা.) বললেন, এখানে মদিনার কে আছে দাঁড়াও। তোমাদের ভাইদেরকে বলো, তারা তো জানে না। বলো যে, রাসূল (সা.) এই সদকা আবশ্যক করেছেন। এক সা খেজুর বা যব অথবা আধা সা গম প্রত্যেক স্বাধীন-দাস, পুরুষ-নারী, ছোট-বড় সবার ওপর ওয়াজিব। (আবু দাউদ: ১৬২২)।
যারা জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত এমন অভাবী লোকদের সদকাতুল ফিতর প্রদান করতে হবে। জাকাতের জন্য সম্পদের বর্ষপূর্তি শর্ত হলেও ফিতরায় এ শর্ত নেই। নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নিজের পক্ষ থেকে, নিজের প্রাপ্ত এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানদের পক্ষ থেকে এবং নিজের সেবক-সেবিকাদের পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করতে হবে। সন্তান বা অধীনস্থরা অমুসলিম হলেও তাদের ফিতরা আদায় করা আবশ্যক।
গম বা আটা, যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনির- এ পাঁচটি জিনিস বা তার মূল্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা যায়। সামর্থ্যানুসারে সবার উচিত উৎকৃষ্ট জিনিস সদকা করা। রাসূল (সা.)-এর সময়ে সামর্থ্যানুযায়ী সবাই উত্তম পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করতেন।
সর্বোত্তম দান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, দাতার কাছে যা সর্বোৎকৃষ্ট এবং যার মূল্যমান সবচেয়ে বেশি। (বোখারি : ১৯৭৪)।
এ বছরের সদকাতুল ফিতরের নির্ধারিত পরিমাণ
ইসলামী ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ' এর অনুকরণে নিম্নে এবছরের (১৪৪৫ হিজরী/২০২৪ইং) এর সদকাতুল ফিতরের বাজার মূল্য তুলে ধরা হলো:
১. উন্নতমানের আটা বা গমের ক্ষেত্রে ফিতরা এক কেজি ৬৫০ গ্রাম (অর্ধ সা’) বা এর বাজার মূল্য ১১৫ টাকা।
২. যবের ক্ষেত্রে (এক সা’) ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৪০০ টাকা ফিতরা দিতে হবে।
৩. খেজুরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ৪৭৫ টাকা
৪. কিসমিসের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম কিসমিস বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ১৪৫ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করা যাবে।
৫. পনিরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২ হাজার ৯৭০ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করতে হবে।
ফিতরা আদায়ের ক্ষেত্রে আমরা অদ্ভুত মানসিকতার পরিচয় দেই। আমাদের দেশে সাধারণত সর্বনিম্ন পরিমাণ অর্ধ সা‘ গম এর মূল্য হিসেবে জনপ্রতি ১০০ টাকা হিসেবে সবাই আদায় করতে চান।
কোটিপতি হতে মধ্যবর্তী সবাই সর্বনিম্ন টাকা দিয়েই দায়মুক্ত হতে চান। সবচেয়ে কম মূল্যের গমের হিসাবে সবাই সাদকা করার প্রবণতা খুব বেশি। বিষয়টি রাসূল (সা.)-এর শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
বরং এটা তো সর্বনিম্ন সম্পদের মালিকের জন্য চলে, কিন্তু আল্লাহ তায়ালা যাদেরকে তাওফিক দিয়েছেন, তাদের অন্যান্য দ্রব্য দিয়ে সর্বোচ্চ সদকায়ে ফিতর আদায় করা উচিত।
তাই সামর্থ্যানুযায়ী বেশি মূল্যের পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায়ের চেষ্টা করতে হবে।
আল্লাহতায়ালা আমাদেরকে যথাযথ সদকায়ে ফিতর আদায়ের তাওফিক দান করুন।
- আঘাত আসবে এমন আশঙ্কা ছিল: প্রধানমন্ত্রী
- আঘাত আসবে এমন আশঙ্কা ছিল: প্রধানমন্ত্রী
- পিছিয়ে পড়েও ভুটানকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
- জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ আর নেই
- বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন ঘেরাও-অগ্নিসংযোগ
- কেয়ামতের দিন অন্যায়ভাবে হত্যাকারীর শাস্তি কী হবে?
- জাহান্নামের ভয়াবহতা ও মুক্তির আমল
- চট্টগ্রামে আরেকটি টানেল নির্মাণে চীনের প্রতি আহ্বান
- নওগাঁয় ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
- নওগাঁয় ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
- কোটা আন্দোলনে সংঘর্ষ-প্রাণহানি: তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিটি
- কোটা সংস্কারে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকার একমত: আইনমন্ত্রী
- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যখন মানসিক বৈকল্যের কারণ
- কোটাবিরোধীদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে সরকার: আইনমন্ত্রী
- পুরুষের প্রজনন স্বাস্থ্য ভালো রাখতে করণীয়
- আশাশুনি মাশিস সাধারণ সম্পাদকের মায়ের মৃত্যু
- বিএনপি-জামায়াতের লাশের রাজনীতিতে মানুষনিহত হয়েছে:পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- শিক্ষার্থীদের পরিবর্তে বিএনপি-জামায়াত মাঠে নেমেছে: কাদের
- যুবকদের মাছ চাষে নজর দেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর ফলে সংঘর্ষ ও প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেছে: পলক
- শাটডাউনে চলবে মেট্রোরেল, বাস চালানোর নির্দেশনা
- তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ২১ জুলাই স্পেন যাবেন প্রধানমন্ত্রী
- রামপুরায় পুলিশ বক্স ও অন্তত ১২ মোটরসাইকেলে আগুন
- সাংবাদিকদের সাথে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের প্রেস কনফারেন্স
- ঢাকাসহ সারাদেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
- সাতক্ষীরায় পরকীয়ার জেরে গৃহবধূকে অ্যাসিড নিক্ষেপ
- স্বামীর সঙ্গে নতুন ছবি দিয়ে সোহিনী লিখলেন, ‘আগলে রাখব’
- চাঁদে মিলল গুহার খোঁজ! মানুষের বসবাস করার গবেষণা আর এক ধাপ এগোল
- আরও এক বছর রিয়ালেই থাকছেন মদ্রিচ
- অপপ্রচারে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না, সবাই সচেতন থাকুন
- ঘুরেফিরে সেই ঈদনির্ভরতা
- বাড়িটাই হবে আস্ত ব্যাটারি
- সাতক্ষীরায় অনলাইনে জুয়াড়ি চক্রের দশ সদস্য গ্রেপ্তার
- জন্মদিনে দীপিকার যে উপহারে আত্মহারা রণবীর!
- তালা উপজেলার গরু মোটা তাজাকরণ সর্ম্পকে খামারিদের পরামর্শ
- গাজায় ধ্বংসস্তূপের নিচে হাজার হাজার শিশুর লাশ: ইউনিসেফ
- সাতক্ষীরা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে ভর্তি ফর্ম পূরনে অনিয়মের অভিযোগ
- এলডিসি উত্তরণে চাই সুইডেনের সমর্থন
- ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজের আহ্বান
- শেখ রাসেল ইকো পার্ক বিনোদন-পরিবেশের জন্য খুবই উপযোগী: ভূমিমন্ত্রী
- দারিদ্র্যতা থেকে মুক্তির মূল শক্তি শিক্ষা: প্রধানমন্ত্রী
- গমের উৎপাদন বাড়াতে সিমিট ও মেক্সিকোর সহযোগিতা চেয়েছেন কৃষিমন্ত্রী
- আমে মুগ্ধ ১৩ দেশের রাষ্ট্রদূত
- শ্যামনগরে ইউনিয়ন কৃষকলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
- ভারত থেকে চোরাই পথে এসেছে ১৫ লাখের ছাগল!
- পাটকেলঘাটায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে সেনা সদস্যের মৃত্যু
- সাতক্ষীরা ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন
- সাতক্ষীরায় চালককে অজ্ঞান করে ইজিবাইক ছিনতাই
- সাতক্ষীরায় খাবারের সাথে চেতনানাশক খাইয়ে ২ লাখ ১৭ হাজার টাকা চুরি
- সাতক্ষীরায় ইঞ্জিন ভ্যান উল্টে চালক নিহত