• বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

জিবিএস হলে যা করবেন

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ৯ নভেম্বর ২০২৩  

গুলেইন-বারি সিনড্রোম (জিবিএস) একটি ইমিউন প্রক্রিয়াজাত রোগ, যেখানে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস দ্বারা আমাদের গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল ট্রাক্ট বা খাদ্যনালিতে ইনফ্লামেশন বা প্রদাহ হয়।

সাধারণত ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার এক থেকে চার সপ্তাহ পর লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়। কখনও সার্জারি বা ভ্যাকসিনেশন থেকেও এ লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে পারে। যে কোনো লিঙ্গ বা বয়সেই হতে পারে। তবে নারীদের তুলনায় পুরুষদের এ সমস্যা একটু বেশি হয়ে থাকে।

লক্ষণ

lসমান্তরালভাবে হাত-পায়ের মাংসপেশির দুর্বলতা দেখা যায়।

lপায়ের পাতা থেকে ওপরের দিকে হাতের বা মুখমণ্ডলের দিকে শক্তি কমে যায়। পেশিগুলো অবশ হতে থাকে।

lকথা বলা বা চিবানোর সমস্যা হওয়া।

lলক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার পর দ্রুত বাড়তে থাকে।

lপায়ে ব্যথা, প্রস্রাব-পায়খানা নিয়ন্ত্রণে থাকে না।

lরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকা, অর্থাৎ বেশি-কম হওয়া।

lশ্বাস-প্রশ্বাসের মাংসপেশি দুর্বল হয়ে যাওয়া।

lমিলার ফিশার সিনড্রোম : চোখের মাংস বেশি দুর্বল হওয়া, টেন্ডনের রিফ্লেক্স না থাকা, ব্যালান্স সমস্যা ইত্যাদি।

কারণ

lক্যামপাইলোব্যাক্টার জেজুনি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হলে।

lসাইটোমেগালো ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে।

lএপস্টেইনবার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে।

lমাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া দ্বারা আক্রান্ত হলে।

lসার্জারি, ইমিউনাইজেশন অর্থাৎ ভ্যাকসিন থেকেও হতে পারে।

ডায়াগনসিস

রোগীর হিস্ট্রি ও রোগের লক্ষণ থেকেই রোগ নির্ণয় করা যায়। এ ছাড়া রক্তের পরীক্ষা, সিএসএফ স্টাডি, স্টুল কালচার এবং সেরোলজিক্যাল টেস্ট, এনসিভি, ইএমজি ইত্যাদি করা হয়। অন্য কোনো রোগ কিনা সেটা আলাদা করতে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার হতে পারে।

চিকিৎসা : এ রকম লক্ষণ বা সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখাবেন।

ফিজিওথেরাপি : যথাযথ চিকিৎসার পাশাপাশি দরকার প্রথম দিন থেকেই একজন ফিজিওথেরাপিস্ট থেকে নিয়মিত ফিজিওথেরাপি নেওয়া। এর মধ্যে রয়েছে– যথাযথ পজিশনিং, কফ জমলে বিভিন্ন টেকনিক অবলম্বন করে সেগুলো বের করা, ব্রেথিং এক্সারসাইজ করা, স্পাইরোমেট্রি ব্যবহার করা, জয়েন্ট শক্ত হলে এর প্রতিরোধ করা, মাংসপেশির শক্তি নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং শক্তি বাড়ানোর জন্য এক্সারসাইজ করা, ব্যালান্স কো-অর্ডিনেশন ট্রেনিং দেওয়া ইত্যাদি। এ ধরনের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা জিবিএস রোগীকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে।

প্রথম থেকেই নিয়মিত ফিজিওথেরাপি পেলে অধিকাংশ আক্রান্ত রোগীই তাঁর স্বাভাবিক জীবনযাপন ফিরে পেতে পারবেন এবং রেসপিরেটরি মাংসপেশি প্যারালাইস হয়ে মৃত্যুঝুঁকি হ্রাস পাবে।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা