• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

আমড়ার প্রাকৃতিক গুনাগুন

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

আম, কাঁঠাল এবং অন্যান্য ফলের মধ্যে সুস্বাদু একটি হলো আমড়া। বাংলাদেশে পুষ্টিকর এই ফলটির দুটি প্রজাতির চাষ হয়। দেশি আমড়া ও বিলাতি আমড়া। আমড়া ব্লাড পিউরিফায়ারের কাজ করে। সাম্প্রতিক এক গবেষণা জানাচ্ছে, রোজ একটা করে আমড়া খেলেই ফল পাবেন অবিশ্বাস্য। আমড়ার চাটনি অনেকেরই প্রিয়।

আবার শীতের নরম রোদ্দুরে লবণ-মশলা মাখিয়েও দিব্যি জমে যায় আমড়া। তবে মুখরোচক দিকটি ছাড়াও আমড়া শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এর স্থান দখল করে নিয়েছে বিলাতি আমড়া। বিলাতি আমড়া দেশি আমড়ার মতো টক নয়। এটি খেতে টক-মিষ্টি স্বাদের। এতে শাঁস বেশি, আকারেও বড়। বিলাতি আমড়া কাঁচা খাওয়া হয়।

বিলাতি ও দেশি দুই ধরনের আমড়া থেকেই সুস্বাদু আচার, চাটনি এবং জেলি তৈরি করা যায়। তরকারি হিসেবে রান্না করেও আমড়া খাওয়া যায়।

আমড়া এর উপকারিতা  

১. রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।

২. স্ট্রোক ও হৃদরোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৩. চর্বি কমিয়ে হৃত্‍‍পিণ্ডে সঠিক ভাবে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে।

৪. চিনির পরিমাণ কম থাকায় উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের রোগীরা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।

৫. আমড়ার খোসায় থাকা আঁশ বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে।

৬. ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম দাঁত ও মাড়ি শক্ত করে।দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত, পুঁজ বের হওয়া প্রতিরোধ করে।

৭. আমড়া পিত্ত ও কফ নাশ করে, কণ্ঠস্বর পরিষ্কার রাখে। নিয়মিত আমড়া খেলে চুল, নখ, ত্বক সুন্দর থাকে।

৮. অরুচি দূর করে, শরীরের অতিরিক্ত উত্তাপ কমায়। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখে।

৯. আমড়ায় থাকা অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতা বাড়ায়।

১০. আমড়াতে পেকটিন জাতীয় ফাইবার রয়েছে, যা বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। তাই প্রতিদিন এই ফলটি খাওয়ার চেষ্টা করুন।

১১. বিভিন্ন প্রকার ভাইরাল ইনফেকশনের বিরুদ্ধেও লড়াই করে আমড়া। এতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় তা স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

১২. আমড়ায় প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে যা ত্বক উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের ব্রণ কমাতে, ত্বক উজ্জ্বল রাখতেও আমড়া দারুণ উপকার করে থাকে। তাই ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে খেতে পারেন আমড়া।

আমড়ার রাসায়নিক উপাদান

আমড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন সি, পেকটিন জাতীয় ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়ারন, আঁশ,শর্করা,আমিষ,চর্বি , ক্যারোটিন, খনিজ পদার্থ, প্রোটিন, শ্বেতসার, স্নেহ জাতীয় পদার্থ, রিবোফ্লাভিন, লৌহ।

প্রতি ১০০ গ্রাম ভক্ষণযোগ্য আমড়ায় ১.১ গ্রাম প্রোটিন, ১৫ গ্রাম শ্বেতসার, শূন্য দশমিক ১০ গ্রাম স্নেহ জাতীয় পদার্থ্ এবং ৮০০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন আছে। এছাড়াও আছে শূন্য দশমিক ২৮ মিলিগ্রাম থায়ামিন, শূন্য দশমিক শূন্য চার মিলিগ্রাম রিবোফ্লাভিন, ৯২ মিলিগ্রাম ভিটমিন সি, ৫৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম এবং তিন দশমিক নয় মিলিগ্রাম লেীহ। আমড়ার খাদ্যশক্তি ৬৬ কিলোক্যালোরি। খনিজ পদার্থ বা মিনারেলসের পরিমাণ শূন্য দশমিক ছয় গ্রাম।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা