• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

পিত্তথলি সুস্থ রাখুন : ডা. এমএন ইসলাম

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ৩ আগস্ট ২০১৯  

পিত্তরস কাজ করতে না পারলে খাবার হজমে সমস্য হয়। আর শরীরে কলেস্টেরল ’বাইল সল্ট’র পরিমাণ বেড়ে গেলে তৈরি হয় গলব্লাডারে পাথর। স্নেহ বা চর্বিজাতীয় খাবার হজমে সাহায্য করে পিত্তরস। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করলে রক্ত সুষ্ঠুভাবে চলাচল করতে পারে। গলব্লাডারের পিত্তরসও কাজ করতে পারে সঠিকভাবে।

ব্লাডপ্রেসার, ডায়াবেটিস, কিডনির অসুখ, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। এ অসুখগুলো বেড়ে গেলে পিত্তথলি সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারে না। যে কোনো ধরনের মাদক গ্রহণ দেহের জন্য ক্ষতিকর। দীর্ঘদিন ধরে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, যৌন ক্ষমতাবর্ধক ওষুধ, যেকোনো ধরনের হরমোনের ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত নয়।

প্রচুর পরিমাণে তিতাজাতীয় খাবার ও শাকসবজি খান। আঁশজাতীয় খাবার উপকারী। তেল, চর্বিজাতীয় খাবার পরিহার করুন। এসব খাবারের বাড়তি তৈলাক্ত অংশ পিত্তথলিতে জমা হয়। বছরের পর বছর এভাবে তৈলাক্ত বর্জ্য বা কলেস্টেরল জমায় তরল পিত্ত শক্ত পাথরে পরিণত হয়।

পিত্তথলিতে ইনফেকশন হয়ে পুঁজ জমতে পারে। ইনফেকশন হলে জ্বর জ্বর ভাব, পেটব্যথা, বমিও হতে পারে। মাঝে মধ্যে যদি পেটের ডানপাশে ব্যথা হয়, তবে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। তারিখ পার হয়ে যাওয়া ওষুধ খাবেন না। এগুলো কিডনি ও লিভারের কার্যক্ষমতা দুর্বল করে দেয়। যারা হঠাৎ করে খুব বেশি ওজন কমিয়ে ফেলেছেন বা দীর্ঘ সময় ধরে না খেয়ে থাকেন, তারাও আক্রান্ত হতে পারেন এ রোগে।

হোমিওপ্যাথি লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি। সুনির্দিষ্ট মাত্রা ও সঠিক পরিমাণ ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে পিত্তথলির রোগ নিরাময় করা যায়।

লেখক : হোমিও চিকিৎসক

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা