• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

পলাতক বনদস্যুর নামে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ১০ এপ্রিল ২০২০  

সুন্দরবনের এক সময়ের ত্রাস বনদস্যু রাজু বাহিনীর প্রধান রাজু আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অব্যাহত অভিযানে ২০১৩ সালে আত্মগোপনে চলে যায়। তবে সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় তার কয়েকজন সোর্স রয়ে যায়। সুন্দরবন দস্যুমুক্ত ঘোষনার পর বেশ কিছুদিন দস্যুবাহিনীর এসব সোর্স নীরব থাকলেও সম্প্রতি তারা আবারও সরব হয়েছে বলে স্থানীয় জেলে বাওয়ালিরা অভিযোগ করেছেন। এ বছরের ১ এপ্রিল থেকে মধু আহরণের অনুমতি নিয়ে সুন্দরবনে যাওয়া মৌয়ালদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন পলাতক বনদস্যু রাজুর নামে আবারও চাঁদা আদায় করছেন তার এক সময়কার সোর্স আনারুল ওরফে আনু শেখ।

সুন্দরবন সংলগ্ন খুলনার কয়রা উপজেলার মেঘারাইট গ্রামের বাসিন্দা আনু শেখ এক সময় বনদস্যু রাজুবাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করতো বলে জানায় এলাকার জেলে বাওয়ালিরা। তার নামে হত্যাচেষ্টা, ছিনতাই, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় দীর্ঘদিন জেল খেটেছে সে। বর্তমানে এলাকায় ইয়াবা ব্যবসাসহ কয়েকটি জুয়ার বোর্ডও পরিচালনা করে। তার বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ে ও ধর্ষণেরও অভিযোগ রয়েছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়রা উপজেলার কয়েকজন মৌয়াল জানায়, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় বনদস্যু আমিনুল বাহিনী, ফারুক বাহিনীসহ একাধিক বাহিনীর প্রধানরা বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। এ কারনে নির্ভয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করেছিলাম। তবে পালিয়ে থাকা রাজুবাহিনীর ভয়ে আবারও আতংক বিরাজ করছে সবার মনে। কারন তার এক সময়কার সোর্স আনু শেখ আবারও তৎপরতা শুরু করেছে। সে বিভিন্ন মাধ্যমে আবারও চাঁদা চাওয়া শুরু করেছে।

কিছু দিন কয়রা উপজেলায় র‌্যাবের অভিযানে বনদস্যুদের দু’জন সোর্স গ্রেফতার হয়। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও বেশ কয়েকটি মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়। ওই সময় আবু সাঈদ নামে বনদস্যুদের এক সোর্স পালিয়ে যায়। অভিযোগ রয়েছে বর্তমানে মঠবাড়ি গ্রামের আবু সাঈদও এলাকায় ফিরে চাঁদা আদায় শুরু করেছে। 

কয়রা থানার ওসি রবিউল হোসেন জানান, বর্তমানে সুন্দরবন দস্যুমুক্ত রয়েছে। তবে দস্যুদের সোর্স হিসেবে যারা কাজ করতো তাদের কয়েকজনকে র‌্যাব আটক করেছে। এ মুহুর্তে যে দু’জনের নাম আসছে তাদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।  
  
 

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা