আমিরের তোপে তছনছ বাংলাদেশ, বড় হারে শুরু যুবাদের সিরিজ

একমাত্র চারদিনের ম্যাচে সফরকারীরা বাংলাদেশকে পাত্তা দেয়নি। একই ঘটনা ঘটলো যুব ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে। পাকিস্তান যুবাদের কাছে বড় হারে শুরু হলো বাংলাদেশের যুবাদের সিরিজ।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শনিবার টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে মাত্র ১৬৫ রান করে বাংলাদেশ। রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ৭৬ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান।

আমির হাসানের তোপে স্বাগতিক শিবির ছিল দিশাহীন। ডানহাতি এই পেসার একাই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে রেখেছিলেন। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আশিকুর রহমানকে (২) ফিরিয়ে পতনের শুরু করেন আমির। শেষ পর্যন্ত থামেন ১০ ওভারে মাত্র ২৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট শিকার করে।

প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের চারজনই ফেরেন দুই অঙ্কের ঘর ছোঁয়ার আগে। তবে আসা যাওয়ার মিছিলে ব্যতিক্রম ছিলেন মাহফুজুর রহমান রাব্বি। এক প্রান্ত আগলে রেখে তিনি ক্রিজে ছিলেন শেষপর্যন্ত। ৮টি চার ও ২টি ছয়ের মারে ১০০ বলে ৭০ রান করেন রাব্বি। এ ছাড়া আদিল বিন সিদ্দিক ২৩, পারভেজ রহমান জীবন ১৯ ও ওয়াসি সিদ্দিক ১৫ রান করেন।

ফাইফার নেওয়া আমিরই ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়ের মূল কারণ। এ ছাড়া ১টি করে উইকেট নেন মুহাম্মদ ইসমাইল, আলি আরশাদ, আজমল খান ও ওবায়েদ শহীদ।

বাংলাদেশ আগে ব্যাটিং করে চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছুঁড়তে পারেনি। রান তাড়া করতে নেমে সহজেই জয় নিশ্চিত করে সফরকারীরা। আজান আওয়াইস-শাহজাব খান ওপেনিং জুটিতে যোগ করেন ১৪৮ রান। ১১৬ বলে সর্বোচ্চ ৮৩ রান করে শাহজাব ফিরলে পাকিস্তান একমাত্র উইকেটটি হারায়।

শাহজাবের বিদায়ের পর আর কোনো বিপদ ঘটেনি পাকিস্তান শিবিরে। আজান ৬৯ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। তার সঙ্গে ৩ রানে অপরাজিত ছিলেন শ্যামল হাসান। বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র উইকেটটি নেন মাহফুজুর রহমান রাব্বি।

তিন ম্যাচের সিরিজে প্রথমটিতে হেরে বাংলাদেশ পিছিয়ে গেলো ১-০ ব্যবধানে। সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ ৮ ও ১১ মে অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামের একই মাঠে। সিরিজ জিততে হলে বাকি দুই ম্যাচে স্বাগতিকদের সামনে জয়ের কোনো বিকল্প নেই।