• বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

  • || ০৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

এই মৃত্যু রোধ করতে হবে

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

এটা খুবই দুঃখজনক যে, পানিতে ডুবে মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেই চলেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন এটাকে ‘নিয়তি’ বলে বসে থাকলে চলবে না। বরং মৃত্যুর কার্যকারণগুলো ব্যাখ্যা করে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে সাঁতার শেখার ব্যাপারটিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এ ব্যাপারে সচেতনতাও বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি।

এবার জামালপুরের ইসলামপুরে পানিতে ডুবে সুরাইয়া (৫) এবং আঁখি আক্তার (৪) নামে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। গত রোববার সকালে উপজেলার চরগোয়ালীনি ইউনিয়নের পূর্ব কান্দারচর গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে সুরাইয়া ওই গ্রামের সাইদুর রহমানের মেয়ে এবং আঁখি আক্তার (৪) বকশীগঞ্জ উপজেলার পাগলা পাড়া গ্রামের আল আমিনের মেয়ে। সম্পর্কে তারা মামাতো-ফুপাতো বোন।

বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ১৫ হাজার শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়, যা মোট শিশুমৃত্যুর ৪৩ শতাংশ। আর প্রতিদিন গড়ে ৪০টি শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। বলতে গেলে শিশুর অন্যতম ঘাতক এই পানিতে ডুবে মৃত্যু। এই মৃত্যু রোধ করতে হলে সচেতনতা বাড়াতে হবে। সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে পরিবারকে। শিশুরা জলাধারের কাছে যাতে যেতে না পারে সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।

নানা বাড়িতে বেড়াতে আসা আঁখি আক্তার রোববার সকালে মামাতো বোন সুরাইয়ার সঙ্গে তাদের বাড়ির পাশে খেলছিল। সবার অগোচরে হঠাৎ তারা পাশের ডোবায় পড়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের সন্ধান মিলছিল না। এক পর্যায়ে দুপুরের দিকে ওই ডোবায় দুই শিশুর মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে স্বজনরা তাদের মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়।

এ ধরনের শোকাবহ পরিস্থিতি কিছুতেই কাম্য নয়। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায় বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ১৫ হাজার শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়, যা মোট শিশুমৃত্যুর ৪৩ শতাংশ। আর প্রতিদিন গড়ে ৪০টি শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। বলতে গেলে শিশুর অন্যতম ঘাতক এই পানিতে ডুবে মৃত্যু। এই মৃত্যু রোধ করতে হলে সচেতনতা বাড়াতে হবে। সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে পরিবারকে। শিশুরা জলাধারের কাছে যাতে যেতে না পারে সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।

এ ব্যাপারে বাড়াতে হবে সামাজিক সচেতনতা। গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে যে সমস্ত শিশুরা সাঁতার শেখার উপযোগী হয়েছে তাদেরকে অবশ্যই সাঁতার শেখাতে হবে। এগিয়ে আসতে হবে স্থানীয় প্রশাসন, এনজিওসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে। সাঁতার না জানার কারণেই অধিকাংশ শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। শুধু শিশুরাই নয় প্রাপ্তবয়স্কদেরও পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। আমাদের দেশে সাঁতার শেখা বা শেখানোকে একটি অপ্রয়োজনীয় কাজ হিসেবে এখনো মনে করা হয়। এ ধরনের মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। শিশুরাই আগামী, তাদের রক্ষায় আরো যত্নশীল ও দায়িত্ববান হতে হবে।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা