• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

রাণীনগরে খাদ্যগুদামের রাস্তা খানা-খন্দে ভরা

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০১৯  

রাণীনগর উপজেলার খাদ্যগুদামের রাস্তা খানা-খন্দে ভরা। প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন এই রাস্তার কোন সংস্কার না করায় ঢালাই উঠে রড বের হওয়ায় রাতের আঁধারে পথচারীরা চলাচল করার সময় পড়ছেন দুর্ঘটনায়।

রডের আঘাতে কারো পা নষ্ট হচ্ছে আবার কেউ গর্তের পানিতে পড়ে গিয়ে হাবুডুবু খাচ্ছে। এছাড়াও ছোট-বড় ট্রাক কিংবা ভ্যানগাড়ী ধান, চাল কিংবা গম নিয়ে খাদ্যগুদামে প্রবেশ করার সময় উল্টে যাচ্ছে। যতই দিন যাচ্ছে ততই দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করছে। খাদ্যগুদাম জনগুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় সবসময় ছোট-বড় ট্রাক কিংবা ভ্যানগাড়ী চলাচল করেই। তাই অতিদ্রুত এই রাস্তাসহ খাদ্যগুদামের সংস্কার করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন উপজেলার সচেতন মহল।

সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় উৎপাদিত ধান, গম, চাল সংরক্ষণ করার জন্য আশির দশকে রাণীনগর বাজারের অনুকূলে স্থাপন করা হয় রাণীনগর এলএসডি (খাদ্যগুদাম)। বর্তমানে এই খাদ্যগুদাম অনেক সমস্যায় জর্জড়িত। বিশেষ করে গুদামে প্রবেশের রাস্তার বেহাল দশা। খাদ্যগুদামের চারদিকে অপরিকল্পিত ভাবে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তোলায় গুদামে প্রবেশ করার জন্য প্রশস্ত কোন রাস্তা নেই। যার কারণে একমাত্র সরু রাস্তা দিয়ে গুদামে ট্রাক চলাচলের সময় সৃষ্টি হয় ব্যাপক যানজটের। এছাড়া গুদাম ঘরগুলো দীর্ঘদিন কোন সংস্কার না করায় বর্তমানে জরাজীর্ণ অবস্থা। ঘরের ছাদ ও দেয়াল থেকে খসে পড়ছে পলেস্তার। গুদামের আবাসিক ভবনের অবস্থা খুবই নাজুক। এছাড়াও গুদামে নেই পর্যাপ্ত পরিমাণ পাহারাদার এবং তাদের থাকার কোয়ার্টার।

স্থানীয় আব্দুর রহিম, বিপ্লব, আব্দুল কুদ্দুসসহ অনেকেই বলেন পুরো খাদ্যগুদামের অবস্থা খুবই খারাপ তার মধ্যে গুদামে প্রবেশের রাস্তা এতো বেশি পরিমাণ খারাপ তা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। আমাদের বাসা গুদামের পাশে হওয়ায় দিনে এবং রাতের আঁধারে এই রাস্তা দিয়েই যেতে হয়। মাঝে মধ্যে রাস্তার বড় বড় গর্তের মাঝে পড়তে হয়, ঢালাই উঠে বের হওয়া রডের আঘাতে পা নষ্ট হচ্ছে। বড় বড় ট্রাকের কারণে পাশ দিয়ে যাওয়া পানি নিষ্কাশনের ড্রেন নষ্ট হওয়ায় দুর্ভোগ আরো চরম হয়েছে। অতিদ্রুত এই রাস্তাটি সংস্কার করা প্রয়োজন। কারণ এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা।

১নং খট্টেশ্বর রাণীনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান পিন্টু বলেন, আমি রাস্তাটির বেহাল দশার কথা জানি। উপজেলা প্রশাসন যদি চায় তাহলে আমি আমার পরিষদের পক্ষ থেকে সাধ্যমতো সহযোগিতা দিয়ে রাস্তাটি সংস্কার করার চেষ্টা করবো। শুধু এই রাস্তাই নয় গুদামের অনেক জায়গা বেদখল হয়ে আছে সেগুলো উদ্ধার করে উপজেলায় আধুনিক মানসম্মত একটি গুদাম নির্মাণ করার জন্য সরকারে সুদৃষ্টি কামনা করছি।

রাণীনগর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম (লিটন) বলেন, পুরো খাদ্যগুদামের অবস্থা খুবই নাজুক ও করুন। বিশেষ করে গুদামে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটির অবস্থা আরো করুন ও বেহাল। দীর্ঘদিন এই রাস্তার কোন সংস্কার না করায় বর্তমানে দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। প্রতিদিনই এই রাস্তায় ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। আমি আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বহুবার এই রাস্তার বেহাল দশার কথা বলেছি কিন্তু কোন লাভ হয় নাই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, আমি রাস্তাসহ গুদাম একাধিকবার পরিদর্শন করেছি। পুরো খাদ্যগুদামেরই অবস্থা নাজুক। তবে বর্তমানে রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ। এই রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য আমি অতিদ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা