• বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

  • || ০৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

‘আম-ছালা’ দুটোই গেল সিলেট বিএনপির সেই নেতাদের

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০১৯  

দল বলেছিল, ‘আমরা এই নির্বাচন বর্জন করছি। আপনারা কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না।’ কিন্তু তারা দলের কথায় কান দেননি। দলীয় নির্দেশ অমান্য করে হন প্রার্থী। কিন্তু কাক্সিক্ষত ফল আর লাভ করতে পারেননি তারা। ফলে তাদের ‘আম’ যেমন গেছে, সাথে ‘ছালা’ও গেছে।

এই ‘তারা’ হলেন বিএনপির কয়েকজন নেতা, যারা সিলেটের কয়েকটি উপজেলায় নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। অবশ্য, তারা এখন আর বিএনপির নেতা নন। কারণ বিএনপি তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। 

গেল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপি বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করে। এরপর আওয়ামী লীগ সরকার আর বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দলটি। বিএনপির কেন্দ্র থেকে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের জানিয়ে দেয়া হয়, উপজেলা নির্বাচনে যাতে কোনো নেতা প্রার্থী না হন।

কিন্তু বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে সিলেটের ১২টি উপজেলার মধ্যে ৭টিতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন বিএনপির ১২ নেতা। তারা হলেন-সিলেট সদর উপজেলায় মাজহারুল ইসলাম ডালিম, দক্ষিণ সুরমায় জিল্লুর রহমান সোয়েব, বিশ্বনাথে সুহেল আহমদ চৌধুরী ও মিসবাহ উদ্দিন আহমদ, গোলাপগঞ্জে মাওলানা রশীদ আহমদ, গোয়াইনঘাটে লুৎফুল হক খোকন ও শাহ আলম স্বপন, ফেঞ্চুগঞ্জে ওয়াহিদুজ্জামান সুফী, মনির আলী নানু মিয়া ও হারুন আহমদ চৌধুরী, বালাগঞ্জে আবদাল মিয়া ও গোলাম রব্বানী।

জয়ের স্বপ্নে বিভোর থাকা এসব নেতারা দলের নির্দেশনা অমান্য করলে বহিষ্কার হতে হবে, এমন শঙ্কা মাথায় নিয়েই প্রার্থী হন। অনুমিতভাবেই বিএনপি এসব নেতাদের বহিষ্কার করে। এরপর কাল সোমবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু জয়ের মুখ দেখেননি এসব বহিষ্কৃত নেতাদের একজনও।

এই প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব নেতারা একদিকে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন, অন্যদিকে জয়ের বন্দরেও নোঙর ফেলতে পারেননি। ফলে তাদের ‘আম ও ছালা’ দুটোই গেছে।

এ প্রসঙ্গে সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ বলেন, ‘বিএনপি যে নির্বাচন বর্জনের সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে। একইসাথে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গেলে এই পরিণতি ভোগ করতে হবে, তাও পরিষ্কার। মূলত এইসব প্রহসনের নির্বাচন নিয়ে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই, জনগণ এসব নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। ফলে ভোট কাস্ট হওয়ার সংখ্যা একেবারেই নগণ্য।’

তিনি বলেন, ‘দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে তারা অন্যায় করেছেন, এর খেসারত দিচ্ছেন। তারা রাজনৈতিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হলেন।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বহিষ্কৃত এসব নেতারা দলে ফিরতে চাইলে সুযোগ দেয়া হবে কিনা, তা সার্বিক বিবেচনার বিষয়। যেহেতু সারাদেশেই অনেককে বহিষ্কার করা হয়েছে, সেহেতু সামগ্রিক প্রেক্ষাপটেই কেন্দ্র থেকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিলেট জেলা বিএনপির আরেক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘দলের এখন দুর্দিন চলছে। এই দুর্দিনে যারা দলের নির্দেশ মানে না, তারা বিশ্বাসঘাতক। এই বিশ্বাসঘাতকতার ফল তারা পেয়েছে।’

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা