• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

সহিংসতা নাকি সমঝোতা-কোন পথে যাবে বিএনপি ?

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ৪ ডিসেম্বর ২০১৯  

৫ ডিসেম্বর বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের ব্যাপারে আপিলের শুনানী অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালে চিকিৎসকদের যে প্যানেল গঠিত হয়েছিল বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসায়, সেই বোর্ড স্বাস্থ্য রিপোর্ট আদালতে দাখিল করার কথা ছিল এদিন। তবে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, নির্ধারিত তারিখে স্বাস্থ্য রিপোর্ট দাখিল করতে পারছে না বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটাল। রিপোর্ট দাখিল করতে তাদের আরো সময় প্রয়োজন। 


এদিকে, সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বিএনপির মধ্যে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি নিয়ে মতবিরোধ থাকলেও শেষ পর্যন্ত বিএনপি সহিংস পথেই যাচ্ছে। এমনকি হরতাল অবরোধের মত কর্মসূচী নেওয়ার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। তবে বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে যে, তারা এক ধরনের আতঙ্ক তৈরীর চেষ্টা করবে। আবার ২০১৪ সালের অবস্থানে তারা ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করবে। বিএনপির একজন নেতা বলেছেন যে, ২০১৪ সালে আমরা ব্যার্থ হয়েছিলাম, ঢাকায় আমরা কিছু করতে পারিনি এজন্য। সেই সময় সরকারের প্রতি জনগনের সমর্থন ছিল, এটি বাস্তবতা। কিন্তু এখন সরকারের প্রতি জনগনের সমর্থন নেই। এরই মধ্যে মঙ্গলবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এক সভায় বলেছেন যে, প্রয়োজনে তারা ৩৫ লাখ লোক কারাবরণ করবে।


অর্থাৎ বিএনপি যে সহিংস পথে যাবার একটা গোপন প্রস্তুতি নিচ্ছে তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে কোন দ্বিধা নেই। বিএনপির একাধিক নেতার সাথে আলাপ করে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে বিএনপি পাড়ায়-মহল্লায় গ্রুপ বৈঠক করছে এবং সেই বৈঠকগুলোতে ঝটিকা আন্দোলন বা আকস্মিক আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। একইসাথে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও সহিংস আন্দোলনকে উসকে দেয়ার চেষ্টা করছেন। যদিও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই খবরকে অস্বীকার করেছেন।


তিনি বলেছেন, বিএনপি সহিংস রাজনীতিতে বিশ্বাস করেনা, বিএনপি গণতান্ত্রিক দল। তিনি বলেন যে, বেগম জিয়া গ্রেপ্তার হবার আগে আমাদের বলেছেন যে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে চাই। তিনি বলেন যে, আমি আশা করি যে, বেগম খালেদা জিয়া ন্যায়বিচার পাবেন, তিনি গুরুত্বর অসুস্থ।


অন্য একটি সূত্র অবশ্য বলেছে যে, বেগম খালেদা জিয়ার ইতিমধ্যে ৩৭টি মামলার মধ্যে ৩৫টি মামলায় জামিন হয়ে গেছে। এখন শুধু যে দুটি মামলায় তিনি দÐিত হয়েছিলেন- জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এবং জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় তাঁর জামিন বাকী আছে। এই দুটি মামলায় জামিন হলে তাঁর আইনি প্রক্রিয়ায় মুক্ত হতে কোন বাঁধা নেই। আর সে কারণেই বিএনপি এখন আন্দোলনের চেয়ে আদালতের দিকেই তাকিয়ে আছে। বিএনপির একটি অংশ বিশেষ করে তারেক জিয়া নিজে ‘খালেদা জিয়াকে আটকে রেখেই সরকার বিরোধী আন্দোলন করে ২০১৪-১৫ প্রেক্ষাপটে ফিরে যেতে চান’। অন্যদিকে খালেদা পন্থীরা চাইছেন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিটাই হওয়া উচিত প্রধান বিষয়। খালেদা জিয়ার মুক্তির পর ধাপে ধাপে আন্দোলন প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে।


তবে সহিংসতার পথে যাবে নাকি সমঝোতার ভিত্তিতে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে তা বোঝা যাবে ৫ ডিসেম্বর। এ দিন আপিল বিভাগে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে।
 

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা