সাতক্ষীরায় ২৬ হাজার টন চিংড়ি উৎপাদনের লক্ষ্য
আজকের সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর ২০২৩
দেশে মোট রফতানিজাত বাগদা চিংড়ির সিংহভাগ উৎপাদন হয় উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় চলতি মৌসুমে সরকারিভাবে উৎপাদন লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬ হাজার টন যার বাজারমূল্য ধরা হয়েছে ২ হাজার ৩৪০ কোটি টাকার ওপরে। এরই মধ্যে উৎপাদন লক্ষ্যের ৮০ শতাংশ অর্জিত হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা মৎস্য অধিদপ্তর।
যদিও গত মৌসুমে জেলায় বাগদা চিংড়ি উৎপাদনের লক্ষ্য ছিল ২৫ হাজার টন, অর্জিত হয়েছিল ২৪ হাজার ৬০০ টনের মতো। এ হিসাবে চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা বেড়েছে এক হাজার টন। তবে এখন পর্যন্ত জেলার লবণ পানির ঘেরগুলোয় যে পরিমাণ বাগদা চিংড়ি দেখা যাচ্ছে, তাতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে মৎস্য বিভাগ।
সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন,‘২০২৩-২৪ মৌসুমে জেলার ছয়টি উপজেলায় ৬০ হাজার লবণ পানির ঘেরে বাগদা চিংড়ি চাষ হচ্ছে। চলতি মৌসুমে সরকারিভাবে রফতানিজাত বাগদা চিংড়ি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬ হাজার টন। কেজিপ্রতি ৯০০ টাকা হিসাবে যার দাম ২ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা। এ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার অন্তত ৮০ শতাংশ অর্জিত হয়েছে।’
আনিছুর রহমান বলেন,‘এখন পর্যন্ত লবণ পানির চিংড়ি ঘেরগুলোয় যে পরিমাণ বাগদা চিংড়ি রয়েছে, তাতে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত মৌসুমে জেলায় বাগদা চিংড়ি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৫ হাজার টন, অর্জিত হয়েছিল ২৪ হাজার ৬০০ টনের মতো। এ হিসাবে চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা বেড়েছে ১ হাজার টন।’
জেলার অধিকাংশ চিংড়িচাষীর অভিযোগ, চিংড়ি রেণুর মান নিয়ন্ত্রণ করার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় প্রতারিত হচ্ছেন তারা। মানহীন ও জীবাণু বহন করা রেণু পোনা ঘেরে ছেড়ে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন চাষীরা।
আশাশুনি উপজেলার সরাপপুর গ্রামের চিংড়িচাষী রাজ্যেশ্বর দাশ জানান, একটানা প্রায় আড়াই দশক বাগদা চিংড়ি উৎপাদন করেন তিনি। ২০২৩-২৪ মৌসুমেও অন্তত দুই হাজার বিঘা লবণ পানির ঘেরে বাগদা চিংড়ি চাষ করেছেন। তবে চলতি মৌসুমে শুরু থেকে তার ঘেরে ভাইরাস বা অন্য সংক্রামকে প্রচুর চিংড়ি মারা গেছে। মৌসুমের মাঝামাঝি ঘেরে চিংড়ি উৎপাদন বেশ ভালো।
রাজ্যেশ্বর দাশ আরো জানান, মানহীন চিংড়ি রেণু ঘেরে অবমুক্ত করার ফলে চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এসব পোনা ঘেরে ছাড়ার পর বয়স ৩৫-৪০ দিন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মারা যাচ্ছে। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘেরে চিংড়ি মরার কারণে দিশেহারা চাষীরা। পরবর্তী সময়ে এর কোনো প্রতিকারও পাওয়া যায় না। এভাবেই একেকটি চিংড়ি ঘেরে মোট রেণুর অন্তত ৬৫-৭০ শতাংশ মারা যায়। তার পরও চাষীরা টিকে থাকার লড়াইয়ে উৎপাদন করে চলেছেন। তবে চিংড়ির সঙ্গে সাদা মাছ চাষ করার ফলে কিছুটা লাভবান হচ্ছেন তারা।
চিংড়ির মানহীন রেণুর বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘সরকারিভাবে সাতক্ষীরায় পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। প্রযুক্তিগতভাবে আরো কিছুদিন সময় লাগবে এটি চালু করার জন্য। তখন চাষী চাইলেই চিংড়ির রেণু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে পারবেন।’
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ইটাগাছা গ্রামের মাছ চাষী আবু বকর সিদ্দিকী জানান, দেবহাটা উপজেলার শ্যামনগর এলাকায় বাগদা চিংড়ি চাষ করেন তিনি। চলতি মৌসুমেও প্রায় ১০০ বিঘা ঘেরে বাগদা ও গলদা চিংড়ি চাষ করেছেন। গত মৌসুমে একই পরিমাণ ঘেরে চিংড়ি চাষ করে উৎপাদন ও অন্যান্য খরচ তুলেও প্রায় ৬-৭ লাখ টাকা লাভ হয় তার। চলতি মৌসুমেও এ পর্যন্ত ৮০ শতাংশ চিংড়ি বিক্রি করেছেন। বাজারে প্রতি কেজি বাগদা চিংড়ির দাম পাওয়া যাচ্ছে ৯০০-৯২০ টাকা পর্যন্ত। তবে কক্সবাজার থেকে যেসব রেণু সাতক্ষীরায় আসে, তার মান যাচাই করার কোনো ব্যবস্থা নেই। এখানে উচ্চমূল্যে রেণু কিনে ঘেরে ছাড়ার কিছু দিন যেতে না যেতেই চিংড়ি মরতে শুরু করে। এ জেলায় হাজার হাজার চাষী বাগদা চিংড়ি উৎপাদন করেন। অথচ এখানে সরকারিভাবে কোনো পিসিআর ল্যাব নেই রেণুর মান পরীক্ষা করার জন্য।
সাতক্ষীরা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুর রব জানান, রফতানির পাশাপাশি দেশীয় বাজারেও বাগদা চিংড়ির চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। বর্তমানে ২৫-৩০ গ্রেডের বাগদা চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৯০০-৯৫০ টাকা কেজি দরে। তবে মাঝেমধ্যে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে সাতক্ষীরার চিংড়ির সুনাম নষ্ট হচ্ছে। তিনি রফতানিজাত চিংড়ির আন্তর্জাতিক বাজার ধরে রাখতে সংশ্লিষ্টদের আরো উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান।
- ‘যারা আমার বিরোধিতা করবে, তারা আল্লাহর সঙ্গে বিরোধিতা করবে’
- বুবলীর আগেও বিয়ে হয়েছিল, মেয়েও আছে সেই ঘরে?
- এই গরমে ডায়রিয়া হলে কী করবেন
- প্রিজন ভ্যানেই নারী ধর্ষণ!
- বাঘের আক্রমণে মৌয়াল নিহত
- স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা
- গণভবনের শাক-সবজি কৃষক লীগ নেতাদের উপহার দিলেন শেখ হাসিনা
- ইসরায়েলে কী রকম অস্ত্র দিয়ে হামলা চালাল ইরান
- হত্যার হুমকির পর এবার সালমানের বাড়ির সামনে গুলি
- উত্তেজনার মধ্যেই ইসরায়েলি জাহাজ জব্দ করল ইরান
- সদকাতুল ফিতর কখন কার ওপর ওয়াজিব
- ব্রাজিলিয়ান বিকিনি মডেলের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন আরিয়ান!
- মন্ত্রীর নাতির সঙ্গে মেয়ে জাহ্নবীর প্রেমের কথা স্বীকার করলেন বনি!
- ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পাননি ড. ইউনূস: শিক্ষামন্ত্রী
- পবিত্র কাবা থেকে সাড়ে ৩ কিলোমিটার ছাড়াল নামাজের কাতার
- চিকিৎসক হলেন ৩ ফুট উচ্চতার ভারতীয় তরুণ
- রোজা রাখলে শরীরে যা ঘটে
- বই বিক্রির অর্থ মসজিদ নির্মাণে দিলেন সঙ্গীতশিল্পী তাশরিফ
- ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েরা
- দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগ
- বাঙালির হৃদয়কে আবিষ্ট করেছিল ৭ মার্চের ভাষণ: প্রধানমন্ত্রী
- মানুষের অধিকাররক্ষায় কাজকরে র্যাব,তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা গ্রহণ নয়
- রাজনীতি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্তে মাহি
- ছেলেকে নিয়ে খবর, মেসি বললেন—এটা মিথ্যা
- ৭২ বিজিবি সদস্যকে পদক পরিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
- রমজানে ভোক্তাদের যেন হয়রানি না হয়: প্রধানমন্ত্রী
- ভোমরা স্থলবন্দরে দুর্নীতি, ডেপুটি কমিশনারকে প্রত্যাহারের দাবি
- ভোমরা স্থলবন্দরের কাস্টমস অফিস এখন অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানির আখড়া
- রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার
- আমাদের পুলিশ আরও স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠবে: প্রধানমন্ত্রী
- সদকাতুল ফিতর কখন কার ওপর ওয়াজিব
- বুবলীর আগেও বিয়ে হয়েছিল, মেয়েও আছে সেই ঘরে?
- স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা
- উত্তেজনার মধ্যেই ইসরায়েলি জাহাজ জব্দ করল ইরান
- ইসরায়েলে কী রকম অস্ত্র দিয়ে হামলা চালাল ইরান
- বাঘের আক্রমণে মৌয়াল নিহত
- প্রিজন ভ্যানেই নারী ধর্ষণ!
- হত্যার হুমকির পর এবার সালমানের বাড়ির সামনে গুলি
- গণভবনের শাক-সবজি কৃষক লীগ নেতাদের উপহার দিলেন শেখ হাসিনা
- এই গরমে ডায়রিয়া হলে কী করবেন
- ‘যারা আমার বিরোধিতা করবে, তারা আল্লাহর সঙ্গে বিরোধিতা করবে’