• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় জোয়ারের পানিতে বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ১১ মে ২০২৩  

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় মোখায় রূপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। তবে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, সাতক্ষীরায় আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই। এদিকে স্থানীয়দের আশঙ্কা, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারের পানিতে বাঁধ ভাঙতে পারে।    
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর  বলেন, ‘মোখা’ সাতক্ষীরায় আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই। তবে যেকোনো দুর্যোগ এলেই সাতক্ষীরা উপকূলে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলার উপকূলীয় শ্যামনগর, আশাশুনি ও কালিগঞ্জ ৩টি উপজেলায় ইউএনওদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্রে আনতে উপকূলীয় নদীতে নৌকা, ট্রলার রেডি রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৫ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকলে মাইকিংও করা হবে।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী বলেন, সাতক্ষীরায় বর্তমানে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে। তবে আপাতত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। আগামী ১৩ তারিখ বৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 
এদিকে সাতক্ষীরার ভাঙনকবলিত শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, বুড়গোয়ালিনী, পদ্মপুকুর মুন্সিগঞ্জ ও আশাশুনির প্রতাপনগর, খাঁজরা, আনুলিয়া ও আশাশুনি সদর ইউনিয়নে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লবণাক্ততা এবং প্রচন্ড গরমে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। 
এছাড়া বালুযুক্ত জরাজীর্ণ বাঁধে বৃষ্টির পানি পড়লেই তা গলে যেতে শুরু করে। ফলে জোয়ারের পানির চাপ বাড়লে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। বর্তমানে বেড়িবাঁধের বিভিন্ন স্থানে সংস্কারের কাজ চললেও বেশ কিছু স্থান এখনও মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারের চাপ মোকাবিলায় সক্ষম না। 
গাবুরা ইউনিয়নের বাসিন্দা আল আমিন বলেন, আমাদের ইউনিয়নের চকবারা, লেবুবুনিয়া, হরিষখালীসহ কয়েকটি এলাকার বেড়িবাঁধের ৮টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। ঝড়ের পূর্বে মেরামত করা না হলে নিশ্চিত গাবুরা ইউনিয়ন প্লাবিত হবে।
বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের বাসিন্দা মামুন হোসেন বলেন, বর্তমানে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দুর্গাবাটির ৩টি পয়েন্ট ও দাতিনাখালীর একটি পয়েন্ট মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এসব এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতে পারে। ইতোমধ্যে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। 
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড ১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দীন বলেন, আমাদের ডিভিশনের ৩৮০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ৩ কিলোমিটার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে আমরা চিহ্নিত করেছি। ইতোমধ্যে ওই ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। কোনো দুর্যোগ না এলে বাঁধ ভাঙার সম্ভাবনা নেই।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা