• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ৯ মে ২০২২  

ঘূর্ণিঝড় অশনি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে সাতক্ষীরা। মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো। ঝুঁকিপূর্ণ বাধ মেরামতে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। রয়েছে মেডিকেল টিমও। সুপেয় পানি সংরক্ষণ ও শুকনো খাবার সংগ্রহে জনপ্রতিনিধিরা কাজ করছেন।

রোববার (৮ মে) দুপুরে এ নিয়ে জরুরি প্রস্তুতি সভাও করেছে সাতক্ষীরার জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মাশরুবা ফেরদৌস। এছাড়া সব উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় জানানো হয়, উপকূলীয় এলাকার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলাকে ঘিরে থাকা বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে দ্রুত সংস্কার করবে পাউবো।

ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সুপেয় পানি সংরক্ষণসহ স্থানীয় বাজার থেকে শুকনো খাবার সংগ্রহ করতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশসহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে প্রস্তুতি সভার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে সাতক্ষীরায় সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকার নদীগুলোতে পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। তবে ঝড়ো বাতাস না থাকায় ঢেউয়ের কোনো তীব্রতা নেই।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী জাগো নিউজকে বলেন, আগামী দু-তিন দিন আকাশ মেঘলা থাকবে। ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমান যে দিকে অগ্রসর হচ্ছে সেটি ভারতে আঘাত হানতে পারে। বাংলাদেশের উপকূলে প্রবেশের সম্ভাবনা কম। তবে এর প্রভাবে প্রচুর বৃষ্টিপাত হতে পারে। জোয়ারে বাড়তে পারে নদীর পানির উচ্চতা।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন জাগো নিউজকে বলেন, পাউবোর আওতায় ৮০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এরমধ্যে ৪৪টি পয়েন্টে বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সোমবার থেকে সেসব জায়গায় জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।

সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মাশরুবা ফেরদৌস বলেন, সোমবার দুপুরে ওয়েবিনারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠক হয়েছে। জেলার সরকারি ১৯৭টি আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে। এছাড়া ৭৪০টি স্কুল, কলেজ, মাদরাসাসহ অন্য প্রতিষ্ঠান দুর্যোগকালের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে সাড়ে তিন লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের ৮৬টি মেডিকেল টিম গঠন করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে ট্রলার ব্যবস্থাও আছে। পাশাপাশি প্রায় তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা