• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় মাদ্রাসা ছাত্রীর আত্মহত্যা, পিতা ও সৎ মা আটক

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ৪ অক্টোবর ২০২১  

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মনিরা পারভীন নামের ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রী গলায় ওড়না জড়িয়ে আত্মহননের ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাদ্রাসা ছাত্রীর মা কুমকুম বেগম নিজে বাদী হয়ে আত্মহননের প্ররোচনা অভিযোগ এনে তার স্বামী ও সতীনের বিরুদ্ধে রোববার রাতে থানায় এই মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই ছাত্রীর বাবা ও সৎ মা’কে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো আত্মহননকারি মাদ্রাসা ছাত্রী মনিরা পারভীনের পিতা সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাট গ্রামের মোঃ আহম্মদ আলী গাজীর ছেলে জিএম আবু মুছা (৫৪) ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী মোছাঃ নাজমা খাতুন (৩৭)।

পুুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রোববার (৩ অক্টোবর) বেলা এগারটার দিকে শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাট গ্রামে নির্মাণাধীন বাড়ির ছাদের রডের সাথে গলায় ওড়না জড়িয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করে মনিরা পারভীন (১৪)। মনিরা শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাট গ্রামের জিএম আবু মুছার কন্যা। সে নাসিরাবাদ দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

স্থানীয় একাধিক সুত্র জানায়, দ্বিতীয় স্ত্রী’র ইন্ধনে আবু মুছা রোববার সকালে মুনিরাকে ব্যাপক মারপিট করে। বেলা দশটার দিকে আবু মুছা কর্মস্থল হেতালখালী মাদ্রাসায় যাওয়ার পর মুনিরা তাদেও নির্মাণাধীন বাড়ির ছাদের রডের সাথে গলায় ওড়না জড়িয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করে। এসময় তার নিজের মা কুমকুম বেগম ও সৎ মা নাজমা খাতুন বাড়ির বাইরে ছিল। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বেলা একটার দিকে শ্যামনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে।

এদিকে পিতা ও সৎ মা পিটিয়ে হত্যার পর তার মেয়ের গলায় ওড়না জড়িয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করে মনিরার মা কুমকুম বেগম। এঘটনায় তিনি নিজে বাদী হয়ে স্বামী আবু মুছা ও সতীন নাজমা খাতুনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করে। এসময় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাদ্রসা ছাত্রীর পিতা জিএম আবু মুছা ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী নাসিমা খাতুনকে আটক করে। পরে রাতে জিএম আবু মুছা ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী নাসিমা খাতুনের বিরুদ্ধে আত্মহননের প্ররোচনা অভিযোগ এনে কুমকুম বেগমের দেয়া অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসাবে রেকড করা হয়।

শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ জানান, মৃতদেহ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় আত্মহননের প্ররোচনা অভিযোগ এনে মাদ্রাসা ছাত্রীর মায়ের দায়ের করা মামলায় মৃতের পিতা আবু মুসা ও তার সৎ মা নাজমা খাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা