• বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

  • || ০৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

এক ইনজেকশনে হাঁটতে পারেন না গৃহবধূ

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০১৯  

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় গ্রাম্য চিকিৎসকের এক ইনজেকশনে অচল হয়ে গেছেন গৃহবধূ সাবিনা ইয়াসমিন। শরীরের একাংশ অচল অবস্থায় তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভুক্তভোগী সাবিনা ইয়াসমিন উপজেলার নলতা ইউনিয়নের ইন্দ্রোনগর গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী।

সাবিনা ইয়াসমিন জানান, শরীরের ব্যথা নিয়ে পাঁচদিন আগে নলতা বাজারের গ্রাম্য চিকিৎসক ফজলুর রহমানের কাছে যাই। পরে ফজলুর রহমান আমার কোমরের নিচে একটি ইনজেকশন দেন। এরপর থেকে আর উঠে দাঁড়াতে পারিনি আমি। চিকিৎসক প্রথমে বলেছিলেন ঠিক হয়ে যাবে, কিন্তু আর ঠিক হয়নি। আমি এখন অচল হয়ে পড়েছি। আমার বাম পা একেবারেই অবস হয়ে গেছে।

সাবিনা ইয়াসমিনের স্বামী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি কৃষিকাজ করি। খেটে খাওয়া মানুষ। গ্রাম্য চিকিৎসক ফজলুরকে বিশ্বাস করে তার কাছে চিকিৎসার জন্য স্ত্রীকে পাঠিয়েছিলাম। আমার স্ত্রীর জীবন শেষ করে দিয়েছে ফজলুর। শনিবার সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্ত্রীকে ভর্তি করেছি। কি ইনজেকশন দিয়েছিল তা জানার জন্য মেডিকেলের চিকিৎসক ফোন দিলেও ধরেনি ফজলুর।

গ্রাম্য চিকিৎসক ফজলুর রহমান কালিগঞ্জ উপজেলার ব্রজোপাটুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দেবহাটার ইসামতি টেকনিক্যাল কলেজের কম্পিউটার বিভাগের ল্যাবে চাকরি করেন। কালিগঞ্জের নলতা বাজারে রয়েছে তার রোগী দেখার চেম্বার।

এ বিষয়ে ফজলুর রহমান বলেন, প্রতি মাসেই আমার কাছে আসেন সাবিনা। কয়েকদিন আগে আমার কাছে আসার পর আমি কিটোনিক-৩০ ইনজেকশন দিয়েছিলাম। পরদিন এসে বলেছিল, ব্যথা কমেনি। তারপর ভলটানিল ইনজেকশন দিয়েছি। এর বাইরে কোনো ওষুধ সাবিনাকে দেয়া হয়নি।

তিনি বলেন, শুনেছি তার বাম পা অবস হয়ে গেছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সাবিনা। আমি যে চিকিৎসা দিয়েছি তার জন্য সাবিনার এমন হওয়ার কথা নয়।

সাবিনা ইয়াসমিনের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডা. কাজী আরিফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা