• বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

  • || ০৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

কলারোয়ায় মহা ধুমধামে কালী পূজা উদযাপন

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০১৮  

ই প্রথম কলারোয়া বাজারের স্বর্ণশিল্পীদের আয়োজনে কালী পুজো অনুষ্ঠিত হয়েছে। ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্যপূর্ণ পরিবেশে মঙ্গলবার (৬নভেম্বর) উপজেলা সদরের স্বর্ণপট্টিতে এ পুজোর আয়োজন করা হয়। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন মন্দিরেও কালী পুজো অনুষ্ঠিত হয়েছে। কালী পুজোকে দীপাবলি পুজোও বলা হয়ে থাকে।

কলারোয়া বাজারের ডাকবাংলা মোড় এলাকার ভাই ভাই মার্কেটে অনুষ্ঠিত পুজোয় স্বর্ণকার-ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা অংশ নেন।কালী পুজো উপলক্ষে ঢাকের বাজনা, নানান রকম ধর্মীয় অনুষ্ঠান, বাহারি আতশ বাজির ঝলকানি ও চোখ ধাঁধানো আলোক সজ্জায় মেতে ওঠে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।পুজো আয়োজক কমিটির সভাপতি লক্ষণ বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, মুরারিকাটির পালপাড়া মন্দির, ঝিকরা হরিতলা মন্দির, তুলসীডাঙ্গা মন্দির,দামোদরকাটি মন্দির, কেঁড়াগাছী মন্দির, রামকৃষ্ণপুর মন্দিরসহ উপজেলার ২৫টিরও বেশী মন্দিরে কালী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও বাসাবাড়িতেও অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ পুজো।

সন্ধ্যা থেকে পৌরসদরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আকাশের দিকে আতশ বাজির আলো আর শব্দে মুখোরিত হতে দেখা যায়। পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দিলিপ কুমার অধিকারী জানান-দুর্গা পূজা ও লক্ষ্মী পুজোর পরেই সময় শক্তি সাধনার অর্থাৎ কালী পুজো বা শ্যামা পুজো বলা হয়ে থাকে। কালী পুজো সাধারণত আমাবস্যা তিথিতে সম্পন্ন করা হয়। দেবী কালী বা ভগবতী কালী মূর্তির একটি পা মহাদেবের বুকের ওপর থাকে এক হাতে অসুরের ছিন্ন মস্তক ও অন্য হাতে খড়গ। দেবীর গলায় থাকে নরমুন্ডের মালা। তবে অনেক ক্ষেত্রে কালী দোয়াত দেবী মূর্তির পরিবর্তে দেবী ভগবতী রূপে বন্দনা করা হয়।পুজো শুরু করার পূর্বে লেখনি দোয়াত বা কালী দোয়াতটি পুজোর আসনে বসানো হয়ে থাকে। অনামিকা অঙ্গুলি দ্বারা লেখনি দোয়াত গুলিতে স্বস্তিক অঙ্কন করা হয়ে থাকে এবং এর জন্য লাল চন্দনবাটা ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
স্বস্তিক অঙ্কন সমাপ্ত হলে কালী পূজা শুরু হয়। বহু আয়োজন বা ভোগ নয় দেবী কালী শুধু জবা ফুলেই সন্তুষ্ট হন। তবে ভক্তি আস্থা ও নিষ্ঠা এই পুজোকে সঠিক ভাবে সম্পন্ন করে। মধ্যরাতে পুজো শুরু হয় এবং সাধারণত ভোররাতে এই পুজো সম্পন্ন হয়।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা