• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কাজে স্বচ্ছতা আনা হবে-পরিকল্পনামন্ত্রী

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

দেশের ৭০ ভাগ প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে বাস্তবায়ন হয় না, এটা ভয়ঙ্কর অগ্রহণযোগ্য বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব আবুল মনসুর ফয়জুল্লাহর দেওয়া '৭০ ভাগ প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়ন হয় না' এমন তথ্যের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

আজ রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘অ্যাসেসমেন্ট অব বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট সিস্টেম’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এ মন্তব্য করেন পরিকল্পনামন্ত্রী। বিশ্ব ব্যাংক এ কর্মশালা আয়োজন করে।

তিনি বলেন, ‘আমরা সুশাসন অবশ্যই চাই। তবে, আমরা বিশ্বাস করি, সুশাসনের জন্য শুধু সুশাসন আলাদা বিষয় নয়। সুশাসনের জন্য সার্বিক একটি পরিস্থিতি যখন সৃষ্টি হবে, তখনই সুশাসন অর্জন করা সম্ভব হবে। সুতরাং প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের যেসব নিয়মকানুন আছে, কোনো কোনো নিয়ম এখন অপ্রয়োজনীয়, আগে তৈরি করা ছিল, বর্তমানে তার কোনো প্রাসঙ্গিকতা নাই, কিন্তু আমরা সেগুলো উড়িয়ে দিতে পারব না। সেগুলো সংস্কারের প্রয়োজন আছে, প্রধানমন্ত্রী সংস্কারে বিশ্বাস করেন। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সংস্কারে হাত দিয়েছেন।’

‘আপনারা দেখছেন, এখানেও আমি প্রতিনিয়ত সংস্কার করে যাব। যাতে করে আমাদের বর্তমান কাজের মান ও ‍পরিমাণ দু’টোই বৃদ্ধি পায়,’ বলেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রফেশনাল নই, রাজনীতি করি। আমরা বরাদ্দ দিই, পাস করে দিই। আপনারা যারা কাজ করেন, আপনাদের গাড়ির প্রয়োজন, বসার প্রয়োজন, সেটা জনগণের অর্থ দিয়ে আমরা করে দিই। এর বিনিময়ে আমরা যখন কাজ পাই না, তখন ব্যথা পাই। আপনাদের হয়তো জনগণের মুখোমুখী হতে হয় না। কিন্তু আমাদের প্রতিনিয়িত মুখোমুখী হতে হয়।’

সুশীল সমাজ, সচেতন মানুষ প্রতিনিয়তই বাড়ছে উল্লেখ করে এম এ মান্নান বলেন, ‘সরকার প্রকল্পের কাজে কোনো লুকোচুরি করবে না। সরকার চাইবে, সরকারের প্রতিটি কাজ জনগণের নজরে আসুক এবং জনগণ সেগুলো পরীক্ষা করুক।’

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কাজে স্বচ্ছতা আনা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের যারা আছেন, তারা হয়তো বুঝতে পেরেছেন, প্রতিটি কাজে জনগণ, সরকারের সৃষ্ট নিয়মকানুনকে প্রতিপালন করে, খোলামেলা পরিবেশে, সবার এক্সেসের মধ্যে আমরা কাজ সম্পন্ন করব। যার ফলে নেতিবাচক যে ধারণা আছে, সময়মতো কাজ হয় না, দেরি হয়, দুর্নীতি হয়- সেগুলো আমরা পর্যায়ক্রমে দূর করতে পারব।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মারসি মিয়াং টেমবন, আইএমইডি সচিব আবুল মনসুর ফয়জুল্লাহ, বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান প্রকিউরমেন্ট কনসালট্যান্ট পিটার আরমিন ট্রেপটি, সিনিয়র প্রকিউরমেন্ট স্পেশালিস্ট ইশতিয়াক সিদ্দিকসহ সংশ্লিষ্টরা।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা