• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

২০৩০ সালে দরিদ্র্যতা টেলিস্কোপ দিয়ে খুঁজে পাওয়া যাবে না

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

২০৩০ সালে দেশে টেলিস্কোপ দিয়ে দরিদ্র্যতা খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। 

 

আজ রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) নগরীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন হার্নেসিং ব্লকচেন টেকনোলজি ফর ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। দু’দিনব্যাপী কনফারেন্সের আয়োজন করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। 

দেশের উন্নয়ন তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ২০৩০ সালে প্রত্যেক পরিবারে একটা করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন। আমি বলতে চাই ২০৩০ সালে টেলিস্কোপ দিয়ে দরিদ্র্যতা খুঁজে পাওয়া যাবে না। একই সঙ্গে সেসময় ‘ঘর নেই’ এমন লোক থাকবে না। সবাই থাকবে ক্ষুধামুক্ত।

‘আমাদের অবিশ্বাস্য প্রবৃদ্ধি হবে। দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, ২০২৭ সালে বাংলাদেশে বিশ্বের মধ্যে ২৬তম অর্থনীতির দেশ হবে। ২০৩০ সালে প্রত্যেক পরিবারে একজন করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। দরিদ্রতা শূন্যের কৌঠায় নেমে আসবে। এসময় মালয়েশিয়া-অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে পেছনে ফেলবো আমরা। আমরা বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে পারবো। এ অর্জনের ভিত করে দিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সেই ভিত থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন’।

মন্ত্রী আরও বলেন,  আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেশের উন্নয়নে কাজ করছি। উনাকে কাছ থেকে দেখা সুযোগ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী টাকা-পয়সা কামানো পছন্দ করেন না। অর্থ ও বৈভবের প্রতি উনার কোনো মোহ নাই। প্রধানমন্ত্রীর একটাই মোহ দেশের সব পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কাজ করা।

মুস্তফা কামাল বলেন, ২০৪১ সালে ২০টা প্রথম শ্রেণির দেশের কাতারে থাকবে বাংলাদেশ। ২০৩০ সালে চায়না নম্বর ওয়ান দেশ হবে, অন্যদিকে ভারত হবে তৃতীয় অর্থনীতির দেশ। আমাদের অবস্থান মধ্যখানে। চায়না ও ভারতকে আমাদের সঙ্গে নিয়ে সামনে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ এশীয়ায় বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের শীর্ষে। পদ্মাসেতু বাস্তবায়িত হলে প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ বাড়বে। তখন প্রবৃদ্ধি ডাবল ডিজিটে চলে যাবে। 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, এডিবি কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ, ইআরডির ভারপ্রাপ্ত সচিব ফরিদা নাসরিন প্রমুখ। 

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা