• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

ত্বকের ফাটা দাগ দূর করুন

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

নারী-পুরুষ উভয়েরই কম বেশি স্ট্রেচ মার্ক বা ত্বকের ফাটা দাগ থাকে। হুট করেই শারীরিক পরিবর্তনের ফলে এই ফাটা দাগ হয়ে থাকে। এতে সৌন্দর্যের উপর প্রভাব পরে।

তবে এতে ঘাবড়াবার কিছু নেই। কিছু ঘরোয়া উপায়ে খুব সহজেই এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। নারিকেল তেল, অ্যালোভেরা, চিনি আরো অনেক কিছু দিয়েই দূর করা যায় “স্ট্রেচ মার্ক” বা ত্বকের ফাটা দাগ। চলুন জেনে নেয়া যার এর প্রতিকারের উপায়-

ত্বকের ফাটা দাগ হওয়ার কারণ
> অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া কিংবা অতিরিক্ত ওজন থেকে দ্রুত চিকন হওয়া, সন্তান প্রসবের পর, বয়সন্ধিকালে শরীরে ফাটা দাগ দেখা দিতে পারে।

> ত্বক দ্রুত আকৃতি পরিবর্তন করলে বা সংকুচিত বা প্রসারিত হলে নারী-পুরুষ উভয়েরই এই দাগ হতে পারে। এর পেছনে কোনো রোগের ভূমিকা নেই। ত্বক যখন প্রসারিত হয়, তখন তার “কোলাজেন” দুর্বল হয়ে যায় এবং ত্বকের উপরিভাগে ফেটে যায় বা চেরা দাগ তৈরি হয়। চলুন জেনে নেয়া যাক স্ট্রেচ মার্ক বা ত্বকের ফাটা দাগ দূর করার উপায়-

চিনি
ত্বকের ফাটা দাগ তোলার “ক্লিনিকালি” প্রমাণিত একটি পদ্ধতি হলো “মাইক্রোডার্মাব্রেশন’।এই পদ্ধতিতে দীর্ঘদিন থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে চিনি। এক কাপ চিনির সঙ্গে এক কাপের এক চতুর্থাংশ পরিমাণ আলমন্ড অয়েল কিংবা নারিকেল তেল মিশাতে হবে। এবার সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে দাগ আক্রান্ত অঞ্চলে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন গোসলের আগে মিশ্রণটি মাখতে হবে। ৮ থেকে ১০ মিনিট মালিশ করতে হবে। এভাবে ভালো পাওয়া যায়।

শিয়া বাটার
“অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট” এবং প্রদাহরোধী উপাদান দুটোই আছে “শিয়া বাটার”। “ময়েশ্চারাইজিং”য়ে “শিয়া বাটার” অতুলনীয় এবং নিয়মিত ব্যবহার ত্বককে করে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও দূর করে মৃত কোষ। বিশুদ্ধ “শিয়া বাটার” নিয়ে ফাটা দাগে সরাসরি প্রয়োগ করতে হবে। কিছুক্ষণ মালিশ করে রাখতে হবে। চাইলেই প্রতিদিন কয়েকবার এটি ব্যবহার করতে পারেন।

নারিকেল তেল
এই তেলের ক্ষয়রোধকারী উপাদান আছে, যা ত্বককে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে। আর এজন্য অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে “ভার্জিন” নারিকেল তেল। দিনে দুইবার দাগ হওয়া স্থানে এই তেল লাগাতে হবে।

অ্যালোভেরা
ক্ষয়পূরণের পাশাপাশি ত্বক মসৃণ করতেও বেশ কার্যকরী অ্যালোভেরা। এতে আছে “গ্লুকোমানান” এবং “গিবেরেলিন” নামক উপাদান, যা ত্বকে “কোলাজেন” উৎপাদনের গতি বাড়ায় এবং ক্রমেই হালকা হয় ফাটা দাগ। অ্যালোভেরার থেকে জেল বের করে নিয়ে তাতে ‘ভিটামিন এ’ এবং ‘ভিটামিন ই’ ক্যাপসুলের তেল মিশিয়ে নিতে হবে। ভালোভাবে মিশিয়ে দাগ আক্রান্ত অংশে লাগাতে হবে ।

ক্যাস্টর অয়েল
“রিসিনোলেইক অ্যাসিড” থাকে ক্যাস্টর অয়েলে, যা ত্বকের একটি “কন্ডিশনিং এজেন্ট”। তাই ফাটা দাগ দূরে এটি বেশ কার্যকরী। এর পাশাপাশি ত্বক ও চুলের জন্যও এই তেল উপকারি। ক্যাস্টর অয়েল সামান্য হালকা গরম করে ফাটা দাগ আক্রান্ত অংশে ১৫ -২০ মিনিট মালিশ করতে হবে।

তবে যেকোনো জিনিস ব্যাবহার এর পূর্বে তা ভালো করে যাচাই করতে হবে। সব থেকে ভাল হয় যদি এ ব্যাপারে প্রথমে ডাক্তারের বা ঐ বিষ‍য়ের বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া হয়। তাই যেকোনো পদ্ধতি অনুসরণের আগে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নেয়া ভালো।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা