আমার কাজ বিশ্বাসের প্রতি সম্মান রেখে বিকল্প সমাধান
আজকের সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২১

ড. মোবারক আহমদ খান পাটকল করপোরেশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা। পাট থেকে উদ্ভাবিত সোনালি ব্যাগ, পাটের তৈরি ঢেউটিন, পাটের তৈরি হেলমেট ও টাইলস উদ্ভাবন করে খ্যাতিমান। তার সঙ্গে সমন্বয় করে পাটের সেলুলোজ-ভিত্তিক স্যানিটারি প্যাড তৈরির প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছেন ফারহানা সুলতানা। তিনি আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) সহকারী বিজ্ঞানী। পাটের সেলুলোজ-ভিত্তিক স্যানিটারি প্যাড তৈরির যন্ত্র উদ্ভাবনের প্রস্তাবের জন্য চতুর্থ ইনোভেশন পিচ প্রতিযোগিতায় গ্র্যান্ড পুরস্কার জিতেছেন তিনি। এটি বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যে কোনো দেশের নারীর স্বাস্থ্যবিধির জন্য পরিবেশবান্ধব একটি বিকল্প সমাধান।
আমেরিকান সোসাইটি ফর ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিন আয়োজিত ‘চতুর্থ বার্ষিক ইনোভেশন পিচ প্রতিযোগিতায়’ জয়ী হওয়ার জন্য আপনাকে অভিনন্দন।
ফারহানা সুলতানা: ধন্যবাদ। আমি ভাবিনি মানুষ আমার প্রাপ্তি এতো পছন্দ করবে! মেন্সট্রুয়াল হাইজিন বিষয়ে সমাজে মেয়েদের কোণঠাসা করে রাখা হয়। এর যে গুরুত্ব আছে- স্বাভাবিকভাবেই মেয়েরা-ছেলেরা সব জায়গা থেকেই এটা অ্যাপ্রিসিয়েট করছে। এটা একটা ভালো দিক মনে হয়েছে আমার কাছে। এই কাজটি শুরু করেছিলাম ড. মোবারক আহমেদ খানের সঙ্গে সমন্বয় করে ২০১৯ সালে। এখন মেশিন বানানোর কাজটি শুরু করবো, ইনশাআল্লাহ্।
নারীর স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানে কাজ করার উৎসাহ বা অনুপ্রেরণার গল্পটি জানতে চাই।
ফারহানা সুলতানা: নারীর স্বাস্থ্য সমস্যা সমাজে অবহেলিত বিষয়। এর পেছনে সামাজিক ট্যাবু কাজ করে। নারীর অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা আছে যেগুলোর সমাধান না-খুঁজে লুকিয়ে রাখা হয়। এই প্রবণতা সমাজে আছে। গ্লোবালিও দেখা যায় এই খাত নিয়ে কাজ করতে গিয়ে কিছু সমস্যা থাকে। এখন পর্যন্ত নারীর স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানে পুরুষরা বেশি কাজ করেছে। যেমন নারীর মেন্সট্রুয়াল হাইজিন নিয়ে আমাদের দেশে অনেক দিন ধরেই কাজ হচ্ছে কিন্তু আমাদের যেটা দরকার সেগুলো নিয়ে গভীরভাবে ভাবা হয়নি। একই বিষয়ে নারীরা যখন কাজ করবে আরও গভীর ও ন্যানো সমস্যাগুলো সমাধানে উদ্যোগ নিতে পারবে-কেননা সেও ভুক্তভোগী। এর সঙ্গে একজন নারীর অভিজ্ঞতা জড়িত। আমি নিজেও এর আওতাভূক্ত।
আমি সমস্যার সমাধান খুঁজতে চেয়েছি। পড়েছি নৃবিজ্ঞান নিয়ে, মানুষ সম্পর্কে জানাশোনা, প্রতিটি সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া শিখেছি সেখান থেকে। এরপর অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক হেলথ্ নিয়ে পড়েছি, কাজের পরিধি ফেভার করেছে। তাছাড়া বিজ্ঞানী ড. ফেরদৌসী কাদরী যিনি আমার কাছে অনুপ্রেরণার নাম। যার নাম না নিলেই নয়- তিনি আমার প্রিয় ব্যক্তিত্ব ড. মোবারক আহমেদ খান।
প্রশ্ন: সামাজিক ট্যাবুগুলো মোকাবিলা করে আপনার আবিষ্কার সমাজের গভীরে কীভাবে প্রভাব ফেলবে মনে করছেন?
ফারহানা সুলতানা: যেহেতু নৃবিজ্ঞান নিয়ে পড়েছি, আমি জানি এবং বিশ্বাস করি মানুষের বিশ্বাসে আঘাত দেওয়া যায় না সবসময়। প্রতিটি মানুষের, সমাজের গোষ্ঠীর আলাদা নর্মস বা ভ্যালু আছে- নৃবিজ্ঞান সেগুলোকে সম্মান করতে শেখায়। আমি যে কাজটি বেছে নিয়েছি তার কাজ এবং প্রভাব হচ্ছে প্রত্যেকের বিশ্বাস এবং চর্চার প্রতি সম্মান রেখে বিকল্প সমাধান দেওয়া। এই প্রক্রিয়া মেনে কাজ করছি, করে যাবো।
প্রশ্ন: নারীর স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানে আর কী কাজ করছেন বা করতে চান?
ফারহানা সুলতানা: যারা ঋতুকালীন কাপড় ব্যবহার করেন তাদের জন্য একটি ইনোভেশন করেছি কাপড়ের প্যাড। যারা কাপড় ব্যবহার করে আমরা যদি তাদের বলি কাপড় নয়- প্যাড ব্যবহার করো, তাহলে সেটা কিন্তু তাদের জন্য পীড়াদায়ক হবে। নিম্ন আয়ের কোনো মানুষের মেয়েকে যদি বলি- তুমি কাপড় ব্যবহার কোরো না, প্যাড ব্যবহার করো; আমি হয়তো বলতে পারবো- কিন্তু তার কি সেই সামর্থ্য আছে? তার পরিবার কি সেই টাকা দিতে পারবে? না। তার জন্য প্রয়োজন তার যা আছে তাই দিয়ে হাইজিন সমাধান দেওয়া। সে কাজটি করার চেষ্টা করছি। যে কাপড়ের প্যাড তৈরি করেছে সেটা ইনক্লুড-লিক করবে না। একই সঙ্গে মেয়েটি আরামে থাকতে পারবে। ডিসপোজেবল প্যাড ব্যবহারে অনুৎসাহিত করছি।
মাসিকের সময় অনেক মেয়েই ঠিকমতো খেতে চায় না। শরীরে প্রয়োজনীয় আয়রণ, জিঙ্ক-এর ঘাটতি তৈরি হয়। এই সমস্যা সমাধানে অঞ্চল ভেদে আলাদা আলাদা ‘নিউট্রিয়েন্টস বার’ করছি। আয়রন ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ লোকাল ফুড থাকবে।
প্রশ্ন: বুদ্ধিজীবী হিসেবে লেখক-কবিরা এ দেশে যতটা পরিচিতি বা খ্যাতি পায়, সে তুলনায় বিজ্ঞানীদের সেভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। এ বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
ফারহানা সুলতানা: ছোটবেলা থেকেই আমরা অনেকেই লেখক হতে চাই, অনেকের গল্প, কবিতা পড়ে ভেতরে ফ্যাসিনেশন কাজ করে। এদের সামাজিকভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয় পাশাপাশি যারা ইনোভেশন বা আবিষ্কার নিয়ে কাজ করে তাদেরকেও যদি গুরুত্ব দেওয়া হয়; প্রচারে, উদাহরণে সামনে আনা হয় তাহলে নতুনরা আবিষ্কারের স্বপ্নটা সহজে দেখবে। অনেকে ফ্যাসিনেশন থেকে এ কাজে যুক্ত হবে। এ সেক্টরে গতি বাড়বে। সমাজে যাদের গুরুত্ব দেওয়া হবে সে কমিউনিটি বা গ্রুপটা শক্তিশালী হতে থাকে। সুতরাং বিজ্ঞানীদের উৎসাহ দেওয়ার অর্থ আপনি নবাগতদের এবং ভবিষ্যতে যারা আসবে তাদেরকেও উৎসাহ দিচ্ছেন। যে কোনো কাজে উৎসাহটা দরকার। আর তা যদি হয় বড় পরিসরে সেটা অবশ্যই ভালো।
বর্তমান জেনারেশনের বেশির ভাগ বিসিএস-এ টেকা বা আমলা হওয়াটাকে সফলতা মনে করছে। এই মনে হওয়াটা সমাজ তৈরি করে দিয়েছে। সব কিছুই দরকার আছে, কিন্তু আমাদের দেশে যেটা হয়েছে ‘ফলোয়ার’ হও- বিষয়টা শিক্ষার্থীদের মাথায় ঢুকিয়ে দেয় পরিবার, সমাজ। এর সঙ্গে অর্থনৈতিক নিশ্চয়তাও জড়িত। পরিপূর্ণ সমাজের জন্য শুধু ফলোয়ার তৈরি না করে লিডার তৈরি করতে হবে। আমাদের সেই মেধা আছে। এর পরিচর্যা করে পরিবার, সমাজ, দেশ এবং বৃহৎ পরিসরের মানুষ আরও নতুন কিছু পেতে পারে।
২০২২ সালে অনুষ্ঠিতব্য ৫ম ইনোভেশন পিচ প্রতিযোগিতায় বিচারক হবার কথা রয়েছে আপনার, সেজন্য অগ্রীম অভিনন্দন।
ফারহানা সুলতানা: হা হা হা, ধন্যবাদ। আমার কাছে ভালো লাগছে তার কারণ সেসময় আরও ভালো ভালো কিছু ইনোভেশন দেখতে পাবো। পরিবেশবান্ধব এবং নারীদের স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানে সত্যিকার অর্থে প্রভাব ফেলবে এরকম কোনো ইনোভেশন যদি পাই সে ধরনের কাজ আমি নিজেও এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবো। যেহেতু এটা প্রেসটিজিয়াস একটা প্ল্যাটফর্ম- ভেবে ভালো লাগছে!
প্রশ্ন: মেধাবীরা কখনো কাজের পরিধি বাড়ানোর জন্য, আবার কখনো ভালো সুযোগ থাকায় দেশের বাইরে চলে যায়, আপনার ক্ষেত্রেও কি এমন ঘটতে পারে কিনা?
ফারহানা সুলতানা: অল্প কিছুদিনের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার মোনাস ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি করতে যাচ্ছি। সেখানে আমার সুপারভাইজার যিনি তিনিও পাবলিক হেলথ-এর বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করেন। তিনি আবার অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া হয়েছেন এ বছর, যেটা আমাদের দেশের স্বাধীনতা পুরস্কারের মতো। তো, তার অধীনে কিছু কাজ করার সুযোগ হবে বলে মনে করছি।

- কালিগঞ্জের নলতায় দেশের বৃহত্তম ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
- সুন্দরবনে ট্রলারসহ আটক চার জেলেকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা
- ব্রয়লারের দাম বেঁধে দিলেন দেবহাটার ইউএনও
- শ্যামনগরে ৩টি বন্দুক ও ২ রাউন্ড গুলিসহ ডাকাত আটক
- নিত্যপণ্যের দাম ক্রমান্বয়ে কমছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
- বাংলাদেশের কাছ থেকে যুক্তরাজ্য শিখতে পারে : ব্লুমবার্গ
- গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অব্যাহত রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর: তথ্যমন্ত্রী
- সাতক্ষীরায় এনজিও অফিস ফেরাও বিক্ষুব্ধ গ্রাহকদের
- হজ নিবন্ধনের সময় বাড়লো ৫ এপ্রিল পর্যন্ত
- পুলিশ সদস্যের বাড়িতে চেতনানাশক স্প্রে করে সর্বস্ব লুট, যুবক আটক
- আমরা আরও ভালো থাকব, যদি এ সরকার থাকে: শিক্ষামন্ত্রী
- আজ হোয়াইটওয়াশের ম্যাচটি বৃষ্টিতে ধুয়ে যাওয়ার শঙ্কা!
- অন্যকে নিঃস্বার্থভাবে খাবার খাওয়ানোর গুরুত্ব
- মধ্যপ্রদেশে মন্দিরের কুয়ার ছাদ ধসে নিহত ৩৫
- সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় বাইসাইকেল চালক নিহত
- কলারোয়ায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে সাইকেল চালকের মৃত্যু
- বিদেশিদের বিবৃতিতে দেশের ভাবমূর্তিতে ন্যূনতম আঁচড়ও পড়বে না
- সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক সেবা উদ্বোধন করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- সাতক্ষীরায় বিভাগীয় পর্যায়ে শিশু অধিকার পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত
- প্রাইম ব্যাংক স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্টে পিএন বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন
- সাতক্ষীরা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
- দেবহাটায় অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা প্রকল্প পরিদর্শন
- সাতক্ষীরা পুলিশের অগ্নি নির্বাপণ মহড়া অনুষ্ঠিত
- ইউরোপীয় ইউনিয়নে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩৫.৬৯ শতাংশ
- ঘৃণ্য কাজকে নির্লজ্জ সমর্থন দিয়েছেন ফখরুল: কাদের
- অন্য মামলায় শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে
- শেখ হাসিনার পদক্ষেপ প্রশংসনীয়, ফের জয়ী হবেন: ব্লুমবার্গ
- সাতক্ষীরায় হরিণের মাংসসহ আটক ২
- রমজানে ওমরাহ করলে মিলবে হজের সওয়াব
- ইফতারে ‘লেমন রাইস’
- আশাশুনিতে ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত
- সাতক্ষীরার শ্যামনগরে জুসের সাথে বিষ খাইয়ে শিশু হত্যার অভিযোগ
- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ভালো করার চেষ্টা করছি : আইনমন্ত্রী
- সাতক্ষীরায় আগুনে পুড়ে শিক্ষকের মৃত্যু
- শ্যামনগরে মসজিদ থেকে ইমামের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- তালায় পানের বরজে আগুন : ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন
- দেশের সর্ববৃহৎ ইফতার মাহফিল সাতক্ষীরায়
- সাতক্ষীরা উপকূলে হঠাৎ কালবৈশাখী, বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি, জেলে নিখোঁজ
- কলারোয়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
- আশাশুনির ফুটপাতে মানসিক ভারসাম্যহীন এক অপরিচিত নারী
- শ্যামনগর মথুরাপুর সার্বজনীন মহা শিব যজ্ঞ অনুষ্ঠিত
- সাতক্ষীরায় ভেজাল দুধ তৈরীর অপরাধে ব্যবসায়ীকে অর্থদন্ড
- টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট মোস্তাফিজের
- পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধিতে পায়ে হেঁটে ভারতীয় যুবক রোহন সাতক্ষীরায়
- সুন্দরবনে কাঠবোঝাই নৌকাসহ ৩ জেলে আটক
- সাতক্ষীরায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক
- আবারও ক্ষমতায় এলে শিক্ষা জাতীয় করণ হবে : লুৎফুল্লাহ এমপি
- বালা তৈরির গ্রাম সাতক্ষীরার সখিপুর
- শ্যামনগরে শিশু সন্তানকে হত্যার স্বীকারোক্তি মায়ের
- সাতক্ষীরা কারাগারে আসামীর মৃত্যু
