• মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩১ ১৪৩১

  • || ০৫ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

ক্রিপ্টো রাজার পতনে রাতারাতি ২১ লাখ ডলার হারান ব্রিটিশ যুবক

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

কিন্তু তার পতনটাও হয়েছিল রাতারাতি। যা আরও অনেককেই পথে বসিয়েছিল। তেমনি একজন হলেন ব্রিটিশ যুবক সুনীল কাবুরি। স্যাম ব্যাঙ্কম্যানের পতনের ফলে ২১ লাখ ডলার খোয়ান তিনি।

ক্রিপ্টোকারেন্সি হলো একটি ডিজিটাল মুদ্রা, যা এনক্রিপশন অ্যালগরিদম ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। এটি অর্থপ্রদানের একটি বিকল্প পদ্ধতি। ক্রিপ্টোকারেন্সি ভার্চুয়াল কারেন্সি বা ডিজিটাল কারেন্সি নামেও পরিচিত। বিশ্বে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার ডিজিটাল মুদ্রা তৈরি হয়েছে এবং অনলাইন ও অফলাইনে বৈধ অর্থপ্রদানের পদ্ধতি হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে।

গত কয়েক বছরে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বড় হয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার। এসব কারেন্সির লেনদেনের জন্য গড়ে উঠেছে বিনিময় প্রতিষ্ঠানও। এফটিএক্সও ক্রিপ্টো কারেন্সির অন্যতম এক্সচেঞ্জ। বিটকয়েনের মত এখানে ডিজিটাল বা ক্রিপ্টো কয়েন জমা হত। যার প্রতিষ্ঠা করেন মার্কিন যুবক স্যাম ব্যাঙ্কম্যান। আর এর মাধ্যমেই বয়স ৩০ হওয়ার আগেই সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছিলেন তিনি।

কিন্তু কয়েক বছর ধরে গড়ে স্যাম ব্যাঙ্কম্যানের ক্রিপ্টো সাম্রাজ্য রাতারাতি প্রায় ধ্বংস হয়ে যায়। গত বছরের নভেম্বরে হঠাতই একটা প্রবল ঝাঁকুনি খান স্যাম। একদিনেই তার মোট সম্পত্তির ৯৪ শতাংশ উধাও হয়ে যায়।

বিবিসির এক প্রতিবেদন মতে, ক্রিপ্টোর রাজার সাম্রাজ্যে যখন ধস নামল, তখনও শান্তই ছিলেন ব্রিটিশ যুবক সুনীল কাবুরি। তিনি ভেবেছিলেন, এটা তেমন কিছু নয়, আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে। ক্রিপ্টোর রাজা স্যামও আশ্বস্ত করেছিলেন, খুব দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান হবে।

কিন্তু তেমনটা আর ঘটেনি। কয়েকদিন পরই স্যাম ব্যাঙ্কম্যানকে গ্রেফতার করা হয়। সুনীলের সফল বাণিজ্যও এক ধাক্কায় শেষ হয়ে যায়। নিমেষেই হারান ২১ লাখ ডলার। যুক্তরাজ্যের পূর্ব মিডল্যান্ডে থাকেন কাবুরি। বাড়ি তৈরি ও ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর জন্য টাকা জমাচ্ছিলেন তিনি।

এফটিএক্সে বিনিয়োগ করে ২১ লাখ ডলার হারানো সুনীল কাবুরি

স্যাম ব্যাঙ্কম্যানের কোম্পানি এফটিএক্স-এর পতনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন সুনীল। শুধুমাত্র সুনীল নন, শত শত গ্রাহক কোটি কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এফটিএক্স-এর পক্ষ থেকে এখনও তারা কোনো ক্ষতিপূরণ পাননি। স্যামের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনেছেন তারা।

বিবিসির প্রতিবেদন মতে, সেই অভিযোগে স্যাম এখন বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন। ১০০টি দেশের প্রায় ৯০ লাখ মানুষ এফটিএক্স-এর গ্রাহক হয়েছিল। গত বছর যখন কোম্পানিটির পতন হয় তখন তাদের সবাই একসঙ্গে বিপাকে পড়েন। কোর্টের নথিপত্র বলছে, এই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি দাতব্য সংস্থাও রয়েছে।

আগামী সপ্তাহে স্যামের বিচার শুরু হবে। স্যাম বিরুদ্ধে সাতটি জালিয়াতি, ষড়যন্ত্র ও অর্থপাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। বর্তমানে নিউইয়র্কের একটি কারাগারে রয়েছেন স্যাম।

নিজের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য তুলে ধরতে আদালতে হাজির হবেন তিনি। শুরু থেকেই তার দাবি, তিনি কোনো টাকা চুরে করেননি বা কোটি কোটি টাকা লুকিয়েও রাখেননি। স্যামের কোম্পানির অন্যান্য নির্বাহীরা আগেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। 

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা