• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

জাপানে হাগিবিসের তাণ্ডবে মৃত বেড়ে ৬৬

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০১৯  

গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ টাইফুন হাগিবিসের আঘাতে জাপানে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ জনে। প্রবল শক্তিশালী এই টাইফুনের কারণে দেশটির বিভিন্ন প্রান্ত লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে। শনিবার রাতে আঘাত হানা এই টাইফুনে ভূমিধস ও বন্যায় ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিতদের উদ্ধারে মরিয়া অভিযান পরিচালনা করছেন উদ্ধারকারীরা। কিন্তু কাদা-মাটি ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে দেশটির আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে।

মঙ্গলবার ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলছে, ১৯৫৮ সালের পর সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন হাগিবিসের তাণ্ডবে দেশটির কয়েক লাখ বাড়িঘর বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জাপানের জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যম এনএইচকে বলছে, মধ্য ও পূর্বাঞ্চলে হাগিবিসের আঘাতের তিনদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো প্রায় ১৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া ঝড়ের তাণ্ডবে ২০০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

ফিলিপাইনের তাতালোগ ভাষার শব্দ ‘হাগিবিস’; এর অর্থ ‘গতি’। এনএইচকে বলছে, আঘাত হেনে হাগিবিস দুর্বল হয়ে উপকূলীয় এলাকার দিকে চলে গেছে। তবে তার আগে চালানো তাণ্ডবে প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার বাড়ি-ঘর পানির সংকটে পড়েছে। এছাড়া ২৪ হাজার বাড়িঘরে কোনো ধরনের বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। আরও হাজার হাজার বাড়িঘর বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে। তবে দেশটির উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা দ্রুত কমতে থাকায় উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

দেশটির রাজধানী টোকিওর উত্তরাঞ্চলের ফুকুশিমা সবচেয়ে ভয়াবহ ক্ষতির শিকার হয়েছে। এনএইচকে বলছে, শুধুমাত্র ফুকুশিমায় হাগিবিসের তাণ্ডবে কমপক্ষে ২৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। সেখানে এখনও এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে।

জাপানের আবহাওয়া সংস্থা বলছে, সোমবার সকাল থেকে ক্রমশ শক্তি হারিয়ে নিরক্ষীয় ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে হাগিবিস। এই ঝড় এখন জাপানের উত্তর-পূর্ব উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সবচেয়ে শোচনীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মধ্য জাপানের নাগানো অঞ্চলে। এই অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি-ঘরের দোতলা পর্যন্ত পানি উঠেছে।

জাপানের মন্ত্রিপরিষদের সচিব ইয়োশিহিদে সুগা বলেন, হাগিবিসের প্রভাবে দেশের ৩ লাখ ৭৬ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে প্রায় ১৪ হাজার পরিবারে। দেশটির মধ্য, পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে এখনো বন্ধ রয়েছে টেলিফোন ও মোবাইল সেবা।

টাইফুনের তাণ্ডবে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়। উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিয়েছে পুলিশ, দমকল, দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী, উপকূলরক্ষী বাহিনীর ১ লাখ ১০ হাজার সদস্য। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ২৭ হাজার সদস্যও মোতায়েন রয়েছে।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা