• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

রোবট মিনা তৈরি করে আলোচনায় ৩ শিক্ষার্থী

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ৯ এপ্রিল ২০২২  

শিক্ষকরা বলেছেন ‘এমন কিছু আবিষ্কার করো, যেন বিজ্ঞান মেলায় আমরাই শীর্ষ স্থান পাই’। এতেই তিন শিক্ষার্থী মিলে তৈরি করেছেন রোবট। নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিনা’। বিজ্ঞান মেলায় দ্বিতীয় স্থান অর্জনসহ ভার্চুয়াল জগতে মিনাকে নিয়ে বেশ সাড়া পড়েছে। 

সংযোজিত ডাটা অনুযায়ী প্রশ্ন করলেই সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিচ্ছে মিনা। সেই রোবটটিকে আরও সংযোজিত করে হাঁটার জন্য উপযোগী করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে রয়েছে আর্থিক সংকট। আর সংকটটি কাটলেই পরিপূর্ণ করে বাজারজাত করার স্বপ্ন দেখছেন লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তিন শিক্ষার্থী।

জানা যায়, মিনা তৈরি করেছেন ইনস্টিটিউটের ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্র ইয়াছিন আরাফাত হৃদয়, শান্তুনু আচার্য ও মেহেরাজ হোসেন সাগর। এরমধ্যে ইয়াছিন ও সাগর নোয়াখালী এবং শান্তুনু চাঁদপুর জেলার সন্তান। মিনা তৈরিতে শিক্ষকদের উৎসাহ ও সহযোগিতা রয়েছে।

তিন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, রোবটটিকে স্বল্প পরিসরে তৈরি করে বিজ্ঞান মেলায় উপস্থাপন করা হয়। তবে হাঁটার উপযোগী করা সম্ভব হয়নি। সংযোজিত ডাটা অনুযায়ী প্রশ্ন করলেই রোবট মিনা উত্তর দিতে পারে। এটি বিনোদনের মাধ্যমে শিশুদের পড়া শেখানোর উদ্দেশ্যে নির্মিত। 

মিনাকে সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। বাসায় আগুন লাগলে মিনা ডিভাইসে থাকা মোবাইলফোন নম্বরে কল দিয়ে সতর্কবার্তা পাঠাতে পারে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম জড়িত গানসহ বিভিন্ন গান গাইতে পারে রোবট মিনা। কারিগরি শিক্ষাবোর্ড বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান যদি সহযোগিতা করে, তাহলে রোবট মিনাকে আরও সমৃদ্ধের মাধ্যমে বাজারজাত করা যাবে বলে জানান এই তিন শিক্ষার্থী।

লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ জয়দেব চন্দ্র সাহা বলেন, ‘রোবর্ট মিনা আমাদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সময়পোযোগী পদক্ষেপ। শিক্ষার্থীদের এই উদ্ভাবন জাতীয় ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে দেবে। মিনা এখন ক্ষুদ্র পরিসরে রয়েছে। আরও উন্নীত করার জন্য প্রতিষ্ঠান থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে। এ ছাড়া, এসব উদ্ভাবন নিয়ে যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করছে, তাদের সহযোগিতার জন্য আহ্বান রইলো।’

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা