• মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৭ ১৪৩১

  • || ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

রামসাগর জাতীয় উদ্যানে সঙ্গী পেল নীলগাই

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

সাড়ে ৪ মাস একাকিত্ব থাকার পর সঙ্গী পেল প্রতিক্ষিত বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী নীলগাই। দিনাজপুরের ঐতিহাসিক রামসাগর দীঘি জাতীয় উদ্যানে তাদের সংসার শুরু হল।

শুক্রবার দিবাগত রাতে নতুন অতিথি নীলগাই যুবরাজকে আনা হয় এ উদ্যানে। একাকিত্ব থাকা নীল গাই কন্যা ধীরস্থির থাকলেও সঙ্গী পেয়ে দুটোর মাঝেই চঞ্চলতা ফিরে আসে। আর এরই মাধ্যমে  দেশে এই দুর্লভ বন্যপ্রাণী নীলগাইয়ের প্রজনন ঘটানোর আশা করা হচ্ছে। এজন্য রামসাগরে তাদের থাকার জন্যে এরই মধ্যে বাসবাস উপযোগী এনক্লোজার (বেষ্টনী) করা হয়েছে। সেখানেই দু'জনকে এক সঙ্গে রাখা হয়েছে। এদিকে এই দুর্লভ বন্যপ্রাণি নীলগাই জুটিকে দেখতে ভীড় করছেন দিনাজপুরের রামসাগর জাতীয় উদ্যানে।

দিনাজপুর বন বিভাগের কর্মকর্তা ও রামসাগর জাতীয় উদ্যানের তত্ত্বাবধায়ক আবদুস সালাম তুহিন জানান, রামসাগর জাতীয় উদ্যানে শাবক জন্মদানে সক্ষম নারী নীল গাইটি রাখার পর এর বংশবিস্তারের জন্য সন্ধান করা হচ্ছিল পুরুষ নীল গাইয়ের। এটাও পাওয়া গেল। ২২ জানুয়ারী নওগাঁর মান্দা উপজেলা থেকে উদ্ধার হওয়া নীলগাইটিকে রাজশাহী বন্যপ্রাণী ও পরিচর্যা কেন্দ্রে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাকৃতিক পরিবেশে তার পরিচর্যা করার পর সুস্থ করা হয়। পরে দিনাজপুর রামসাগর জাতীয় উদ্যানে একটি নীলগাই কন্যা থাকার কারণে ওই নীলাগাইটিকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। শুক্রবার দিবাগত রাতে রামসাগর জাতীয় উদ্যানে পুরুষ নীলগাইটিকে আনা হয়।

তিনি আরো বলেন, এবার বিলুপ্তপ্রায় এই বন্যপ্রাণিটির বংশ বিস্তার সম্ভব হবে। যেহেতু রামসাগর জাতীয় উদ্যানটিতে বংশবিস্তারের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। কারণ এখানে পাঁচটি চিত্রা হরিন এনে বংশ বৃদ্ধি পেয়ে এখন ৫৪টিতে দাঁড়িয়েছে।

উল্লেখ্য, নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলা থেকে উদ্ধার করা বিলুপ্তপ্রায় নীলগাইটিকে গত ২২ জানুয়ারি মধ্যরাতে রাজশাহী বন্যপ্রাণী ও পরিচর্যা কেন্দ্রে নেওয়া হয়। সেখানে তার চিকিৎসার পর পুরুষ এ নীল গাইটিকে দিনাজপুর সামাজিক বন বিভাগ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করলে রামসাগর দীঘি জাতীয় উদ্যানে আনা হয়।

এর আগে, গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর বিকালে ঠাকুরগাওয়ের রানীশংকৈল সীমান্তের কুলিক নদীর কাছে থেকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে একটি দুর্লভ নারী নীলগাই। খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসন নীল গাইটিকে উদ্ধারের পর দিনাজপুর সামাজিক বন বিভাগ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করলে রামসাগর দীঘি জাতীয় উদ্যানে রাখা হয়।

রামসাগর দীঘির তত্ত্বাবধায়ক এ কে এম আবদুস সালাম তুহিন জানান, ওই সময়ে প্রাণীটির গর্ভে বাচ্চা ছিল। কিন্তু সেই সময় মানুষের ধাওয়ায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এতে নীল গাইটির মুখ ও শরীরের বেশকিছু স্থানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এতে গর্ভের বাচ্চাটি জীবিত প্রসব হলেও কিছুক্ষণ পর মারা যায়।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা