• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

আন্দোলন অব্যাহত, ক্যাম্পাস ছাড়লেন ভিসি

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

বৈরী আবহাওয়া এবং প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১ দিন ধরে ভিসি অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে গতকাল রাত ৯টার দিকে পুলিশ পাহারায় ক্যাম্পাস ছেড়েছেন ভিসি অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন। এ খবর শুনে শিক্ষার্থীরা উল্লাস প্রকাশ করেন।

গতকাল রবিবার সকাল ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এসময় গত ২১ সেপ্টেম্বর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়। তারা বলেন, ভিসির পতন না হওয়া পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে। সংবাদ সম্মেলন শেষে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা চত্বরে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানববন্ধন করেন।

এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী কল্যাণ মিত্র বলেন, ‘হামলার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রায় সকলেই ভিসির বিশ্বস্ত লোক এবং তারা যে প্রতিবেদন দিয়েছে তা সন্তোষজনক নয়। সবকিছু বিবেচনা করে এই তদন্ত প্রতিবেদন আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।’

তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহিম খান বলেন, ‘আমরা তদন্তে তেমন কোনো সাক্ষী-প্রমাণ বা হামলাকারীদের শনাক্ত করতে পারিনি। ফলে এ বিষয়ে একটি ফৌজদারি মামলা দায়েরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি।’

মামলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. নূরউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলা করতে গেলে পুলিশ প্রশাসন জানায় এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে একটি মামলা হয়েছে, আর মামলার দরকার নেই।’

সদর থানার এসআই সিরাজুল ইসলাম বলেন, হামলার বিষয়ে ১৫০ জন অজ্ঞাতনামা লোকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আমরা মামলার বিষয়ে তদন্ত করছি। কে বা কারা বাদী হয়ে মামলা করেছেন এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি একটু বাইরে আছি মামলার এজাহার না দেখে বলতে পারছি না।’

এদিকে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন চলাকালে প্ল্যাকার্ডে ভিসির বিভিন্ন অপকর্মসহ দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার নির্মাণে দুর্নীতি। এ পর্যন্ত দেড় কোটি টাকার ওপরে খরচ হয়েছে এবং শহিদ মিনার নির্মাণে বাস্তব অগ্রগতি দেখানো হয়েছে ৬৮.৪৮ শতাংশ। অথচ কাঠ ও প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে নির্মিত শহিদ মিনারের জায়গায় তৈরি হয়নি কোনো নতুন শহিদ মিনার। এছাড়া জয়বাংলা চত্বরে রোপণ করা একটি বৃক্ষের ক্রয়মূল্য দেখানো হয়েছে ৬ লাখ টাকা, যার প্রকৃত ক্রয়মূল্য ৭০ হাজার টাকা।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভিসির পতনের দাবিতে আন্দোলন করছেন। তার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, নৈতিক স্খলন, অবৈধ ভর্তি ও নিয়োগ বাণিজ্য এবং স্বজনপ্রীতিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা