• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

স্ত্রী হত্যা : গাজীপুরের সাবেক কাউন্সিলরের জামিন আপিলে স্থগিত

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ৬ মে ২০১৯  

স্ত্রী হত্যার অভিযোগে করা মামলায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর সোলাইমান মিয়ার জামিন স্থগিত করে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

 

আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ হাসান চৌধুরী পরাগ। তিনি জানান, ঘটনার পর হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়ে আত্মসমর্পণ করেন সোলাইমান মিয়া। চলতি বছরের ২৮ মার্চ হাইকোর্ট থেকে এক বছরের জামিন পান তিনি। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করি। সোমবার হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে তাকে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে সোলাইমান মিয়ার স্ত্রী খুনের ঘটনায় সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর যুক্ত করা হয়।

২০১৬ সালের ২০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকার উত্তরার বাসা থেকে সোমবার (২০১৬ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর সোলায়মান মিয়ার স্ত্রী নুশরাত জাহান টুম্পার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সোলায়মান নির্যাতন করে স্ত্রীকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নুশরাত জাহান (৩০) গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কোনাবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলামের মেয়ে। তার স্বামী সোলায়মান মিয়া গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর (সাবেক)। তিনি স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ঢাকার উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের ৪ নম্বর রোডের ৪ নম্বর বাসায় কয়েক বছর ধরে বসবাস করছেন।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের ভবানীপুর এলাকার সোলায়মান মিয়ার সঙ্গে প্রায় ১২ বছর আগে নুশরাতের বিয়ে হয়। বিয়ের পাঁচ বছর পর থেকে বিভিন্ন সময় নুশরাতকে নির্যাতন করতেন সোলায়মান। গত রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সোলায়মান, নুশরাত, নুশরাতের ভাই সাঈদ হোসেন ও তার স্ত্রী বসুন্ধরা এলাকায় বেড়াতে যান। এ সময় সোলায়মানের সন্তান নাফি (৮) উত্তরাতে তার নানা নজরুল ইসলামের বাসায় ছিল। বসুন্ধরা এলাকা থেকে যমুনা ফিউচার পার্কে যাওয়ার সময় গাড়িতে সোলায়মান মিয়ার মুঠোফোনে অন্য এক মেয়ের ছবি দেখে ক্ষুব্ধ হন নুশরাত। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া ও বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে রাতে সোলায়মান ও নুশরাতকে তাদের বাসায় নামিয়ে দিয়ে সাঈদ তার স্ত্রীকে নিয়ে চলে যান। পরে রাতের কোনো এক সময় নুশরাতকে নির্যাতন করে হত্যার পর সোলায়মান বাসার বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান। পরদিন সকালে গৃহপরিচারিকা বাসার দরজা বন্ধ দেখে নুশরাতের মাকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে তারা ওই বাসায় এসে জানালা ভেঙে ঘরে ঢোকেন। এ সময় খাটের ওপর নুশরাতের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তারা।

এ ঘটনায় নুশরাতের বাবা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা