সাগরদাঁড়িতে মহাকবির মৃত্যুবার্ষিকীতে ৩ ভারতীয় গুণীজনকে সম্মাননা

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের সার্ধশত (১৫০তম) মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কবির জন্মভূমি সাগরদাঁড়িতে দুই বাংলার কবি-সাহিত্যিকদের নিয়ে ‘মধুসূদন স্মরণ সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে ভারতীয় তিন গুণীজনকে মধুসূদন একাডেমি পুরস্কার ও সম্মাননা প্রদান করা হয়। শুক্রবার (৪  আগস্ট) ওই অনুষ্ঠানকে ঘিরে দুই বাংলার কবি-সাহিত্যিকদের উপস্থিতি মিলনমেলায় রূপ নেয়। অনুষ্ঠানে আলোচনা সভার পাশাপাশি কবিতা আবৃত্তি ও মধুগীতি পরিবেশন করা হয়।

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের সার্ধশত মৃত্যুবার্ষিকীতে মধুসূদন একাডেমি পুরস্কার গ্রহণ করেন ভারতের খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক সমীরণ দাস। এ ছাড়া সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. কানাই সেন এবং কলকাতার লেখক ও প্রকাশক মারুফ হোসেন। 

মধুসূদন একাডেমির চেয়ারম্যান কবি কাসেদুজ্জামান সেলিমের সভাপতিত্বে সাগরদাঁড়িতে অনুষ্ঠিত স্মরণ সমাবেশের উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন।

মুখ্য আলোচক ছিলেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত গবেষক ও কথাসাহিত্যিক হোসেনউদ্দীন হোসেন।
মধুসূদন একাডেমি পুরস্কার গ্রহণের পর অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তৃতা করেন কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. কানাই সেন। স্মারক বক্তৃতা করেন কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. কানাই সেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কবি ও কথাসাহিত্যিক চঞ্চল শাহরিয়ার।

সম্মানিত আলোচক ছিলেন কবি ও প্রাবন্ধিক শুভ্র আহমেদ এবং প্রাবন্ধিক ও গবেষক বিভূতিভূষণ মন্ডল। স্বাগত বক্তব্য দেন মধুসূদন একাডেমির পরিচালক কবি খসরু পারভেজ। আলোচনা শেষে অতিথিবৃন্দ ভারতীয় তিন গুণীজনকে মধুসূদন একাডেমি পুরস্কার ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন ভারতের আলিপুর জেলারেল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।