• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

গোপালগঞ্জে সড়ক ধসে বাড়িঘর হুমকির মুখে

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ৪ ডিসেম্বর ২০১৯  

গোপালগঞ্জ শহরে দুটি পাকা রাস্তা ধসে সরকারি খাদ্যগুদাম ও বাড়িঘর হুমকির মুখে পড়েছে; আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী।

মার্কেট নির্মাণের জন্য পাইলিং করার সময় কম্পনে ভূগর্ভের বালি সরে যেতে পারে বলে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী জানিয়েছেন।

তবে একজন জনপ্রতিনিধি অভিযোগ করেছেন, শহরের একটি নদী খনন ও ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলনের কারণে এই ধস সৃষ্টি হয়েছে।

জেলা খাদ্যগুদামের সামনে ও মিয়াবাড়ি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়ক দুটির এক পাশ থেকে অনেকখানি দেবে গেছে।

খাদ্যগুদাম সড়কটির সোল্ডার ১৬ দিন ধরে দাবছে বলে জানিয়েছেন গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বরকত।

তিনি বলেন, “১৬ দিন আগে থেকে সড়কটির সোল্ডার দেবে যাচ্ছে। এ কারণে তিন হাজার মেট্রিকটন খাদ্যশস্য ধারণক্ষমতার পাঁচটি গুদাম ভবন হুমকির মুখে পড়েছে।”

পরে গুদাম কর্তৃপক্ষ যান চলাচল না করার জন্য নোটিশ টানিয়ে দিয়েছে।

মিয়াবাড়ি এলাকার বাসিন্দা গৃহবধূ শাহানাজ বেগম বলেন, “বসতঘরের পাশেই সড়ক দেবে গেছে। আতঙ্কে রাতে ঘুমাতে পারি না। দিন যাচ্ছে আর রাস্তা আরও বেশি গভীরে দেবে যাচ্ছে।

“কষ্টের জামানো টাকা দিয়ে বাড়ি করেছি। কখন বাড়িঘর দেবে যায় সেই দুশ্চিন্তায় পড়েছি।”

তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

শহরের ব্যাংকপাড়ার বাসিন্দা প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, “এখন এসব রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে ভয় লাগে। সরকারি খাদ্যগুদাম রক্ষা ও সড়ক চালু রাখতে আমরা দ্রুত একটা ব্যবস্থ চাই।”

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। 

তিনি বলেন, খাদ্যগুদামের সামনের সড়কের সোল্ডারে ভারি ট্রাক রেখে পণ্য লোড-আনলোড করা হত। এই চাপে খাদ্যগুদাম সড়কের সোল্ডার দেবে যেতে পারে। এছাড়া ওই গুদামের পাশে পৌর সুপার মার্কেট নির্মাণের জন্য পাইলিং করার সময় কম্পনে ভূগর্ভের বালি সরে সড়কটির সোল্ডার দেবে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

“আর মিয়াবাড়ির সামনে সড়কটি নির্মাণত্রুটির কারণে দেবে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে । খাদ্যগুদামের সড়ক রক্ষায় ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। মিয়াবাড়ি সড়ক রক্ষায় পৌরসভাকে আমরা সাপোর্ট দেব।”

তিনি নির্মাণত্রুটির কথা বললে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকে দায়ী করেছেন গোপালগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিসর আল আমিন।

কাউন্সিসলর বলেন, “কিছুদিন আগে শহরের মরা মধুমতী নদীটি খনন করা হয়। এছাড়া মিনি ড্রেজার দিয়ে নদীটির মিয়াবাড়ির সামনে থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হয়। ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় আশপাশের রাস্তা ও বাড়ির নিচের স্তরের বালু সরে সড়কটি তিন দিন আগে দেবে দেবে গেছে।

“আশপাশের এলাকার আরও দু-এক জায়গায় দেবে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে বেশ কিছু বসতবাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে।

তবে কাউন্সিলরের অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ।

তিনি বলেন, “এখানে মরা মধুমতীতে কোনো খাদ বা ভাঙন সৃষ্টি হয়নি। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।”

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা