• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

বাগেরহাটে মাদ্রাসাছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার, ঘাকত আটক

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ৬ মে ২০১৯  

বাগেরহাটে ধর্ষণের পর হত্যা করে খালের চরে পুতে রাখা অবস্থায় ফারিয়া ইয়াসমিন লামিয়া (৭) নামে প্রথম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার রাতে বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নের পাতিলাখালী গ্রামের দিঘিরজান খালের চরে পুতে রাখা অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে গ্রামবাসী। 

নিহত শিশুটির মরদেহর ময়না তদন্তের জন্য সোমবার সকালে বাগেরহাট হাসপাতাল মর্গে সম্পন্ন হয়েছে। দুপুরে নিহত মাদ্রাসা ছাত্রীকে পাতিলাখালী গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এই হত্যাকান্ডে জড়িত মিনহাজুল ইসলাম শোয়েব (১৯) নামে এক তরুণকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত লামিয়া কোন্ডলা দাখিন মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

নিহত শিশুটির পিতা ও বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নের পাতিলাখালী গ্রামের চিংড়ী খামারি ওমর আলী শেখর বাদী হয়ে সোমবার সকালে ঘাতক মিনহাজুল ইসলাম শোয়েবের নামে মামলা করেছে। ঘাতক মিনহাজুল ইসলাম শোয়েব পিরোজপুর জেলার নামাজপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ইমনের ছেলে। শোয়েব তার নানা ওমর আলীর পাতিলাখালী গ্রামের বাড়ীতে থেকে পড়ালেখা করছিলো। ঘাতক চলতি শিক্ষাবর্ষে পাতিলাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলো। মিনহাজুল ইসলাম শোয়েব নিহত লামিয়ার সম্পর্কে ভাগ্নে।

বাগেরহাটের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ আফজাল বলেন, রবিবার বিকাল ঘাকত শোয়েব আম খাওয়ানো প্রলোভন দিয়ে বাগানে ডেকে নিয়ে শিশু লামিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ দিঘিরজান খালের চরে পুতে রাখে। এদিকে পরিবারের সদস্যরা লামিয়াকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে স্থানীয় গ্রামবাসী শিশুটিকে খুঁজতে নেমে রাতে তাদের বাড়ির পাশের খালের চরে পুতে রাখা অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে। এই শিশুটিকে হত্যায় জড়িত থাকার সন্দেহে তার নিকট আত্মীয় শোয়েরকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে স্থানীয়রা। 

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিশু লামিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ পুতে রাখার বিষয়টি স্বীকার করেছে ঘাতক শোয়েব।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা