• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

১০ সহস্রাধিক মানুষের ভরসা জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকো

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারি ২০২০  

গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের কালিরবাজার সংলগ্ন মানস খালের উপর নির্মিত একটি বাঁশের সাঁকোই এলাকার ১০ সহস্রাধিক মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা।

সাঁকোর মাঝখানের বেশ কয়েকটি বাঁশের জাকলা (বাতা) ভেঙে যাওয়ায় সেটি এখন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তারপরও এর উপর দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসী।

এ সাঁকোর উপর দিয়ে গিদারী ও ঘাগোয়া ইউনিয়নের প্রধানের বাজার, সোনালেরভিটা, খলিসার পডল, বারটিকবী, খরিয়ার চর, ঝাকুয়ারপাড়া, বালিয়ার ছড়া, রহমাননগরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রায় ১০টি গ্রামের ১০ সহস্রাধিক মানুষ এই সাঁকো দিয়েই আসা-যাওয়া করেন।

শুকনো মৌসুমে সাঁকোর নীচ দিয়ে যাতায়াত করা গেলেও বেশির ভাগ পথচারী ঝুঁকি সত্ত্বেও সাঁকোর উপর দিয়েই চলাচল করে। তবে বর্ষাকালে যাতায়াতের জন্য এ সাঁকো ছাড়া আর কোনো বিকল্প রাস্তা নেই।

এলাকাবাসী জানায়, বাঁশের সাঁকোর আগে এই খালের উপর রংপুর জেলা বোর্ডের নির্মিত একটি সেতু ছিল। ১৯৮৮ সালের বন্যার সময় পানির তোড়ে বিধ্বস্ত হয়ে ভেসে যায় সেই সেতু। পরবর্তীকালে ওই স্থানে আর কোনো সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। 

স্থানীয় জনগণ নিজেরাই যাতায়াতের সুবিধার্থে ব্রিজের জায়গায় এই বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করেন। সেসময় থেকেই সাঁকোটি ভেঙে গেলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে নিজেরাই মেরামত বা পুনঃনির্মাণ করে আসছেন। বর্তমানে সেই সাঁকোটির অবস্থা খুবই জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। যেটি এখন সংস্কারের প্রয়োজন।  

গিদারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুনর রশিদ ইদু জানান, বিভিন্ন সময়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সদর উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), এলজিইডির গাইবান্ধা নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় এবং জেলা প্রশাসনকে এলাকার জনগণের দুর্ভোগের বিষয়টি অবহিত করে সেতু নির্মাণের দাবি জানানো হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও এ সমস্যার সমাধান হয়নি। 

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ জানান, সাঁকোর জায়গায় ৪৫ মিটার দীর্ঘ একটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাবনা প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা