• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

সিলেটে শিম বীজ ‘ফ্রেঞ্চ বিন’ রফতানি হচ্ছে বিদেশে

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল ২০১৯  

সিলেটে এবার শীত মৌসুমে ব্যাপকহারে ‘ফ্রেঞ্চ বিন’ শিমের চাষ হয়েছে। এ সবজির বাম্পার ফলন ঘরে তুলে বীজ বের করে শুকিয়ে সংরক্ষণ করেছেন চাষিরা। শুকনো বীজ এখন রপ্তানি করা হচ্ছে বিদেশে।

সিলেটের পলি মিশ্রিত জমিতে এই সবজি খুব ভালো উৎপন্ন হয়। শিম জাতীয় এ সবজির বীজ খাওয়া হয়। সিলেটে এই সবজিকে ‘ফরাস বিচি’ বলা হয়। একই প্রজাতির একটু ভিন্ন এই শিম দেশের অন্যান্য জেলায় উৎপাদন করা হয়। আর একই প্রজাতির ‘ফ্রেঞ্চ বিন’-এর চাষ সম্প্রতি মাগুরা জেলায় করা হচ্ছে। অন্যান্য জেলায় এই প্রজাতির কিছুটা ভিন্ন শিমকে ফেলন বা ফেলনা বলা হয়।

শীতকালে মাটিতে সারিবদ্ধভাবে একটি করে বীজ বোনা হয়। একফুট অন্তর একেকটি গাছ দেড় থেকে দুই ফুট উঁচু হয়ে থাকে। প্রতি গাছে নিচের দিকে ঝুলে থাকে ৫ থেকে ৭ ইঞ্চি লম্বা শিম। প্রতি গাছে ২৫ থেকে ৩০টি শিম ধরে। এই শিম খাওয়া হয় না। শিম থেকে বীজ বের করে মাছ দিয়ে রান্না করে বা ডাল রেধে খাওয়া হয়। একেকটি শিমে ৭ থেকে ৯টি বীজ পাওয়া যায়। সিলেটে এই বীজ খুবই জনপ্রিয় খাবার।

প্রথমে শিম তুলে বীজ বের করে পানিতে ভিজিয়ে ছাল ফেলতে হয়। পরে বীজগুলো রান্না করে খাওয়া হয়।  বিদেশে প্রবাসী সিলেটীদের কাছে বীজটি প্রিয় বলে ইংল্যান্ড, আমেরিকা, কানাডাসহ কয়েক দেশে তা রফতানি করা হয়।

সিলেটে এবার বীজটি খুব বেশি উৎপাদন করা হয়। সিলেটের জৈন্তাপুর, গোয়াইঘাট, কানাইঘাট, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ, বালাগঞ্জ, বিশ্বনাথ ও ওসমানী নগরে এ বীজের চাষ হয়। ফ্রেঞ্চ বিন বাজারে বিক্রি শেষ মৌসুম। এখন শুকিয়ে প্রক্রিয়া জাত করে তা বিদেশে রফতানি করা হচ্ছে। তবে শুকনো বীজের চেয়ে কাঁচা অবস্থায় তরতাজা বীজ খেতে স্বাদ বেশি।

সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. ইলিয়াস বলেন, ‘ফ্রেঞ্চ বিন’কে সিলেটে ‘ফরাস বিচি’ বলা হয়। সিলেটে এই শিমের খুব চাহিদা। বাজারে নতুন বের হওয়ার সময় এটির প্রতি কেজি ১২০ টাকা দরে ও পরে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়। বীজটি বিদেশেও পাঠানো হয়।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা