• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত সমুহ

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২০  

সাতক্ষীরা থেকে করোনা টেস্টের জন্য এ পর্যন্ত ৫১০ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। ৩৪০ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। ১৭০ জনের রিপোর্ট শীঘ্রই পাওয়া যাবে। এদের মধ্যে ৩ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। সাতক্ষীরা সদরে ১ জন, দেবহাটায় ১ জন এবং তালায় ১ জন করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন নিজ বাড়িতে আছেন এবং অপরজন প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেসনে আছেন।

করোনা চিকিৎসা চিত্রঃ

সাতক্ষীরাতে সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে ৮ টি এবং বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে ২৪ টি । সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে বেডের সংখ্যা ৬৩১ টি এবং বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে বেডের সংখ্যা ৪২০ টি । কোভিড-১৯ চিকিৎসায় প্রস্তুতকৃত বেড ৫৪ টি । সাতক্ষীরাতে সরকারি ডাক্তারের সংখ্যা ১২৩ এবং বেসরকারি ডাক্তার ১৩০ জন ও সরকারি নার্সের সংখ্যা ২৮৯ জন এবং বেসরকারি নার্সের সংখ্যা ২৪০ জন্ । ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) মোট ৬২৩৬ টি হতে ৪৫৯৪ টি বিতরণ করা হয়েছে।

চিকিৎসা সরঞ্জাম

কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যাক্তির চিকিৎসায় ০৩ টি এ্যাম্বুলেন্স সার্বক্ষণিক প্রস্তুত আছে, ৮ টি ভেন্টিলেশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা হয়েছে, ২০ অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং ২০ টি নেবুলাইজার প্রস্তুত রয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে করোনা হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে করোনা হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া, চিকিৎসকদের কোয়ারেন্টাইনের জন্য মোজাফফর গার্ডেন রিসোর্টকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারিন্টিন চিত্র

প্রথম পর্যায়ে, ১ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ভারতসহ বিশ্বের নানা দেশ থেকে আগত ১১,২৫৫ জন মানুষকে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সেচ্ছাসেবীদের সমন্বয়ে হোম কোয়ারিন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে, দেশের করোনা আক্রান্ত ৭ টি জেলা থেকে ২০ হাজারের অধিক শ্রমজীবী লোক সাতক্ষীরা জেলায় আসেন। তাদের মধ্যে ১৫০০০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন এবং ৩০৯৬ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় হতে প্রাপ্ত, বিতরণ ও মজুদ
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে ত্রাণ কার্য (নগদ) হিসেবে মোট ৮৬,৫০,০০০/- টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে । এর মধ্যে ৭৫,১০,০০০/- টাকা বিতরণ করা হয়েছে এবং বর্তমানে মজুদ আছে ১১,৪০,০০০/- টাকা । এছাড়া ত্রাণ কার্যে ১৮০০.০০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে । যার মধ্যে বিতরণকৃত ১৪২৫.০০০ মেট্রিক টন এবং বর্তমানে মজুদ আছে ৩৭৫.০০০ মেট্রিক টন চাউল । শিশু খাদ্যক্রয় বাবদ বরাদ্দ ২২,০০,০০০/- টাকা । যার মধ্যে বিতরণকৃত ১৫,৯৯,৯৩১/-টাকা এবং মজুদ আছে ৬,০০,০৬৯/- টাকা।

বেসরকারি ত্রাণ তহবিলের তথ্য

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর অফিসে ত্রাণ তহবিল খোলা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের ত্রাণ তহবিলে জেলা প্রশাসকের ঈদ বোনাস, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ১ দিনের বেতন সমপরিমান অর্থ, জেলা কৃষি বিভাগ তাদের ১ দিনের বেতন সমপরিমান অর্থ ত্রাণ তহবিলে আর্থিক সাহায্য হিসেবে প্রদান করেছেন। সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান ১ লক্ষ টাকা নগদ অনুদান দিয়েছেন। জেলা প্রশাসনের ত্রাণ তহবিলে এখন পর্যন্ত ৪,৫৮,২৫৭ টাকা সংগৃহীত হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ টাকা ব্যয় করা হয়নি।

সাতক্ষীরা জেলার সকল উপজেলায় বেসরকারি ত্রাণ তহবিল গঠন করা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী তাদের একদিনের বেতন সমপরিমাণ অর্থ, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ তাদের বেতন এবং প্রবাসী ও ধর্ণাঢ্য ব্যবসায়ীগণ তাদের নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য প্রদান করছেন। এ জেলাতে বেসরকারি ত্রান তহবিলে মোট আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ ৪৬,২৫,৫০০/- টাকা । আশাশুনি উপজেলায় ১১,৮৪,০০০/- টাকা, দেবহাটা উপজেলায় ৩,৩০,০০০/- টাকা, কালিগঞ্জ উপজেলায় ১৬,০০,০০০/- টাকা, শ্যামনগর উপজেলায় ৭,২০,০০০/- টাকা, কলারোয়া উপজেলায় ১,৪৩,৫০০/- টাকা, তালা উপজেলায় ৪,৭৪,০০০/- টাকা, সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ১,৭৪,০০০/- টাকা আর্থিক সহায়তা পাওয়া গেছে

জেলার সামগ্রিক প্রচারণা ও ভ্রাম্যমান বাজারের চিত্র

সাতক্ষীরা জেলায় মোট ৩,৯৭,৫৭০ টি লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে । প্রতিদিন করোনা মোকাবেলায় জনসচেতনতার জন্য জেলায় ৩১৮ টি প্রচারণা মাইকের কার্যক্রম চলমান রয়েছে । প্রতিদিন বিভিন্ন উপজেলাতে ৩২২ টি জীবানুনাশকস্প্রে মেশিন দিয়ে স্প্রে করা হচ্ছে । জেলাতে মোট ২৭৭ টি ভ্রাম্যমাণ বাজার স্থাপন করা হয়েছে এবং ৩৯ টি ভ্রাম্যমাণ ইফতার বাজার চালু আছে। এছাড়া, ১৫৬ টি বাজার স্থানান্তর করা হয়েছে।

মোবাইল কোর্টের তথ্য

জেলাব্যাপী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মোবাইল কোর্টে ১৫ টি অভিযানে ২৯ টি মামলায় ১০৬৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনা প্রতিরোধে ২৪১৮ টি মামলায় ২৬ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রমজান চিত্র

মাহে রমজান উপলক্ষে ১৬ টি পয়েন্টে ভ্রাম্যমাণ ইফতার বাজার চালু হয়েছে। প্রতিদিন বিকাল ৫ টা থেকে সন্ধ্যা ৬.১৫ পর্যন্ত এই ভ্রাম্যমাণ ইফতার বাজার চালু থাকবে। মাহে রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ নিবিড় বাজার মনিটরিংয়ের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে টিম গঠন করা হয়েছে। মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অপতৎপরতাযুক্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বাজার এলাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করা হয়েছে। ৯ টি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ সর্বদা দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রনে কাজ করে যাচ্ছেন।

টিসিবি কার্যক্রম

কালিগঞ্জে আশা এন্টারপ্রাইজ, ভাই ভাই এন্টার প্রাইজ টিসিবি পণ্য বিতরণ করেছে। কলারোয়ায় শহীদ বীজ ভা-ার, জাহিদ ট্রেডার্স, স্বপ্নিল স্টোর, সামিয়া স্টোর টিসিবি পণ্য বিতরণ করেছে। সাতক্ষীরা সদরে মেসার্স হাজী ট্রেডার্স, মেসার্স আয়ুব এন্টারপ্রাইজ মালামাল বিতরণ করেছে। শ্যামনগরে মেসার্স সততা বাণিজ্য ভা-ার টিসিবি পণ্য বিতরণ করেছে। তালায় মেসার্স কলে¬াল এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স শেখ ট্রেডার্স মালামাল বিতরণ করেছে। দেবহাটায় বৈশাখী এন্টারপ্রাইজ টিসিবি পণ্য বিতরণ করেছে। আশাশুনিতে বৈশাখী এন্টারপ্রাইজ টিসিবি পণ্য বিতরণ করেছে।

কর্মহীন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে সরকারি সহায়তা বিতরণঃ সর্বমোট ৯২৩৯৫

সাতক্ষীরা জেলার সকল উপজেলায় কর্মহীন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে সরকারি সহায়তা বিতরণ করা অব্যাহত আছে। এখন পর্যন্ত কর্মহীন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ৯২৩৯৫ জনকে সরকারি সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে। তন্মধ্যে, বাস পরিবহন শ্রমিক ৬২৯২ জন, স্থলবন্দর শ্রমিক ২২০০ জন , ইজি বাইক চালক ২৭৪১ জন, ভ্যান চালক ১০,৪২২ জন, মাহিন্দ্র চালক ১৬৮১ জন, দিনমজুর ১৫৯২৯ জন ও কৃষি শ্রমিক ৪৪৪৬ জনকে সরকারি সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া, নরসুন্দর ১২৮০ জন, হরিজন ১৯১৮ জন, পরিছন্ন কর্মী ১২১৫ জন, হিজড়া ১৮০ জন, বেদে ৬২৯ জন, মুন্ডা ৬৯৩ জন, প্রতিবন্ধী ৬,৫৫৫ জন, চা দোকানি ৪,৬১১ জন, মধ্যবিত্ত ২৭১৮৮ জন, জেলে ৪৬০৭ জন, ঋষি ১৫০৭ জনকে সরকারি সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে ।

বিশেষ প্রচারণা

জেলার মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্যগণ ফেসবুক লাইভে জনগণকে সচেতন থাকতে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে উদ্বুদ্ধ করেন। জেলা প্রশাসক প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ফেসবুক লাইভ এবং লোকাল ক্যাবল টিভি লাইভে সর্বশেষ জেলার করোনা পরিস্থিতি, ত্রাণ কার্যক্রম ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য স্বাস্থ্য বিধিমালা জনগণেরর সামনে তুলে ধরেন। জেলার সার্বিক করোনা সংক্রান্ত কার্যক্রম প্রতিদিন প্রেসনোট আকারে সরকারের র্ঊর্ধ্বতন মহল এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের অবহিত করেন। ফেসবুকের মাধ্যমে সার্বক্ষনিক প্রচারণা চালিয়ে যান । জেলা পুলিশ সুপার প্রয়োজনানুসারে ফেসবুক ও লোকাল ক্যাবল চ্যানেলে আইনশৃঙ্খলাসহ করোনা সংক্রান্ত পুলিসী কার্যক্রম তুলে ধরা এবং জেলার করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত মানুষের জিজ্ঞাসার সরাসরি উত্তর দেন। সিভিল সার্জন ফেসবুকে সর্বশেষ করোনা আপডেট প্রদান করেন এবং নিরাপদ থাকতে করনীয় ফেসবুক লাইভে তুলে ধরেন। জেলার সকল প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং অনলাইন পোর্টাল সমূহ জেলার সর্বশেষ অবস্থা এবং করোনা প্রতিরোধে সকল ইতিবাচক এবং জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম তুলে ধরেন। ফলে জেলার সার্বিক পরিস্থিতি ও গৃহীত কার্যক্রম জেলাবাসী, দেশবাসী ও বিশ্ববাসী জানতে পারেন।

সিদ্ধান্ত সমুহ-

১। আন্তজেলা এবং আন্তউপজেলায় জনগণের চলাফেরা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। জেলার বাইরে থেকে কেউ ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না এবং জেলার ভেতর থেকে কেউ জেলার বাইরে যেতে পারবেনা। এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় এবং অন্যান্য উপজেলা থেকে জেলা সদরে কেউ আসতে পারবে না।

২। জেলার ভেরতে ঢোকার প্রতিটি পয়েন্টে কঠোরভাবে নজরদারি করা হবে। জেলা অভ্যন্তরে প্রবেশের চারটি পয়েন্টে চেকপোষ্ট স্থাপন করা হবে। চেকপোষ্ট এ পুলিশের পাশাপাশি এনজিও এবং স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী কাজ করবে।

৩। জেলা সীমান্ত দিয়ে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। কেউ প্রবেশের চেষ্টা করলে তাকে ফেরত পাঠানো হবে। যদি কেউ বাহিরে থেকে জেলার অভ্যন্তরে প্রবেশ করে তাহলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক আইনানুযায়ী শাস্তির প্রদান করা হবে।

৪। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জেলার প্রতিটি বাজারে কাপড়ের দোকান সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে।

৫। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল ১০ টার আগে এবং বিকাল ৪ টার পরে হাট-বাজার, ব্যবসা কেন্দ্র, দোকান-পাট ও শপিংমলগুলো খোলা রাখা যাবে না। এর ব্যত্যয় হলে দোকানদারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং ঐ সব দোকান ও শপিংমল সিলগালা করা হবে।

৬। তথ্য গোপন করে করোনা রোগী জেলায় অবস্থান করলে বা প্রবেশ করলে এ তথ্য গোপনকারী এবং আশ্রয় প্রদানকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জনস্বার্থে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এই আদেশ জারি করা হলো।

এস এম মোস্তফা কামাল
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট
সাতক্ষীরা

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা