• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

‘লাল রক্ত আমাদের আন্দোলন দমাতে পারেনি’

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯  

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও ষাট দশকের সংগ্রামী ছাত্রনেতা কে বি এম মফিজুর রহমান খান। তিনি ১৯৪৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তৎকালীন নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার (বর্তমান গাজীপুরের কালীগঞ্জ) দক্ষিণসোম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। বাবা ফরহাদ উদ্দিন খান ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। আর মা বদরুন্নেসা খানম গৃহিণী। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি সবেমাত্র জগন্নাথ কলেজ (বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে স্নাতক পাস করে বেরিয়েছেন। তখন মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করতে রাত-দিন পরিশ্রম করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রশিক্ষণ নিতে ভারতের উত্তর প্রদেশের দেরাদুন তাণ্ডয়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যান। সেখানে তিনি ভারতের তৎকালীন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান জগৎ সিংয়ের অধীনে প্রশিক্ষণ নেন। তিনি শেখ ফজলুল হক মনির কমান্ডে বিপ্লবী পরিষদ (বিএলএফ) এবং পরে মুজিব বাহিনী সংগঠিত করেন।

দীর্ঘ আলাপচারিতায় উঠে এসেছে তার ছাত্র রাজনীতি, যুদ্ধজয়ের কথা ও বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎসহ বিভিন্ন স্মৃতিকথা। এরই বিশেষ অংশ পাঠকের উদ্দেশে তুলে ধরা হলো-  

ছাত্র রাজনীতিতে কীভাবে জড়িয়ে পড়েন?

কে বি এম মফিজুর রহমান খান: ১৯৬২ সাল। সেই সময় আইয়ুব খানের সামরিক শাসন অতীষ্ঠ করে তুলেছে দেশের মানুষকে। চাপা ক্ষোভ জন্ম নিয়েছে সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে। বিশেষ করে ছাত্ররা তখন বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। তাছাড়া ছাত্রদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয় হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন প্রদত্ত গণবিরোধী শিক্ষা ব্যবস্থা। এই দুইয়ের বিরুদ্ধে জনতার ক্ষোভ গণআন্দোলনে রূপ নেয়। ছাত্ররা আর ক্লাসে বই নিয়ে বসে থাকতে পারে না। তাদের সঙ্গে আমিও শরিক হয়ে যাই মিছিলে। মিছিল এগিয়ে চলে ঢাকা বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয় আমতলা ময়দানে (বর্তমান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সম্মুখস্থ এলাকা)। চলছে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভা। জীবনে এই প্রথম আমি কোনো ছাত্র সভায় এসেছি। সভায় এসে হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতিতে তৎকালীন ছাত্রলীগের সভাপতি শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন, ছাত্রনেতা শেখ ফজলুল হক মনি, সিরাজুল ইসলাম, ওবায়দুর রহমান, কাজী জাফর, আব্দুর রাজ্জাকের মতো ছাত্র নেতাদের জ্বালাময়ী বক্তৃতা মনে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাদের কণ্ঠে আইয়ুব শাসনের বিরুদ্ধে যে তেজোদীপ্ত বাণী উচ্চারিত হয়, তাতে রোমাঞ্চিত হয়ে উঠি। এভাবে চলতে থাকে সভা, শোভাযাত্রা। নিজেও শরিক হয়ে গেলাম ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে। আন্দোলন তখন চরম রূপ লাভ করে।

ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর ডাকা হয়েছে হরতাল। এ হরতাল বানচালের জন্য আইয়ুব সরকার জারি করে ১৪৪ ধারা। সকাল থেকে সব যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ছাত্ররাও আমতলায় আসতে শুরু করে। সব বাধা উপেক্ষা করে আমতলায় জমায়েত হয়। সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল এগিয়ে যাবে। যেই সিদ্ধান্ত, সেই কাজ। মিছিল এগিয়ে চলে সামনে। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ আর ছাত্রদের মধ্যে সংর্ঘষ বেধে যায়। ছাত্রদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বৈরাচারের লেলিয়ে দেয়া পুলিশ বাহিনী। পুলিশ গুলি চালায় ছাত্রদের মিছিলের উপর। শহীদ হন- বাবুল, ওয়াজিউল্যাহ্ ও গোলাম মোস্তফা। শহীদের রক্তে লাল হয়ে যায় ঢাকার পিচঢালা পথ। ওই দিনের লাল রক্ত আমাদের আন্দোলন দমাতে পারেনি। শহীদের রক্ত আমাদের আরো বেশি বিদ্রোহী করে তোলে স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে। আন্দোলন আরো তীব্র আকার ধারণ করে। নতুন করে শপথ নেয় ছাত্র সমাজ। সেই দিন থেকে পাকিস্তানি শাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সক্রিয়ভাবে ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ি।            

ঐতিহাসিক ৭ জুন সম্পর্কে কিছু বলুন।

কে বি এম মফিজুর রহমান খান: ১৯৬৬ সাল। ৭ জুন এদেশের মুক্তিকামী জনগণের চেতনায় অবিস্মরণীয় দিন। যতদিন বাঙালি জাতি বেঁচে থাকবে, ততদিন ভুলতে পারবে না ৭ জুনের রক্তঝরা সেই দিনটির কথা। ভুলতে পারবে না তেজগাঁওয়ের শ্রমিক মনু মিয়া, আমির হোসেন ও আনোয়ারা বেগমকে। তাদের রক্তে সেই দিন লাল হয় ঢাকার রাজপথ। স্বায়ত্তশাসন তথা বাঙালির মুক্তির আন্দোলনে সেই দিন ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলার মানুষ। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত সবাই স্বাধিকারের দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠে।

বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের সেই স্মৃতি মনে পড়ে?

কে বি এম মফিজুর রহমান খান: ১৯৬৬ সাল। ৬ দফা কর্মসূচি ঘোষণার পর কলেজ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবকে সংবর্ধনা জানানোর সিদ্ধান্ত হয়। আমাদের হাতে সময়ও ছিল কম। তাই শেখ মুজিবের সংবর্ধনায় ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। নির্দিষ্ট দিনের সন্ধ্যায় তিনি এলেন। তার সঙ্গে আমার কখনো সাক্ষাৎ হয়নি। এত বড় একজন ব্যক্তির সান্নিধ্য পাওয়ায় আনন্দে আত্মহারা হই। সভায় তিনি ৬ দফা কর্মসূচি ব্যাখ্যা দিয়ে বুঝালেন কী করে পশ্চিম পাকিস্তানিরা বাঙালির উপর শোষণ চালাচ্ছে। তার কণ্ঠ থেকে যেন আগুন ঝড়ছিল। আর সেই আগুনে উত্তপ্ত হয়ে উঠি আমরা প্রত্যেক ছাত্রলীগকর্মী। অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত সাড়ে ১০টা। আমরা শেখ মুজিবকে বিদায় জানাই। তিনি গাড়িতে গিয়ে উঠলেন। গাড়ি ছেড়ে যাবে এমন সময় হঠাৎ আমার দিকে তাকিয়ে তিনি জিজ্ঞেস করলেন- তুই কোথায় থাকিস?

-আস্তে করে বললাম গ্রিন রোডে।

-তাহলে তুই আমার গাড়িতে উঠে বোস। আমি ধানমন্ডি ৩২ নম্বর যাব। পথে তোকে নামিয়ে দেয়া যাবে। অতি সংকোচে আমি গাড়িতে উঠে বসলাম। আমার নাম পরিচয়ও তিনি ভালোভাবে জানেন না। তাই গাড়িতে উঠার আহ্বানে আমি অভিভূত হয়েছিলাম। গাড়ি এগিয়ে চললো। কিছু দূর যাওয়ার পর তিনি আমার মাথায় হাত রাখলেন, অত্যন্ত স্নেহের সূরে বললেন- ৬ দফা ওরা মানবে না রে? তোদের অনেক কাজ আছে। ওদের কাছ থেকে এদেশ একমাত্র তোরাই মুক্ত করতে পারবি। তোদের নিয়ে আমার অনেক আশা।

মন্ত্রের মতো শুনতে লাগলাম তার কথাগুলো। শুনতে শুনতে আমি যেন সম্মোহিত হয়ে পড়লাম। কখন যে বাসার সামনে গেছি বুঝতেই পারিনি। গাড়ি থেকে নামিয়ে তিনি চলে গেলেন।

মুক্তিযুদ্ধে যেতে কীভাবে উদ্ধুদ্ধ হলেন?

কে বি এম মফিজুর রহমান খান: বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে প্রথম দেখার সেই দিনের কথা আমি আজও ভুলিনি। পরবর্তী সময়ে শেখ মজিবুর রহমান ‘বঙ্গবন্ধু’ হন। জাতির মহান নেতা হিসেবে সারা বিশ্বের স্বীকৃতি পান। স্বাধীনতার পরবর্তীকালে অনেকে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে বহু কথা বলেছেন; কিন্তু বলতে দ্বিধা নেই, সেই দিন যে বাণী তিনি আমার কানে দেন- ‘তোদের উপর আমার অনেক আশা, তোরাই পারবি দেশকে মুক্ত করতে’ সেই বাণীই আমাকে উদ্বুদ্ধ করে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিতে। প্রেরণা যোগায় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে। 

ছাত্র রাজনীতিকালে কারাবাস করেছেন কি?

কে বি এম মফিজুর রহমান খান: ১৯৬৮ সাল। ২৯ জানুয়ারি জগন্নাথ কলেছেকর্মী সভা শেষ করে রিকশায় বাড়ি ফিরছিলাম। রিকশা নবাবপুর রোডে পুলিশ ক্লাবের কাছে আসতেই এক মোটরসাইকেল রিকশার গতিরোধ করে। আমি গ্রেপ্তার হলাম। এত তাড়াতাড়ি চার দেয়ালের ভেতরে চলে যেতে হবে ভাবিনি। দীর্ঘ তেরটি মাস কারাভোগের পর ১৯৬৯ এর ১০ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাই। 

ফেব্রুয়ারি ১৫ বাহিনী সম্পর্কে জানার আগ্রহ।

কে বি এম মফিজুর রহমান খান: ১৯৬৯ সাল। ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতির ইতিহাসে এ দিনটি স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। যতদিন লেখা হবে বাঙালি জাতির স্বাধিকার আন্দোলনের ইতিহাস, ততদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। অমর হয়ে থাকবেন সার্জেন জহুরুল হক। স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম শহীদ। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে পাঞ্জাবদের গুলির আঘাতে নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়ে আমাদের মুক্তির পথকে প্রশস্ত করে দিয়ে গেছেন এ বীর সৈনিক। ঊনসত্তরের আন্দোলনে যখন কাঁপছে পাকিস্তানি বেনিয়াদের সিংহাসন, বিদ্রোহের আগুন যখন জ্বলছে বাংলার ঘরে ঘরে, শেখ মুজিবসহ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যান্য আসামিরা যখন মুক্তির দিন গুনছেন, ঠিক তখনই ’৬৯ এর ১৫ ফেব্রুয়ারি আগরতলার মামলার অন্যতম আসামি সার্জেন জহুরুল হককে গুলি করে হত্যা করা হয়। আর তখনই আন্দোলনের গতি অন্যদিকে মোড় নেয়। ৬ দফা, তথা ১১-দফা আন্দোণনের রূপ ধারণ করে এক দফায়, অর্থাৎ স্লোগান উঠে ‘জহুরুলের রক্ত স্বাধীনতার মন্ত্র’। এর পরের বছর অর্থাৎ ১৯৭০ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি সার্জেন জহুরুল হকের মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা হয়। ওই দিবসে ঢাকা মহানগর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগেরকর্মীদের নিয়ে ‘ফেব্রুয়ারি ১৫ বাহিনী’ নামে সুশৃঙ্খল বাহিনী গঠন করা হয়। এই তিন শাখার দায়িত্বে ছিলেন কামাল উদ্দিন, হাসানুল হক ইনু এবং আমি।

‘লাল-সবুজের’ পতাকা সৃষ্টির ইতিহাস কী ছিল?

কে বি এম মফিজুর রহমান খান: জহুর দিবসে ‘ফেব্রুয়ারি ১৫ বাহিনী’ স্বাধীন বাংলার পতাকার রূপ দেবার চেষ্টা করে। কিন্তু অসুবিধার কারণে সেদিন মূল পতাকা তৈরি করা সম্ভব হয়নি। পরে ’৭০ এর ৭ জুন ‘জয় বাংলা বাহিনী’ নামে আরেকটি বাহিনী গঠন করা হয়। জয় বাংলা বাহিনীর কাজী আরেফ আহমেদ, আ স ম রব, শাহজাহান সিরাজ ও মনিরুল ইসলাম জহুর হলের একটি কক্ষে বসে পতাকা তৈরির পরিকল্পনা করেন। পতাকার নকশা তৈরি করেন শিব নারায়ণ দাস। নকশা ছিল বটলগ্রিন জমিনের উপর লাল সূর্য এবং সূর্যের মাঝখানে বাংলাদেশের মানচিত্র। বিপ্লবী পরিষদের কেন্দ্রীয় ফোরামে পতাকার অনুমোদন নেয়া হয়। ঐতিহাসিক ৭ জুন জয় বাংলা বাহিনীর পতাকা বঙ্গবন্ধুর হাতে তুলে দেয়া হয়। ’৭১ এর ২ মার্চ এই পতাকা বিপ্লবী পরিষদের অনুমোদনক্রমে আ স ম রব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষাধিক ছাত্র জনতার সামনে উত্তোলন করেন ও স্বাধীন বাংলার পতাকা হিসেবে ঘোষণা করেন।

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ সম্পর্কে ইতিহাস নিয়ে আপনার স্মৃতি কথা বলুন।

কে বি এম মফিজুর রহমান খান: ১৯৭১ সাল। ৭ মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্ধারিত সময়ে এলেন এবং ধীর পায়ে মঞ্চে উঠলেন। লাখো জনতার দিকে তাকালেন। তাদের কণ্ঠে উচ্চারিত হচ্ছে- ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’; ‘তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা’; ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’- ইত্যাদি স্লোগান। তারপরও বঙ্গবন্ধু শুরু করলেন- ‘ভাইয়েরা আমার...’। মাত্র ১৮ মিনিটের ভাষণ। শেষ করলেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম’ দিয়ে। ১৮ মিনিটের মহাকাব্য? প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি উচ্চারণ মুক্তি পাগল মানুষকে উদ্ভাসিত করে।

আপনি নিজে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন…

কে বি এম মফিজুর রহমান খান: ৭ মার্চের ভাষণ দেশের মানুষকে আলোড়িত করে। ২৫ মার্চের গণহত্যার পরেই প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলে। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু নির্দেশ পাঠান ‘আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন’। বসে থাকিনি আমিও। দেশের মুক্তিকামী মানুষকে সংগঠিত করতে ঝাঁপিয়ে পড়ি মুক্তি সংগ্রামে। টানা নয় মাসের যুদ্ধে পৃথিবীর মানচিত্রে রচিত হয় বাংলাদেশ নামে স্বাধীন দেশ।

স্বাধীনতার এত বছর পরে দেশের অর্জন সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন

কে বি এম মফিজুর রহমান খান: অনেক স্বপ্ন নিয়ে স্বাধিকার আন্দোলনে যোগ দিয়ে দেশটাকে আমাদের করে নিয়েছিলাম। যুদ্ধ জয়ের পর এদেশের রাজাকারদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা দেখে আমি মর্মাহত হই, কিন্তু স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরে এদের বিচার হতে দেখে আমি এখন আনন্দিত।  

এতক্ষণ সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

কে বি এম মফিজুর রহমান খান : আপনাকেও ধন্যবাদ।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা