‘মেসিকে ছাড়িয়ে যাওয়া অসম্ভব’

প্রায় পাঁচ খুব কাছ থেকেই সম্ভাবনাময় তরুণ লিওনেল মেসির খেলা দেখেছিলেন বার্সেলোনার ক্যামেরুনিয়ান ফরোয়ার্ড স্যামুয়েল ইতো। সেই ছোট্ট বয়সেই ইতোর মন জয় করে নিয়েছিলেন মেসি। তখনই ইতো বুঝতে পেরেছিলেন মেসির অর্জনকে ছাড়িয়ে যাওয়া অন্য যে কারো জন্য অসম্ভবই হবে।

২০০৪ সাল থেকে ২০০৯ পর্যন্ত বার্সেলোনায় ছিলেন ইতো। এর মধ্যে বেশিরভাগ সময়ই ‘বি’ দল আর মূল দলে ঘুরেফিরে খেলেছেন মেসি। অন্যদিকে থিয়েরি অরি ও রোনালদিনহোর সঙ্গে মিলে বার্সার আক্রমণের দায়িত্ব সামলাতেন ইতো।

তিনি খেলেছেন মেসির সঙ্গেও। তখনই বলেছিলেন, একবার গোলের ধারা পেয়ে গেলে আর কেউ থামাতে পারবে না মেসিকে। এখনও প্রায় একই কথা ইতোর কণ্ঠে। তার মতে, মেসির অর্জন ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বিশ্বের আর কোন ফুটবলারের।

লা লিগাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ৩৯ বছর বয়সী ইতো বলেন, ‘সে (মেসি) তখন বি দল এবং মূল দলে ঘুরেফিরে খেলত। তবে তার প্রতিভা ছিল। আমরা তখনই জানতাম, মেসি একদিন অনেক বড় কিছুই হবে। আমি অনেক খুশি যে নিজের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এতকিছু অর্জন করেছে।’

মেসির চরিত্রের সরলতার দিকে ইঙ্গিত করে তিনি আরও বলেন, ‘মেসি একদমই বদলায়নি। আমি শুরু থেকেই একজন ভালো মানুষ হিসেবে ওকে চিনি, এখনও ঠিক তেমনই আছে। সম্প্রতি সে বলেছে, স্যামুয়েলকে ধন্যবাদ তার পরামর্শের জন্য। তবে সেটি কী পরামর্শ তা এখানে আমি বলছি না।’

ইতো না বললেও, মেসি ঠিকই কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে বলেছিলেন সেই পরামর্শের কথা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেছেন, ‘আমার সবসময় ঐদিনের মনে পড়ে। যেদিন ইতো বলেছিল, যখন তুমি গোল করা শুরু করবে, এরপর আর থামবে না কখনও। এটি আমার ক্যারিয়ারের দিকই বদলে দিয়েছে।’

মেসির ব্যক্তিত্বের এ দিকটাই বেশি আকর্ষণ করে ইতোকে। এমনিতে সবসময় বিনয়ী কিন্তু খেলার মাঠে বিধ্বংসী। তার মতে, মেসি যা কিছু অর্জন করেছে, সেই ধারা বজায় রাখা অসম্ভব। তার সাফল্যকে আর কেউ ছাড়িয়ে যেতে পারবে না বলেই মনে করেন তিনি।

ইতো বলেন, ‘শুরুর দিকে তার কিছু সমস্যার সমাধান করতে হয়েছে। তবে প্রতিভা সবসময়ই ছিল। সে নিজের যে গল্প তৈরি করেছে, এটা দেখে খুবই ভাল লাগে। আরও দারুণ বিষয় হলো, এখনই শেষ হয়ে যায়নি সে। তাকে ছাড়িয়ে যাওয়া যে কারও জন্য অসম্ভব। সবাই তাকে খেলোয়াড় হিসেবে প্রশংসা করে। তবে সে মানুষ হিসেবেও অসাধারণ।’