মুক্তিযুদ্ধের পরাজিতরা ধর্ম দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে: মন্ত্রী

দেশের বিরুদ্ধে বার বার ধর্মের কথা বলে অনেক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আগের মতো এখনও মুক্তিযুদ্ধের পরাজিতরা ধর্ম দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

বুধবার দুপুরে মৌলভীবাজারের বড়লেখায় বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানটি পরিষদ মিলনায়তনে হয়।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ইসলামী অনেক রাষ্ট্র আছে। যেখানে ভাস্কর্য আছে। আমাদের দেশে জিয়াউর রহমানেরও ভাস্কর্য আছে। কিন্তু এটা তাদের কাছে ভাস্কর্য নয়। এটায় ইসলাম যায় না, আর বঙ্গবন্ধুর নাম শুনলে ধর্ম চলে যায়, ইসলাম চলে যায়। এদেরকে সাবধান করে দিতে চাই, হুশিয়ার করে দিতে চাই। দেশের বিরুদ্ধে বার বার ধর্মের কথা বলে অনেক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। যারা ১৯৭১ সালে পরাজিত হয়েছিল, তারা ধর্মকে পুঁজি করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। আবার তারা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ষড়যন্ত্রকে রুখে দাঁড়াতে হবে। সকলকে সজাগ থাকতে হবে। কোনো অবস্থায় স্বাধীনতা নিয়ে যেন আর কেউ ষড়যন্ত্র করতে না পারে।

মন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধীরা নতুন করে আরেকটি জিনিস শুরু করেছে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নাকি মূর্তি হয়ে গেছে। এরাই এক সময় এমন কথা বলত, বঙ্গবন্ধুর ছবিতে টাকা দেয়া হয়েছে, এটা থাকলে নামাজ হবে না। তবে পাকিস্তান আমলে কায়দে আজমের ছবি সম্বলিত টাকায় তারা ঠিকই সালাম জানাত। এরা একি মুখে দুরকম কথা বলে। এরাই হচ্ছে রাজাকার-আলবদর। এরা দেশ জাতির দুশমন। এদেরকে চিহ্নিত করতে হবে।

বড়লেখার ইউএনও মো. শামীম আল ইমরানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বড়লেখার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত লায়লা নীরা। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাওলাদার আজিজুল ইসলাম, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি লুৎফুর রহমান চুন্নু ও উপজেলা স্কাউটসের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, বড়লেখা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম হরিদাস কুমার, বড়লেখা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর, বড়লেখা পৌরসভার মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী, বড়লেখা উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন প্রমুখ।