মাজেদকে জিজ্ঞাসাবাদে খুনিদের প্রশ্রয়দাতাদের খোঁজ চায় আ’লীগ
আজকের সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ৭ এপ্রিল ২০২০
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য উদঘাটনের পাশাপাশি কারা আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা, তা খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদেরও দেশের মাটিতে এনে বিচারের রায় কার্যকর করার দাবি জানিয়েছে দলটি।
মঙ্গলবার (০৭ এপ্রিল) আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে আবদুল মাজেদ গ্রেপ্তার হওয়ার পর দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় এই দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।
দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য প্রবীণ রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘করোনার মহাদুর্যোগের সময়ে এটি অত্যন্ত স্বস্তির খবর যে, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার জেলহত্যার সঙ্গে জড়িত আবদুল মাজেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে কীভাবে এতোদিন পাশ্ববর্তী দেশটিতে পলাতক ছিলেন সেটিই প্রশ্ন। সবচেয়ে বিস্ময়ের ব্যাপার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ক্যান্টনমেন্টে তাকে (আবদুল মাজেদ) বাড়ি দিয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর একজন খুনিকে ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে বাড়ি দিয়ে রাখার মানে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয়-প্রশয় দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হলো জিয়াউর রহমান এই খুনের সঙ্গে জড়িত ছিলো।’
আবদুল মাজেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য উদঘাটনের দাবি জানিয়ে নাসিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও চার জাতীয় নেতাকে হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলো এই মাজেদ। কার নির্দেশে সেদিন সে জেলে ঢুকেছিলো। কারা তাকে আশ্রয় দিয়েছিলো, এটা বের হওয়া দরকার। আমি দাবি জানাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই খুনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এসব তথ্য বের করবে।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য বলেন, ‘জাতির দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আইনের হাতে আটক হবে, তাদের দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করে রায় কার্যকর করা হবে। এটি দেশের জনগণের জন্য আনন্দের খবর যে পলাতক ছয় জনের একজন ধরা পড়েছে। জাতি আশা করে, বাকি খুনিরাও দ্রুত ধরা পড়বে এবং তাদের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হওয়া দেখবে। বঙ্গবন্ধুর এই খুনিদের ফাঁসিতে না ঝোলানো পর্যন্ত জাতির ঋণ শোধ হবে না।’
সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘জাতির স্থপতিকে খুনের সঙ্গে জড়িত কুখ্যাত সেই খুনি আবদুল মাজেদ গ্রেপ্তার হওয়ার মাধ্যমে জাতি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। আমরা আশা করি, বাকি যেসব খুনি দেশের বাইরে পালিয়ে আছে, তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। সরকার সেই অনুযায়ী কাজও করছে।’
তিনি বলেন, ‘জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত এসব খুনিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত জাতি হিসেবে আমাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে না। একই সঙ্গে মাজেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এটাও জাতির কাছে পরিষ্কার করা দরকার, কীভাবে জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়ার প্রশ্রয় সে পেয়েছে।’
আবদুল মাজেদকে গ্রেপ্তার করার মাধ্যমে মুজিববর্ষে সরকারের স্বস্তিদায়ক অর্জন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমরা আশা করি বাকি আসামিরাও এভাবে ধরা পড়বে। কারণ পাপ কখনো বাপকেও ছাড়ে না। সরকারকে ধন্যবাদ যে কুখ্যাত এই খুনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন দ্রুত তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া দেখতে জাতি অধীর অপেক্ষা করছে। একই সঙ্গে বাকি খুনিদের দ্রুত দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করা সম্ভব হবে বলে প্রত্যাশা করি।’
আবদুল মাজেদ গ্রেপ্তার হওয়া আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার অনন্য নজির বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ হ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
তিনি বলেন, ‘এই জাতির প্রত্যাশা ছিলো কবে বঙ্গবন্ধুর সব খুনির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে। সরকার চেষ্টা করছে সেসব খুনিদের দেশের এনে বিচারের মুখোমুখি করার। এরই মধ্যে ভালো একটি খবর যে, ছয়জনের একজন ধরা পড়েছে। আশা করছি বাকিরাও ধরা পড়বে।’
তিনি বলেন, ‘এটা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য স্বস্তিদায়ক খবর। খুনিদের রেহাই নেই। আইনের হাত অনেক লম্বা।’
‘অথচ জাতির কি দুর্ভাগ্য, যারা বাংলাদেশের স্থপতিকে খুন করলো সেই খুনিদের চাকরি দিয়ে, বিদেশে দূতাবাসে নিয়োগ দিয়ে, রাজনীতি করার সুযোগ দিয়ে, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে তাদের রক্ষা করার চেষ্টা করা হয়েছে।’
‘জিয়াউর রহমান এগুলো করে তাদের একপ্রকার পুরস্কৃত করেছে। এর কারণ একটাই বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলো। আর খালেদা জিয়া তাদের রক্ষা করার জন্যতো রায়ের দিন হরতালই ডেকে দিলো। সুতরাং এসব করেও খুনিদের শেষ রক্ষা হয়নি, হবেও না। তাদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড়াতেই হবে।’
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ছয় পলাতক আসামির একজন প্রেপ্তার হওয়ায় শুকরিয়া আদায় করে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, ‘জাতির এই দুর্যোগের মধ্যে নিঃসন্দেহে এটা ভালো খবর। আশা করি দ্রুত রায় বাস্তবায়ন হবে।’
তিনি বলেন, ‘তৎকালীন জিয়াউর রহমান তার শাসনামলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করেছে। ইনডেমনিটি বিলের মাধ্যমে তাদের যাতে বিচার না হয় সেই ব্যবস্থাটি পাকাপোক্ত করেছে। জাতি হিসেবে এর চেয়ে লজ্জার আর কি থাকে। এখন এসব আত্মস্বীকৃত খুনিদের যত তাড়াতাড়ি ফাঁসিতে ঝোলানে যাবে ততদ্রুত জাতির কলঙ্কমোচন হবে।’
- ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পাননি ড. ইউনূস: শিক্ষামন্ত্রী
- পবিত্র কাবা থেকে সাড়ে ৩ কিলোমিটার ছাড়াল নামাজের কাতার
- চিকিৎসক হলেন ৩ ফুট উচ্চতার ভারতীয় তরুণ
- রোজা রাখলে শরীরে যা ঘটে
- বই বিক্রির অর্থ মসজিদ নির্মাণে দিলেন সঙ্গীতশিল্পী তাশরিফ
- ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েরা
- দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগ
- বাঙালির হৃদয়কে আবিষ্ট করেছিল ৭ মার্চের ভাষণ: প্রধানমন্ত্রী
- মানুষের অধিকাররক্ষায় কাজকরে র্যাব,তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা গ্রহণ নয়
- রাজনীতি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্তে মাহি
- ছেলেকে নিয়ে খবর, মেসি বললেন—এটা মিথ্যা
- ৭২ বিজিবি সদস্যকে পদক পরিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
- রমজানে ভোক্তাদের যেন হয়রানি না হয়: প্রধানমন্ত্রী
- ভোমরা স্থলবন্দরে দুর্নীতি, ডেপুটি কমিশনারকে প্রত্যাহারের দাবি
- ভোমরা স্থলবন্দরের কাস্টমস অফিস এখন অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানির আখড়া
- রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার
- আমাদের পুলিশ আরও স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠবে: প্রধানমন্ত্রী
- স্থানীয় সরকারকে আরও শক্তিশালী করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
- ভোমরা স্থলবন্দর এখন অনিয়ম ও দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য
- পাকিস্তানি কায়দায় বারবার সংবিধান লঙ্ঘিত হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
- অবৈধ মজুদকারীদের গণধোলাই দেয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ‘নতুন অধ্যায়’
- প্রথমবার সিনেমায় মেহজাবীন
- ভাষাশহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- যে কারণে অনুদানের টাকা ফিরিয়ে দিলেন জয়া আহসান
- অর্থহীন অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- দেশের মানুষ এখন গণতন্ত্র উপভোগ করছে: প্রধানমন্ত্রী
- রপ্তানি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের আহ্বান
- বিজ্ঞানে নারীদের অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
- মেঘের রাজ্য সাজেক পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি
- ভোমরা স্থলবন্দরের কাস্টমস অফিস এখন অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানির আখড়া
- ভোমরা স্থলবন্দরে দুর্নীতি, ডেপুটি কমিশনারকে প্রত্যাহারের দাবি
- চিকিৎসক হলেন ৩ ফুট উচ্চতার ভারতীয় তরুণ
- দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগ
- রোজা রাখলে শরীরে যা ঘটে
- আমাদের পুলিশ আরও স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠবে: প্রধানমন্ত্রী
- রাজনীতি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্তে মাহি
- বই বিক্রির অর্থ মসজিদ নির্মাণে দিলেন সঙ্গীতশিল্পী তাশরিফ
- রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার
- ছেলেকে নিয়ে খবর, মেসি বললেন—এটা মিথ্যা
- বাঙালির হৃদয়কে আবিষ্ট করেছিল ৭ মার্চের ভাষণ: প্রধানমন্ত্রী
- ৭২ বিজিবি সদস্যকে পদক পরিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
- রমজানে ভোক্তাদের যেন হয়রানি না হয়: প্রধানমন্ত্রী
- ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েরা
- পবিত্র কাবা থেকে সাড়ে ৩ কিলোমিটার ছাড়াল নামাজের কাতার
- মানুষের অধিকাররক্ষায় কাজকরে র্যাব,তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা গ্রহণ নয়
- ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পাননি ড. ইউনূস: শিক্ষামন্ত্রী