ভবিষ্যত গেল কই?
আজকের সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর ২০১৯
দীর্ঘ পাঁচ/ছয় বছর পর, আমার এক ছোট ভাইয়ের সাথে দেখা হলো। একই শহরে থাকি, অথচ যোগাযোগ নাই অনেকের সাথেই। দারুণ ক্রিয়েটিভ ছেলে বলে বরাবরই আমি ওকে খুব পছন্দ করি। পড়ার গণ্ডি পেরিয়ে এখন ব্যক্তি উদ্যোগে শুরু করেছে আইটি বিষয়ক বিজনেস। কথা প্রসঙ্গে বললো, আপু, আগামী পাঁচ বছর পর আমি আর এ দেশে থাকতে চাই না। আমি চাই না, আমার পরবর্তী প্রজন্ম এখানে বেড়ে উঠুক। অবাক হয়ে বললাম, তোর মতন প্রগতিশীল এবং সৃজনশীল মানুষ যদি দেশ ছেড়ে দেয় তাহলে এই দেশটা কোথায় দাঁড়াবে বলতো?
একটু হেসে বললো, আপু আপনার কি মনে হয়, এখানে আমাদের কাঙ্খিত ভবিষ্যত আছে? আমাদের আগের প্রজন্ম হিসেবে আপনারা কি যথাযথ জায়গাটা পেয়েছেন? বাংলাদেশে যথাস্থানে যথা লোকটা কি আসীন, দু' একটি পদ ছাড়া? আমি কোন উত্তর দিতে পারিনি। কারণ আমার কাছে কোন উত্তর নেই। আমার অন্তত (সিনিয়র, সমবয়সী এবং জুনিয়র) দশজন সহকর্মী গত পাঁচ বছরে আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে স্থায়ী বসতি গেড়েছেন। অনেক বন্ধু, আত্মীয়-পরিজনকেও দেখেছি একই রূপে। তাদের প্রত্যেকেরই এক কথা- দেশে কোন ভবিষ্যত নেই। স্বভাবতই একটি সহজ প্রশ্ন মনে জাগে- ভবিষ্যত গেল কই?
আমার ছোটবেলায় (৯০ এর দশকের মাঝামাঝিতে) শুনতাম, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক কিংবা ইঞ্জিনিয়াররা স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশ গেলে বিত্ত-বৈভবের রঙিন স্বপ্নে আটকে যেতেন। ছুটির পর ছুটি বাড়িয়ে থেকে যেতেন বিভিন্ন ডিগ্রি নেয়ার নামে। অনেকে আবার চাকরি ছেড়ে দিয়ে সেসব স্বপ্নের দেশে থেকে যেতেন পরিবার-পরিজন নিয়ে। তখন প্রবীণদের কাছে শুনতাম, বাংলাদেশের মেধা কিনে নিচ্ছে বিদেশিরা। দেশকে মেধাশূন্য করার পাঁয়তারায় ব্যস্ত দেশিয় গুটি কয়েক দালাল। তবে তখনও দেশ আগলে রাখার জন্য অনেক দেশপ্রেমিক ছিলেন, যার মন-প্রাণ দিয়ে চাইতেন দেশেই থাকতে। দিন-রাত সততা আর নীতির মধ্যে থেকে কাজ করে যেতেন স্বাধীন এই বাংলাদেশে মাথা উঁচু করে, বুক ফুলিয়ে চলতে। অনেক মেধাবীরা বিভিন্ন দেশের স্কলারশিপ পেয়ে ফিরিয়ে দিয়েছেন এমন নজিরও আছে বহু।
এর মধ্যে প্রায় তিন দশক শেষ করতে চলেছি। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি ইত্যাদি প্রতিটি খাতে, অনেক উন্নয়ন আর সমৃদ্ধিতে বাংলাদেশের অর্জনও নেহায়েত কম নয়। তারপরও স্বস্তি নেই জনমনে। শান্তি নেই জীবনধারায়। প্রতিনিয়ত জীবনযুদ্ধে লড়তে হচ্ছে, অন্নের সন্ধানে রাত-দিন এক করে খেটে-খুটেও অনেকেই পাচ্ছেন না সচ্ছ্বলতা। গণ জমায়েতস্থল যেমন গণপরিবহন, বাজার, দোকানপাটের সামনে দাঁড়ালে শোনা যায়, অনেকেই খেদোক্তি করেন, এখন একটা শ্রেণির হাতে টাকা চলে যাওয়ায় বেশির ভাগ মানুষ ক্রমেই নি:স্ব থেকে নি:স্ব হচ্ছে। যা গত আট/দশ বছর আগেও তেমন প্রকট ছিল না।
গত এক দশকে নিত্যপণ্যের দর লাগামহীন ঘোড়ার মতো রুদ্ধশ্বাসে ছুটছে তো ছুটছেই। এই দৌড়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সংখ্যা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। সম্প্রতি বাঙালির রন্ধন উপকরণের অন্যতম উপাদান পেঁয়াজের ঊর্ধ্বমূল্যে প্রায় বাকরুদ্ধ সাধারণ জনতা। যেন তারা কিংকর্তব্যবিমূঢ়। অনেকের মতেই গণমাধ্যম, শিক্ষা খাতকে ঠুঁটো জগন্নাথ করে জাতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নেয়ার যা যা পদক্ষেপ দরকার, তার সবটাই করছে একটা মহল। যার ফলে সুন্দর, সমৃদ্ধ ভবিষ্যত এখন অদৃশ্য কালো পর্দার অন্তরালে।
সব মিলিয়ে তরুণ প্রজন্মের কণ্ঠে এখন প্রায়শই হতাশার সুর শুনতে পাই। বিশেষ করে ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী নারী-পুরুষদের বেশিরভাগই এখন দেশ ছাড়তে পারলেই যেন বাঁচে। তরুণ প্রজন্ম বিদেশমুখী হওয়ার প্রবণতা উন্নত ভবিষ্যতের আশায়। কারণ বাংলাদেশে তারা কোন সুন্দর আগামী দেখতে পাচ্ছে না। তাদের ভাষ্যমতে, ক্রমাগত ফিকে হয়ে আসছে সোনার বাংলার সোনালী আভা।
এসব শুনে আমি বা আমার মতো অনেকেই হতাশ হই, কেন এরকম হচ্ছে আমাদের এই সোনার বাংলায়! উত্তর খুঁজতে গেলে কোন কূল-কিনারা পাই না। তবে হতাশার মাঝেও আবার খুঁজতে চাই আশা জাগানিয়া বন্দর, যেখানে ভিড়বে সুন্দর ভবিষ্যতের নোঙ্গর। বইবে আনন্দের সুবাতাস।
- ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পাননি ড. ইউনূস: শিক্ষামন্ত্রী
- পবিত্র কাবা থেকে সাড়ে ৩ কিলোমিটার ছাড়াল নামাজের কাতার
- চিকিৎসক হলেন ৩ ফুট উচ্চতার ভারতীয় তরুণ
- রোজা রাখলে শরীরে যা ঘটে
- বই বিক্রির অর্থ মসজিদ নির্মাণে দিলেন সঙ্গীতশিল্পী তাশরিফ
- ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েরা
- দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগ
- বাঙালির হৃদয়কে আবিষ্ট করেছিল ৭ মার্চের ভাষণ: প্রধানমন্ত্রী
- মানুষের অধিকাররক্ষায় কাজকরে র্যাব,তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা গ্রহণ নয়
- রাজনীতি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্তে মাহি
- ছেলেকে নিয়ে খবর, মেসি বললেন—এটা মিথ্যা
- ৭২ বিজিবি সদস্যকে পদক পরিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
- রমজানে ভোক্তাদের যেন হয়রানি না হয়: প্রধানমন্ত্রী
- ভোমরা স্থলবন্দরে দুর্নীতি, ডেপুটি কমিশনারকে প্রত্যাহারের দাবি
- ভোমরা স্থলবন্দরের কাস্টমস অফিস এখন অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানির আখড়া
- রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার
- আমাদের পুলিশ আরও স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠবে: প্রধানমন্ত্রী
- স্থানীয় সরকারকে আরও শক্তিশালী করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
- ভোমরা স্থলবন্দর এখন অনিয়ম ও দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য
- পাকিস্তানি কায়দায় বারবার সংবিধান লঙ্ঘিত হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
- অবৈধ মজুদকারীদের গণধোলাই দেয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ‘নতুন অধ্যায়’
- প্রথমবার সিনেমায় মেহজাবীন
- ভাষাশহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- যে কারণে অনুদানের টাকা ফিরিয়ে দিলেন জয়া আহসান
- অর্থহীন অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- দেশের মানুষ এখন গণতন্ত্র উপভোগ করছে: প্রধানমন্ত্রী
- রপ্তানি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের আহ্বান
- বিজ্ঞানে নারীদের অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
- মেঘের রাজ্য সাজেক পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি
- ভোমরা স্থলবন্দরের কাস্টমস অফিস এখন অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানির আখড়া
- ভোমরা স্থলবন্দরে দুর্নীতি, ডেপুটি কমিশনারকে প্রত্যাহারের দাবি
- চিকিৎসক হলেন ৩ ফুট উচ্চতার ভারতীয় তরুণ
- দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগ
- রোজা রাখলে শরীরে যা ঘটে
- আমাদের পুলিশ আরও স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠবে: প্রধানমন্ত্রী
- রাজনীতি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্তে মাহি
- বই বিক্রির অর্থ মসজিদ নির্মাণে দিলেন সঙ্গীতশিল্পী তাশরিফ
- রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার
- ছেলেকে নিয়ে খবর, মেসি বললেন—এটা মিথ্যা
- বাঙালির হৃদয়কে আবিষ্ট করেছিল ৭ মার্চের ভাষণ: প্রধানমন্ত্রী
- ৭২ বিজিবি সদস্যকে পদক পরিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
- রমজানে ভোক্তাদের যেন হয়রানি না হয়: প্রধানমন্ত্রী
- ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েরা
- পবিত্র কাবা থেকে সাড়ে ৩ কিলোমিটার ছাড়াল নামাজের কাতার
- মানুষের অধিকাররক্ষায় কাজকরে র্যাব,তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা গ্রহণ নয়
- ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পাননি ড. ইউনূস: শিক্ষামন্ত্রী