• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

বাংলাদেশের প্রশাসন গড়ে উঠেছিল যার হাত দিয়ে

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ৪ মার্চ ২০২১  

এইচ টি ইমাম বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিপরিষদ সচিব ছিলেন। ১৯৭১ এ তিনি ছিলেন রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক। রাঙ্গামাটি থেকে তিনি পালিয়ে গিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রশাসন গড়ার নেতৃত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। তাজউদ্দিন আহমেদ তাকে মন্ত্রীপরিষদ সচিব করেছিলেন। পন্ত্রীপরিষদ সচিব হিসেবে মুজিবনগর সরকারের প্রশাসনিক বিষয়গুলো দেখভাল করতেন এইচ টি ইমাম। এসময় জটিল, কঠিন এক প্রতিকূল পরিস্থিতি সামলেছেন অবলীলায়। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনপ্রশাসনের ভিত্তিমূল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। 

আর সেখানে এইচ টি ইমামের ভূমিকা অনন্য,অসাধারণ। বলা যেতে পারে বাংলাদেশের জনপ্রশাসন কাঠামো গড়ে উঠেছে তার হাত দিয়েই। মুক্তিযুদ্ধের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসেন। বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে সংসদীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থা চালু করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। সংসদীয় গণতন্ত্রের আলোকে জনপ্রশাসনকে ঢেলে সাজান। এইচ টি ইমামকে তিনি পন্ত্রীপরিষদ সচিব হিসেবেই বহাল রাখেন। জাতির পিতা যে জনবান্ধব, জনকল্যাণকামী এবং জনগণের প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন তার মূল বাহক ছিলেন এইচ টি ইমাম। 

বাংলাদেশের জনপ্রশাসনের যে নিয়ম-নীতি এবং ব্যবস্থাপনা সেটি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে এইচ টি ইমামই করেছিলেন। আর এ কারণেই বাংলাদেশের প্রশাসন ব্যবস্থার মূল কারিগর মনে করা হতো এইচ টি ইমামকে। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন, নির্যাতিত হয়েছেন, নিপীড়িত হয়েছেন। ৭৫ এর ১৫ আগষ্টের পর তাকে কারাগারে যেতে হয়েছিল এবং জিয়াউর রহমান তাকে পদাবনতি দিয়ে যুগ্ম সচিবের পদমর্যাদা দিয়েছিলেন। কিন্তু এইচ টি ইমাম তাতেও দমে যাননি তিনি চাকরি ছেড়ে দেননি, যুগ্ম সচিব থেকে আস্তে আস্তে তিনি আবার সচিব হয়েছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত যোগাযোগ সচিব হিসেবে দায়ত্ব গ্রহণ করেছিলেন। ২০০৯-২০১৪ পর্যন্ত তিনি জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা থেকে প্রশাসনিক পরিবর্তন, পদোন্নতি এবং প্রশাসনে একটি শৃংখলা আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। বাংলাদেশের জনপ্রশসন এইচ টি ইমামের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে একজন অভিভাবক হারালেন।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা