• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

বাংলাদেশের জন্য ১০ কোটি ডলার অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ৪ এপ্রিল ২০২০  

প্রাণঘাতি নভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশের জন্য ১০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করল বহুজাতিক সংস্থা বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮৫০ কোটি টাকা। ‘দ্য কভিড ১৯ ইমাজেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড পেন্ডামিক প্রিপারনেস’ প্রকল্পের আওতায় এই টাকা খরচ হবে। আজ শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় এই ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, এই টাকা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য কাঠামো উন্নয়নে খরচ হবে। বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সরঞ্জাম কেনা হবে। বিশেষ করে কারো শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটেছে কি না তা পরীড়্গার জন্য পর্যাপ্ত কিট কেনা হবে। এর আগে গত সপ্তাহে আরেক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এডিবি বাংলাদেশের জন্য দুই কোটি ৫৫ লাখ টাকার ঋণ প্রসত্মাব অনুমোদন দিয়েছিল।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, সংস্থাটির বোর্ড সভায় যে ১০ কোটি ডলার বা ৮৫০ কোটি টাকা অনুমোদন হয়েছে, সেই টাকায় করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কিট, পিপিই, মাস্ক, কেনা হবে। স্বাস্থ্য খাতের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যেসব স্বাস্থ্য সরঞ্জাম লাগবে, তা সরবরাহ করা হবে। ঢাকায় নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রধান মার্সি টেম্বন বলেন, করোনাভাইরাস মোবাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে বিশ্বব্যাংক। চলমান মহামারি প্রতিরোধে সরকারের পরিকল্পনা প্রণয়নে বিশ্বব্যাংকের এই ঋণ কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন হাসপাতালে পিপিই ব্যবস্থা, ভেন্টিলেটর এবং আইসোলেশন ইউনিট করা সম্ভব হবে।

বিশ্বব্যাংক বলছে, করোনাভাইরাস মোবাবিলায় এরইমধ্যে ১৪ বিলিয়ন ডলারের একটি জরুরী তহবিল গঠন করা হয়েছে। যেখান থেকে সব উন্নয়নশীল দেশ ঋণ পাবে।  তবে বিশ্বব্যাংক এই দশ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে চলমান ১৮তম আন্তর্জাতিক ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) প্যাকেজ থেকে। এই ঋণের সুদের হার দুই শতাংশ। পাঁচ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করতে পারবে বাংলাদেশ। সংস্থাটি বলছে, স্বাস্থ্যকর্মী, ডাক্তারসহ এই পেশার সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত আছে, তাদের দড়্গতার উন্নয়ন ঘটবে। করনোভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সরকারের চলমান প্রচারে বিশ্বব্যাংকের এই ঋণ কাজে আসবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার চর্চার উন্নতি ঘটবে।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা