• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

‘বাঁধের কাজে প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে কাজে লাগানো হবে’

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ২৪ মে ২০২০  

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে সাতক্ষীরার গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনী, প্রতাপনগর, খুলনার কয়রা ও পাইকগাছাসহ বিভিন্ন এলাকার বাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক জায়গায় মেরামত করা হয়েছে।

ভরাকাটালের কারণে নদীতে প্রবল জোয়ারে কাজ করা কঠিন হচ্ছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে বড় বড় ভাঙন এলাকাগুলোতে কাজ শুরু হবে। যেসব এলাকায় বাঁধ নির্মাণে সেনাবাহিনী দরকার সেখানে তাদের কাজে লাগানো হবে।

শনিবার (২৩ মে) আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত সাতক্ষীরা শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালীনি, গাবুরা, পদ্মপুকুর, আশাশুনির প্রতাপনগর ও খুলনার কয়রার বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পান যে গতিতে দেশের উপকূলে আঘাত হেনেছে তাতে ওইসব বাঁধে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব নয়। এক বছরের মধ্যে আমাদের দেশের ওপর দিয়ে সাতটি ঘূর্ণিঝড় গেছে। এতে করে উপকূলের অধিকাংশ বাঁধে সমস্যা দেখা দিয়েছে। সর্বশেষ আম্পানে সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকা ও খুলনার কয়রার বেঁড়িবাধগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সচিব কবির বিন আনোয়ার আরও বলেন, আমরা স্থানীয়দের কাছে শুনেছি, তাদের দাবি ত্রাণ নয়, তারা টেকসই বেড়িবাঁধ চান। আমরাও তাদের টেকসই বাঁধের আশ্বাস দিয়েছি। আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত খুব খারাপ স্থানগুলো চিহ্নিত করে ছোট ছোট প্রজেক্ট নিয়ে বাঁধগুলো সুউচ্চ করে নির্মাণ করা হবে। সব জায়গায় সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করা হবে না। যেখানে বাড়তি জনশক্তি দরকার সেখানে তাদের ব্যবহার করা হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপকূলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য ডেলটা প্ল্যান ঘোষণা করেছেন। ২০৩০ সালের মধ্যে এই এলাকার জন্য এক হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। উপকূলের জন্য টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হবে। ঘূর্ণিঝড়ের আগে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বাঁধ মেরামতের কাজ করেছি। কিন্তু জলোচ্ছ্বাস হলে তাতে করার কিছু থাকে না।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরার সন্তান ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী এসএম রফিকুল ইসলাম, শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন, কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদ মেহেদি, শ্যামনগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুজর গিফারী প্রমুখ।

পরে অতিথিরা খুলনার কয়রা উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। সেখানে স্থানীয় সংসদ সদস্য আকতারুজ্জামান বাবুসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা