• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

বর্ষায় দাদের চুলকানি বেড়েছে? নির্মূলের কার্যকরী উপায় জানুন

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০২০  

দীর্ঘমেয়াদি এক চর্মরোগ হলো দাঁদ। এর প্রকোপে আক্রান্ত স্থান লাল হয়ে ছোপ হয়ে যায়। সেইসঙ্গে চুলকানি ও ব্যথায় ভুক্তভোগী অসহ্য হয়ে যায়। বর্ষাকালে যেকোনো চর্মরোগের মতো এর সমস্যাও অনেক বেড়ে যায়। 

চামড়ার উপর গোল চাকার মতো লালচে ক্ষতস্থান সৃষ্টি হয় এই রোগে। ক্ষতস্থানে চুলকানি হয়। ঘাড়, পায়ের পাতা, বগলে এই ধরনের ক্ষত হতে পারে। সেক্ষেত্রে পরিষ্কার জামা কাপড় পরতে হবে। ক্ষতস্থানে কাটা-ছেঁড়া করা যাবে না। অ্যান্টি-ফাংগাল ক্রিম লাগাতে হবে।

দাদ আসলে একটি ফাঙ্গাল ইনফেকশন যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গাতে হয়ে থাকে। দাদ হলে কিন্তু উচিত যে সেইটা খুবই তাড়াতাড়ি সারিয়ে ফেলার। কারণ খুব জলদি দাদ ছোট জায়গা থেকে শরীরের আরো অনেক বড় জায়গাতে ছড়িয়ে পড়ে। তাই যত সম্ভব তাড়াতাড়ি দাদ সারিয়ে ফেলা উচিত।

জার্মানির শেফআর্তসট হাউটক্লিনিক লুডভিগসহাফেনের দাদ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর এডগার ডিপেল বলেন, শরীরের নার্ভগুলো হলো হাইওয়ে রাস্তার মতো। এগুলো দিয়ে ভাইরাস ত্বকে ছড়ায়। দাদ হওয়ার ফলে এই রাস্তাগুলো যখন ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন ব্যথা হয়। দূর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতা ও মানসিক চাপের কারণে দাদ হতে পারে। যদি দাদ ঠিকমতো চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে ত্বকের বিভিন্ন জায়গা মরে যেতে পারে।

দাদ একটি ছোঁয়াচে রোগও বটে। তাই দাদের চিকিৎসা না করলে সেইটা আমাদের বাড়ির লোকজনদেরও হতে পারে। তবে সবসময় ওষুধে ভরসা না রেখে দাদ সারাতে ব্যবহার করতে পারেন ঘরোয়া চিকিৎসা। তেমনই কয়েকটি পদ্ধতি যার ফলে দাদ দূর হতে বাধ্য দাদ-

> নারকেল তেল যদি দাদের জায়গাতে লাগানো হয় তাহলে তা দাদকে সারিয়ে ফেলতে অনেকটাই সাহায্য করে। বিভিন্ন ধরণের ত্বকের অ্যালার্জিকে সারিয়ে তুলতে নারকেল তেল খুবই প্রয়োজনীয়।

> দাদ সেরে উঠতে পারে আরেকটি সহজ উপায়ে। টাটকা হলুদের পেস্ট বানিয়ে সেইটা দাদের উপরে লাগালে সেইটা দাদকে সারিয়ে তোলে খুবই জলদি। আমাদের সবার বাড়িতেই রান্নার জন্য হলুদ থাকে। সেই হলুদের পেস্ট যদি দাদে লাগানো হয় তাহলে দাদ সারিয়ে তুলতে সেটা অত্যন্ত কার্যকরী।

> দাদ দূর করার জন্য দাদের সংক্রামিত শরীরের অংশতে কর্পূর লাগিয়ে রাখতে হবে। বেশ কয়েকদিন ধরে দাদে কর্পূর লাগানোর পর আর দাদের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়না। কিছুদিনের মধ্যে দাদের দাগটি ও মিলিয়ে যায় গায়ের রঙের সঙ্গে।

> পুদিনা পাতা বেটে তার একটি পেস্ট বানিয়ে তার মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে দাদ সংক্রামিত স্থানে ভালো করে লাগাতে হবে। এভাবে কয়েকদিন ব্যবহার করলেই দাদ খুব তাড়াতাড়ি উধাও হয়ে যাবে।

> রসুনের মধ্যে আ্যান্টি ফাঙ্গাল গুণ আছে। রসুন সরু করে কেটে সেটা ত্বকে ক’দিন নিয়ম করে লাগালেই দাদ থেকে মুক্তি মিলবে।

> উচ্ছের পাতা বেটে তার রস দাদের অংশে লাগাতে হবে। এই পদ্ধতিটি ক’দিন নিয়ম করে মেনে চললেই খুব জলদি দাদের সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে।

> প্রথমে অ্যালোভেরার জেল বের করতে হবে। তারপর সেই অ্যালোভেরার রস দাদের অংশে লাগাতে হবে। ক’দিনের মধ্যেই দাদ একেবারে সেরে যাবে।

মনে রাখবেন, শরীরে ঘাম এবং ময়েশ্চার বেশি হলে শরীরের ফাঙ্গাল ইনফেকশনের সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তোলে। এজন্য বিশেষ খেয়াল হিসেবে যা মানা জরুরি-

> গরমে সুতির এবং ঢিলা জামা কাপড় পড়লে শরীরকে ঠাণ্ডা থাকবে। এতে ঘাম হবে না।

> গ্রীষ্মকালে দাদের সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে ওঠে। তাই দাদের ইনফেক্শনের থেকে রক্ষা পেতে অন্যদের তোয়ালে, জামা কাপড়, চুলের সামগ্রী বা বাকি ব্যক্তিগত জিনিস না ব্যাবহার করা উচিত।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা