• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

ফেসবুক বর্জনের সিদ্ধান্ত কোকা-কোলাসহ অসংখ্য কোম্পানীর

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০২০  

বিশ্বের বৃহত্তম বিজ্ঞাপনদাতা সংস্থা ইউনিলিভার, কোকা-কোলাসহ ছোট-বড় অসংখ্য কোম্পানি ফেসবুক বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো বিজ্ঞাপন না দেয়ায় প্রায় ৭২০ কোটি ডলার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকিমূলক পোস্টের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ার ফেসবুকের বিপক্ষে প্রতিষ্ঠানগুলো এমন অবস্থান নেয়। এর আগে ফেসবুক বর্জনের আহবান জানিয়ে #StopHateforProfit ক্যাম্পেইন শুরু করে এডিএল, এনএএসিপি ও কালার অব চেঞ্জ নামের কয়েকটি সংগঠন।

এপ্রিল ফোবর্সের প্রকাশিত শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের তালিকা অনুযায়ী, জাকারবার্গের সম্পদের পরিমাণ ছিল ৮৬.৫ বিলিয়ন ডলার (৮ হাজার ৬৫০ কোটি ডলার)। শুক্রবার ফেসবুকের শেয়ার মূল্য ৮ শতাংশ কমায় জাকারবার্গ ব্যক্তিগতভাবে হারান ৭.২১ বিলিয়ন ডলার (৭২১ কোটি ডলার)। শনিবার তার সম্পদের পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৭৯.৭ বিলিয়ন ডলার (৭ হাজার ৯৭০ কোটি ডলার)।

ফেসবুকের ১০০ শতাংশ আয় আসে বিজ্ঞাপন থেকে। বছরের প্রথম তিন মাসে বিজ্ঞাপন থেকে তারা ১৭.৪ বিলিয়ন ডলার (১ হাজার ৭৪০ কোটি ডলার) আয় করেছিল। আর এই সিদ্ধান্তের পর ফেসবুকের বাজারমূল্যেও নেমেছে ধস। এক ধাক্কায় ৫৬০ কোটি ডলার কমেছে জনপ্রিয় সোশাল মিডিয়ার বাজারমূল্য, এমনটাই জানিয়েছে ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইন্ডেক্স।

ফেসবুকে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে কোকা-কোলার সিইও জেমস কুয়েন্সি জানিয়েছেন, আগামী ৩০ দিনের জন্য ফেসবুকে সব ধরণের ডিজিটাল বিজ্ঞাপন দেখানো তারা বন্ধ করবে। ১ জুলাই থেকে সিদ্ধান্তটি কার্যকর হবে। ইউনিলিভারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফেসবুকে বিজ্ঞাপনের জন্য তারা চলতি বছরে আর কোনো অর্থ ব্যয় করবে না।

শুক্রবার ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ জানান, বিদ্বেষমূলক যে মন্তব্য করা হচ্ছে তা সরিয়ে ফেলা হবে। এছাড়া ঘৃণামূলক বার্তা নিয়েও ফেসবুক তার সংজ্ঞার বিস্তৃতি ঘটিয়েছে। বিজ্ঞাপন যদি কোনো জনগোষ্ঠীর জন্য বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত হয় তাহলে তাদেরকে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দেয়া হবে না।

গত ২৫ মে পুলিশের নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। কিন্তু কৃষ্ণাঙ্গ জনগণের প্রতিবাদকে তোয়াক্কা না করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার করে ফেসবুক ও টুইটারে পোস্ট দেন। ট্রাম্পের কিছু টুইটকে হুমকিমূলক বলে ঘোষণা দেয় টুইটার। কিন্তু মার্ক জাকারবার্গ তার প্ল্যাটফর্ম থেকে কোনো পদক্ষেপ নেননি।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা