• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

ফিরে দেখা : বিচার বিভাগ সংস্কারে সরকারের সফলতা

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ৪ জানুয়ারি ২০২০  

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। রুপকল্প ২০২১ এবং একশ’ বছরের ডেল্টা প্লানকে সামনে রেখে দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। উন্নয়নের মহান রুপকার, গণতন্ত্রেও মানসকন্যা শেখ হাসিনার দূরদর্শী চিন্তাধারা ও যুগোপযোগী বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে দেশ থেকে দূর হয়েছে ক্ষুধা-দারিদ্র্য-বেকারত্ব। শিক্ষা, কৃষি, শিল্প, ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ, নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাসহ দেশের প্রতিটি সেক্টরে হয়েছে অভূতপূর্ব উন্নয়ন। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন নিয়ে আমাদের ধারাবাহিক পরিবেশনা ‘উন্নয়নের ১২ বছর’।

বিচার বিভাগ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির স্থান সংকুলানের জন্য ২ হাজার ৩৮৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে “বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা সদরে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণ (১ম পর্যায়/ফেব্রুয়ারি/২০০৯ হতে জুন/২০২০ ২য় সংশোধন)” প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল ৪২টি জেলায় ১২তলা ভিত বিশিষ্ট ৮/১০ তলা আদালত ভবন নির্মাণ করা এবং অন্য ২২টি জেলায় আদালত ভবন নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করা। এই প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে ২০টি জেলায় সম্পূর্ণ/অর্ধনির্মিত আদালত ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে এবং এগুলোতে বিচারিক কাজ চলছে। ফলে এসব জেলায় জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির বিচারকদের এজলাস, খাস কামড়া, রেকর্ড রুম এবং দাপ্তরিক অন্যান্য অবকাঠামোগত সমস্যা দূর হয়েছে। ২০১৪-২০১৭ সময়ে ১৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৭টি জেলায় বিদ্যমান পূর্বের ২য় তলা জেলা জজ আদালত ভবনগুলো উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা হয়েছে।

২০০৯-২০১২ সময়ে ১৩ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত ভবনের ৫ম তলা হতে ১০ম তলা পর্যন্ত এবং হাজতখানা-কাম-পুলিশ ব্যারাকের ৩য় তলা হতে ৬ষ্ঠ তলা পর্যন্ত উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের স্থান সংকুলানের জন্য ২০১০-২০১৩ সময়ে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ভবনের ৬ষ্ঠ তলার উপর ৭ম, ৮ম, ৯ম এবং ১০ম তলার আংশিক উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা হয়েছে। আইন কমিশনের স্থান সঙ্কুলানের জন্য ১৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে বর্তমানে এটিকে ১২ তলা পর্যন্ত উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। জুলাই/২০০৯ থেকে জুন/২০১৮ পর্যন্ত ঢাকা, চট্রগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বাগেরহাট, রংপুর, নেত্রকোনা ও হবিগঞ্জসহ  দেশের বিভিন্ন আইনজীবী সমিতি ভবন নির্মাণ ও বইপুস্তক ক্রয় বাবদ ৬৬ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ। বিচারকার্য মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০০৯-২০১৮ পর্যন্ত  ৯টি জেলার বিভিন্ন উপজেলায ১৯টি চৌকি আদালত স্থাপন করা হয়েছে।

সন্ত্রাস বিরোধী মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ঢাকা ও চট্রগ্রামে ২টি সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হয়েছে এবং রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগীয় শহরে আরও ৫টি সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আরও ৪১টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করে সেগুলোতে বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০১৬ পালন উপলক্ষে ভিডিও কনফারেন্সিং-এ একজন সেবগ্রহীতার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৮ এপ্রিল ২০১৬ ঢাকায় ১টি সাইবার ক্রাইম ট্রাইবুনাল স্থাপন করা হয়েছে। ২০১০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত হাইকোর্ট বিভাগে ৬৫জন এবং অধস্তন আদালতে ৮৮৩ জন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জুলাই/২০০৯ থেকে জুন/২০১৮ পর্যন্ত অধস্তন আদালত/ট্রাইব্যুনালে কর্মরত বিজ্ঞ বিচারকগণের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১৭৬টি সিডান কার ও ৬২টি মাইক্রোবাস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মানবসম্পদের উন্নয়নের জন্য ২০০৯-২০১৮ পর্যন্ত বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ৩,৫১৩ জন বিচারক, ২২৮ জন জিপি-পিপি ও ৭২৫ জন কর্মচারিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া  ২০১৭ এবং ২০১৮ সালের জুলাই পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় ২২৩, ভারতে ১৮৪ ও জাপানে ১৫ জনসহ মোট ৪২২ জন বিচারককে বিদেশে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ ও এজলাস সঙ্কট নিরসনের পাশাপাশি সরকার বর্তমানে মামলা ব্যবস্থাপনার দিকে বিশেষ নজর দিয়েছে।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা