• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

পিতার কাছে শুনেছিলাম বঙ্গবন্ধুর নাম

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০১৮  

মোঃ শাওন সরকার
শৈশব কালে আমার পিতার কাছে শুনেছিলাম বঙ্গবন্ধুর নাম শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশের স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালীর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের মূলমন্ত্র শুনে তখন থেকেই আমার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে পথ চলছি । আমার পিতা মরহুম আলহাজ্ব মোঃ মোখলেছ উদ্দিন সরকার তার সারাটি জীবন বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ ও আদর্শের ভিত্তিতে চলেছিলেন। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এর ৪৩ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গাজীপুর মহানগরের (৪৫) নং ওয়ার্ড আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ শাওন সরকার টঙ্গীর পূর্ব আরিচপুর তার ব‍্যবসায়ী কার্যালয়ে এক আলাপচারিতায় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অজানা খবর ডটকমকে তিনি এসব কথা বলেন। পিতাকে উদ্ধৃতি দিয়ে শাওন সরকার বলেন, আমরা পিতার কাছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অমর জীবনের মূলমন্ত্র ও শোকাবহ আগস্টের দিনগুলো শুনেছিলাম। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শোকাবহ আগস্ট মাসব্যাপী অমর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন বাঙালি জাতির সর্বস্তরের জনসাধারণ । বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে রচিত বিভিন্ন গ্রন্থের আলোকে শাওন সরকার বলেন, বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন আপামর তরুণ সমাজের হৃদয়ের প্রতিধ্বনি। কেননা- বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই অমর পংক্তি ‘ঐ নতুনের কেতন উড়ে কালবৈশাখী ঝড়, তোরা সব জয়ধ্বনি কর, ওরে তোরা সব জয়ধ্বনি কর’ তিনিও সেই মন্ত্রেই দিক্ষীত ছিলেন। তাই আমৃত্যু তিনি তারুণ্যেরই জয়ধ্বনিই করে গেছেন । অবশ‍্য তিনি নিজেও ছিলেন আজন্ম তরুণ। প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অমর কবিতা ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণেও সেই সময়ের যুব সমাজের প্রাণের ধ্বনিই তিনি প্রতিধ্বনিত করেছিলেন। তাইতো বঙ্গবন্ধুর সে সময়ের ঘনিষ্ঠ সহচর দের মধ্যে দুই চারজন ছাড়া বাকি সবাই ছিলেন বয়সে তরুণ। তখনকার ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়নসহ প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলো বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতো । শুধু তাই নয়, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ কারীরা অধিকাংশই বয়সে তরুণ ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও দিকনির্দেশনায় এই তরুণ গোষ্ঠীই আমাদের স্বস্বাধীনতা কে ত্বরান্বিত করেছিল। মূলতঃ বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের অবিস্মরণীয় এক কীর্তিও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ। তেজদীপ্ত এ ভাষণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল ভিত্তিই শুধু নয়, এই ভাষণ পৃথিবীর ইতিহাসে সারাজীবন এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে আছে । এই ঐতিহাসিক ভাষণ তিনি আকস্মিক ভাবে দেননি; বুঝে শুনে চিন্তা করে তিনি এ ভাষণ দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু ভাবতেন তরুণ যুব সমাজ ছাড়া স্বাধীনতা আন্দোলন যেমন গড়ে তোলা সম্ভব নয়; ঠিক তেমনি যুব সম্প্রদায় ছাড়া স্বাধীনতা রক্ষা করাও অসম্ভব। বাংলাদশ স্বাধীনতার চার বছরের মাথায় জীবন দিতে হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে তার স্বপরিবারের সাথে সেইদিন ছিল বাঙ্গালীদের এক রক্তক্ষরনের দিন। বাঙ্গালী হারিয়ে ছিলো তাদের জাতির পিতাকে। বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃতির ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরবর্তী সরকারগুলো ইতিহাসের এ জ্বলন্ত অধ‍্যায়কেও মুছে ফেলার চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু তাদের ইতিহাস বিকৃতির সেই অপচেষ্টা ধুপে টিকেনি। সময়ের ব্যবধানে নতুন প্রজন্ম প্রকৃত ইতিহাস জেনে নিয়েছে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে দেয়া বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতার যে মূল মন্ত্র, চেতনা ও দিক-নির্দেশনা প্রজ্বলিত ছিল তা নতুন করে উপলব্ধির সময় এসেছে। শাওন সরকার বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ‍্য কন‍্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান মহাজোট সরকার এই শোকের মাসে বঙ্গবন্ধু ত‍্যাগ-তিতিক্ষার ও সংগ্রামের সেই চেতনাকে সর্বত্র ছড়িয়ে দেবে সেটাই এখন দেশবাসীর প্রত্যাশা।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা