পাবনা ও দিনাজপুরে বন্দুকযুদ্ধে দুই সন্ত্রাসী নিহত

দিনাজপুরের বীরগঞ্জের বিরামপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক ব্যবসায়ী মো. ফেরদৌস ফাহিম (৩৮) নিহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের ২ উপপরিদর্শক (এএসআই) ও এক কনস্টেবল আহত হয়েছেন। অন্যদিকে পাবনার সাঁথিয়ায় পুলিশের সাথে 'বন্দুকযুদ্ধে' সরোয়ার ব্যাপারী ওরফে সরো নামের একজন নিহত হয়েছে। পুলিশের দাবি, নিহত ব্যক্তি আন্তজেলা ডাকাতদলের সর্দার ও হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।

মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) ভোরে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার মিরপুর মাঠের পাশের একটি বাগানে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১টি পাইপগান, ৩ রাউন্ড গুলি, ৩টি গুলির খোসা, ১টি হাসুয়া, ২টি ছোঁরা ও ১০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে।

নিহত মাদক ব্যবসায়ী ফাহিম বীরগঞ্জ উপজেলার ৬নং নিজপাড়া ইউনিয়নের আওলাকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় আহত ৩ পুলিশ সদস্য হলেন, বিরামপুর থানার উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহাজাহান আলী ও নিরঞ্জন রায় এবং কনস্টেবল দেলোয়ার হোসেন। তাদেরকে দিনাজপুর পুলিশ লাইনস হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির জানান, ভারতীয় সীমান্ত এলাকা থেকে একদল মাদক ব্যবসায়ী মাদক নিয়ে আসছেন এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার মিরপুর মাঠের পাশে একটি বাগানে অবস্থান নেয় পুলিশ। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অতর্কিত গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলে মাদক ব্যবসায়ী ফাহিম নিহত হন। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীদের গুলিতে ২ এএসআইসহ ৩ জন আহত হয়েছে।

এদিকে পাবনার সাঁথিয়ায় পুলিশের সাথে 'বন্দুকযুদ্ধে' সরোয়ার ব্যাপারী ওরফে সরো নামের একজন নিহত হয়েছে। পুলিশের দাবি, নিহত ব্যক্তি আন্তজেলা ডাকাতদলের সর্দার ও হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, সাঁথিয়া উপজেলার শামুকজানি বাজারে ডাকাতির উদ্দেশ্যে একদল ডাকাত গোপন বৈঠক করছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে গেল রাত ২টার দিকে পাবনা ডিবি ও সাঁথিয়া থানা পুলিশ সেখানে যৌথ অভিযানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। কিছু সময় গুলিবর্ষণ চলার একপর্যায়ে ডাকাতদলের সদস্যরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ সরোয়ার ওরফে সরোকে উদ্ধার করে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশি বন্দুক, একটি কার্তুজ ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের দুজন সদস্য আহত হয়েছে। নিহত সরোয়ার উপজেলার পুন্ডুরিয়া গ্রামের হারুন অর রশিদ ওরফে হারু ব্যাপারীর ছেলে।