পাইলস ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় কাঁচা কাঁঠাল

গ্রীষ্মকাল মানেই বাহারি সব ফলের সমারোহ। এই মাসে দেখা মেলে রসালো সব ফলের। এসব ফল কেবল খেতেই সুস্বাদু নয়, স্বাস্থ্যের পক্ষেও অনেক উপকারী। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে কাঁঠাল। ফলটি কাঁচা এবং পাকা দুই অবস্থাতেই খাওয়া যায়। পাকা কাঁঠালের মতোই কাঁচা কাঁঠালের রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ।

বাজারে এখন খুব সহজেই কাঁচা কাঁঠালের দেখা মিলছে। সুস্বাদু কাঁচা কাঁঠাল অনেকভাবেই রান্না করে খেয়ে থাকেন সবাই। আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কাঁচা কাঁঠাল খুবই উপকারী। কাঁঠালে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, সি, বি-১, বি-২, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামসহ নানা রকমের পুষ্টি ও খনিজ উপাদান। এসব উপাদান শরীরকে সুস্থ রাখে ও পাশাপাশি ভিটামিনের চাহিদাও পূরণ করে।

কাঁচা কাঁঠালের পুষ্টিগুণ

কাঁঠালে সামান্য পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা কাঁঠালে ১.৮ গ্রাম, কাঁচা কাঁঠালে ২০৬ গ্রাম ও কাঁঠালের বীজে ৬.৬ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। এই প্রোটিন দেহের গঠনে সাহায্য করে। কাঁঠালে রয়েছে শ্বেতসার। পাকা কাঁঠালে ০.১ গ্রাম, কাঁচা কাঁঠালে ০.৩ ও কাঁঠালের বীজে ০.৪ গ্রাম শ্বেতসার পাওয়া যায়। কাঁঠালে রয়েছে ভিটামিন এ।  ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। কাঁঠালের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান চোখের রেটিনার ক্ষতি প্রতিরোধ করে। এছাড়াও কাঁঠালে রয়েছে ভিটামিন সি। পাকা কাঁঠালে ২১ মি. গ্রাম, কাঁচা কাঁঠালে ১৪ মি. গ্রাম এবং কাঁঠালের বীজে ১১ মি. গ্রাম ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া যায়।

চলুন এবার জেনে নেয়া যাক কাঁচা কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতাগুলো-

>> কাঁঠালে ক্যালসিয়াম থাকে, যা হাড় শক্ত রাখে।

>> কাঁঠাল পাইলস ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। 

>> কাঁঠালে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে ও বলিরেখাও কমে।

>> কাঁঠাল ফাইবারসমৃদ্ধ ফল হওয়ায় হজমশক্তি বাড়ায় এবং পেট পরিষ্কার রাখে।

>> কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন, যা চোখ ভালো রাখে।

>> কাঁঠালে রয়েছে ভিটামিন বি৬ এবং প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি। আর নেই কোলেস্টেরল নেই।

>> কাঁঠালে আয়রন থাকে, যা রক্তে লোহিতকণিকার পরিমাণ বাড়ায়। রক্তাল্পতায় রোগীদের জন্য কাঁঠাল খুবই উপকারী।

>> এতে থাকা সোডিয়াম ও পটাশিয়াম শরীরের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্সকে ঠিক রাখে, যা উচ্চরক্তচাপ ও হার্টও ভালো রাখে।

>> উচ্চমানের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টসমৃদ্ধ ফল কাঁঠাল। এতে থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া ক্যান্সার ও টিউমারের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়ে ওঠে।