• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

পরিবারতন্ত্রেই আটকে আছে বিএনপি

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২০  

গণতন্ত্র নয়, পরিবারতন্ত্রের বলয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে বিএনপির রাজনীতি। যার উৎকৃষ্ট প্রমাণ অনুষ্ঠেয় ঢাকা সিটি নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত দুই মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন। তাবিথ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে ও ইশরাক অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে।

জানা গেছে, বিএনপির পরিবারতান্ত্রিক জটিল রাজনীতির কারণে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়ে সিটি নির্বাচনের মনোনয়ন থেকে বাদ পড়েছেন অনেক ত্যাগী ও যোগ্য নেতা।

দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলছে, শুধুমাত্র পরিবারতন্ত্রের কারণে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিগত সব নির্বাচনে হেরেছে বিএনপি। হারিয়েছে দল পাগল সব কর্মী। যার কারণেই সিটি নির্বাচনে বিএনপির অভ্যন্তরে ভরাডুবির শঙ্কা বিরাজ করছে। আর এর পেছনে মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির একাধিক নেতা বলছেন, টাকা আছে যার-দুনিয়া তার। আর মনোনয়ন তো সামান্য ব্যাপার। এ কারণে হাজার যোগ্যতা সত্ত্বেও দলের দুর্দিনে থাকা রাজপথের সাহসী সৈনিকরা মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন। যেটা অন্যায়।

মনোনয়নবঞ্চিতরা আরও বলেন, তারেক রহমান হয়তো মনে করছেন দলের ভবিষ্যৎ নেই। সম্ভাবনা নেই তার নিজের দেশে ফেরারও। তাই লন্ডনে বসেই পদ আর মনোনয়ন বিক্রির হারাম টাকাতেই চলবেন তিনি। কিন্তু এতটুকু মস্তিষ্কে গেঁথে রাখা উচিত, পাপ বাপকেও ছাড়ে না।

দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা বলছেন, আমাদের মতের বিরুদ্ধে গিয়েই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঢাকা সিটি নির্বাচনের দুই প্রার্থী ঠিক করেছেন। অথচ দুই সিটিতেই যোগ্য প্রার্থী ছিল অনেক। যারা দলের দুর্দিনে রাজপথে থেকে নিজেদের অধিকার আদায়ে অটল ছিলেন। কিন্তু তারেকের এমন স্বেচ্ছাচারী মনোভাবের কারণে তারা এখন দলত্যাগে উদ্যত হয়েছেন। কেউবা আবার হচ্ছেন দলবিমুখ। যেটা একটা রাজনৈতিক দলের জন্য অশুভকর।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা কোন হিসেবে প্রার্থিতা পায় সে বিষয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। জনমত যাচাই কিংবা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রার্থী নির্বাচনে যে ঔদ্ধত্যের পরিচয় দিয়েছেন, তা সত্যিই ন্যাক্করজনক। শুধু সিটি নির্বাচন নয়, দলের সাংগঠনিক ধ্বজভঙ্গতার জন্যও তিনি অদ্বিতীয়ভাবে দায়ী।

রাজনৈতিক বিজ্ঞজনরা আরো বলছেন, লুটপাট আর দুর্নীতির রাজনীতিতে বিশ্বাসী বিএনপি ক্রমেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে এই একগুঁয়ে পরিবারতন্ত্রের জন্য। যার ফলাফলে দলত্যাগ কিংবা দলবিমুখ হচ্ছেন বিএনপির পরিশ্রমী কর্মীরা। তবে এতে ভ্রুক্ষেপ নেই তারেক রহমানের। তিনি ব্যস্ত রয়েছেন নিজের আখের গোছাতে। তাইতো মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ‘পরিবারতন্ত্র’কে জিইয়ে রাখতে তিনি ইশরাক হোসেন আর তাবিথ আউয়ালকেই মনোনয়ন দিয়ে নিজেকে ‘যোগ্য পালের গোদা’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

 

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা