• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

নেইমারের জোড়া গোল, আশা বেঁচে থাকল পিএসজির

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০২০  

আগে থেকেই ছিল পিছিয়ে। ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট। প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের সামনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়াটা ছিল যেন সুদুর পরাহত। তারওপর, বুধবার রাতের ম্যাচটা ছিল তাদের ম্যানইউর মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে।

কিন্তু ফিকিন্স পাখির মত ধ্বংসস্তুপ থেকে ফিরে আসার শক্তি আছে দলটির ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমারের। ওল্ড ট্র্যাফোর্ড, প্রতিপক্ষের মাঠ- এসব কিছুরই পরোয়া করলেন না তিনি। করলেন জোড়া গোল। তার জোড়া গোলে শেষ পর্যন্ত স্বাগতিক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৩-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার আশা বাঁচিয়ে রাখলো পিএসজি।

পিএসজির এই জয়ের ফলে এইচ গ্রুপ অনেকটাই উন্মুক্ত হয়ে গেছে। আগামী সপ্তাহে গ্রুপের শেষ রাউন্ডের ম্যাচ। ওই ম্যাচেই মূলতঃ নির্ধারণ হবে, কোন দুটি দল উঠবে দ্বিতীয় রাউন্ডে। কারণ- ম্যানইউ, পিএসজি এবং আরবি লেইপজিগ- এই তিনটি দলেরই পয়েন্ট সমান ৯ করে। শেষ যদিও গোল ব্যবধানে শীর্ষে ম্যানইউ, দ্বিতীয় স্থানে পিএসজি।

আগামী সপ্তাহে শেষ রাউন্ডের ম্যাচে আরবি লেইপজিগের মাঠে খেলতে যাবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং ইস্তাম্বুল বাশাখশেয়ারকে ঘরের মাঠে আতিথেয়তা দেবে নেইমারের পিএসজি।

ম্যানইউ জানতো, পিএসজির বিপক্ষে একটি পয়েন্ট হলেও তাদের শেষ ষোলো নিশ্চিত হয়ে যাবে। সে উদ্দেশ্য নিয়েই (অর্থ্যাৎ, ড্র) খেলতে নেমেছিল রেড ডেভিলরা। কিন্তু ৬ মিনিটে নেইমারের গোল এবং ৬৯ মিনিটে মার্কুইনহোসের গোলের পর বোঝা যায়, ম্যানইউকে আরও অপেক্ষা করতে হবে। তারওপর, ৭০ মিনিটে ফ্রেড লাল কার্ড দেখার পর তো তাদের পরাজয় নিশ্চিতই হয়ে যায়। ইনজুরি সময়ে এসে তৃতীয় গোল করে নেইমার পিএসজিতে পূর্ণ পয়েন্ট এনে দিলেন।

ম্যাচের ৬ষ্ঠ মিনিটেই ম্যানইউর জালে বল জড়িয়ে দেন নেইমার। কিলিয়ান এমবাপে শট নিয়েছিলেন গোল করার জন্য। কিন্তু বলটি ম্যানইউ গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়ার হাত ফসকে চলে আসে নেইমারের পায়ে। খুব সহজেই বলটিতে জালে জড়িয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান তারকা।

৩২ মিনিটে গোল শোধ করে দেন ম্যানইউর মার্কাস রাশফোর্ড। বক্সের মধ্যে দানিলোর পায়ে লেগে বল চলে যায় রাশফোর্ডের কাছে। যে কারণে তিনি কেইলর নাভাসকে পরাস্ত করতে সক্ষম হন।

এরপর ম্যানইউ বেশ কিছু গোলের সুযোগ তৈরি করে। কিন্তু কোনোটাকেই কাজে লাগাতে পারেনি। এডিনসন কাভানি এবং মার্কাস রাশফোর্ডের ওয়ান টু ওয়ান খেলার পর ফাঁকায় থাকা অ্যান্থোনি মার্শালের কাছে বল দিলে তিনি সেটাকে পাঠিয়ে দেন বারের ওপর দিয়ে।

ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে কর্ণার কিক থেকে ভেসে আসা বলকে বক্সের মধ্যে পেয়ে মার্কুইনহোস আলতো করে ঠেলে দেন ম্যানইউর জালে। ম্যাচের চিত্র পাল্টে যায় এ সময়ই। এরপর ফ্রেড দেখলেন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড। অর্থ্যাৎ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।

ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে রাফিনহা গোল তৈরি করে দেন নেইমারকে। ৯০ + ১ মিনিটে গোল করে ৩-১ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পিএসজি।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা