• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের সাতক্ষীরা

দূষণ-সংক্রমন রোধে বেড়েছে মাস্কের ব্যবহার

আজকের সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

প্রতিনিয়তই বাড়ছে পরিবেশ দূষণ। বিশেষত বায়ুদূষণে নাভিঃশ্বাস উঠেছে মানুষের। একই সাথে বেড়েছে করোনা ভাইরাসসহ বিভিন্ন জীবানুবাহিত রোগ সংক্রমনের আশংকা। বায়ুদূষণ ও রোগ সংক্রমন থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে বাড়ছে মাস্ক ব্যবহারকারীর সংখ্যা।

সাধারণত যে মাস্ক প্রতিনিয়ত সবাই ব্যবহার করছেন সেটি সার্জিক্যাল মাস্ক। এই মাস্ক সুস্থ আর অসুস্থতার ক্ষেত্রে ব্যবহারবিধি ভিন্ন। সার্জিক্যাল মাস্ক এর সামনে নীল আর পেছনে সাদা রঙের থাকে। সুস্থ থাকলে শুধু দূষণ থেকে রক্ষার জন্য মাস্কটির সাদা রঙের অংশটি সামনে রেখে পরতে হবে। আর অসুস্থ হলে অর্থাৎ জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশি হলে নীল রঙের রেয়ার দেয়া অংশটি সামনে রেখে মাস্ক পরতে হবে।

কাগজ বা কাপড়ের তৈরি সাদা, নীলচে বা সবুজ রঙের যেসব সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্ক ওষুধের দোকানে পাওয়া যায়, সেগুলো ব্যবহার করলে রাস্তায় ধুলা আর ধোঁয়া থেকে কিছুটা রেহাই মিলতে পারে। তবে এসব মাস্ক বাতাসে ভাসমান ভারী বস্তুকণা ঠেকাতে পারে না। ভারী বস্তুকণা আটকাতে পারে এরকম সবচেয়ে জনপ্রিয় মাস্ক হল এন ৯৫, যার দাম বাংলাদেশে একশ থেকে তিনশ টাকা।


নিউসায়েন্টিস্ট ডটকম ও বিজনেস ইনসাইডারের খবর বলছে, এই মাস্ক ২.৫ পিএম (পার্টিকুলেট ম্যাটার) আকারের ভারী কণার ৯৫ শতাংশ আটকে দিতে পারে। ভাইরাসের ব্যাস ০.৩ মাইক্রন পর্যন্ত হলেও তা ঠেকিয়ে দিতে পারে। বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে সার্জিক্যাল মাস্কের পাশাপাশি গেঞ্জি বা সুতি কাপড়ের তৈরি এক ধরনের মাস দোকানে বা ফেরি করে বিক্রি হয়, যা মানুষ একটানা কয়েকবার এবং ধুয়ে ধুয়ে বেশ কিছুদিন ব্যবহার করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে কোনো মাস্ক টানা কয়েকদিন ব্যবহার করলে তা উল্টো আরও ঝুঁকি বাড়াতে পারে। অপরিষ্কার ওই মাস্কই হয়ে উঠতে পারে জীবাণুর বাসা।

মাস্কের কার্যকারিতা সম্পর্কে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনে সেন্ট জর্জেসের ড. ডেভিড ক্যারিংটন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানান, হাঁচি বা কাশি থেকে ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশ কিছুটা কমাতে সাহায্য করে মাস্ক। হাত থেকে মুখের সংক্রমণের বিরুদ্ধেও সুরক্ষা দেয়। এ বিষয়ে ২০১৬ সালে নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি সমীক্ষায় জানানো হয়েছে, মানুষ প্রতি ঘণ্টায় গড়ে অন্তত ২৩ বার হাত দিয়ে মুখ স্পষ্ট করে। ইউনিভার্সিটি অব নটিংহ্যামের মলিক্যুলার ভাইরোলজির অধ্যাপক জোনাথন বল বলেছেন, তারা একটি সমীক্ষায় দেখেছেন, রেসপিরেটর হিসেবে তৈরি ফেস মাস্ক ইনফ্লুয়েঞ্জা ঠেকাতে সাহায্য করে। রেসপিরেট এমন এক ধরনের কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্র যাতে থাকে একটি বিশেষায়িত ফিল্টার। বায়ুবাহিত ক্ষতিকর ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পদার্থের হাত থেকে শ্বাসনালীকে সুরক্ষা দিতেই তৈরি করা হয়ে এসব রেসপিরেটর। তিনি বলেন, মাস্ক যদি পরতেই হয় এবং সেটা থেকে যদি উপকার পেতেই হয় তবে সঠিক নিয়ম মেনে মাস্ক পরতে হবে। সেক্ষেত্রে নিয়মিত মাস্কটি বদলাতে হবে। ব্যবহৃত মাস্ক যেখানে সেখানে ফেলা যাবে না।

আজকের সাতক্ষীরা
আজকের সাতক্ষীরা